শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার ১০টি অন্যতম উপায় জানুন

শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার আকুলতা কমবেশি সবার একটু বেশি। সবাই চায় নিজেকে সাফল্যের চূড়ার শেষ প্রান্তে পৌছাতে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং তার সাথে কোটিপতি হতে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হয় সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন।
শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়১
আসলে আপনি যদি সঠিক পথ অবলম্বন করেন তাহলে আপনি শূন্য থেকে কোটিপতি হতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনাকে সেই বিষয়গুলো অবলম্বন করতে হবে যে বিষয়গুলো অবলম্বন করে মানুষ নিজেকে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে গেছে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার ১০টি অন্যতম উপায়

শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায় জানুন

কোটিপতি এই শব্দটি শুনলেই যেন মনের মধ্যে একটা উচ্ছ্বাস ভাব চলে আসে। আসলে যদি সঠিক পন্থা এবং সঠিক বিষয় অবলম্বন করেন তাহলে আপনার মধ্যেও এই উচ্ছ্বাস ভাব আসতে পারে। কোটিপতি বলতে আপনি কি বোঝেন? আসলে কোটিপতি হতে হলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় তার সাথে প্রয়োজন আপনার ধৈর্য। 

আপনি শূন্য থেকে কোটিপতি তখনই হতে পারবেন যখন আপনার সঠিক পথ এবং সঠিক রাস্তা জানা থাকবে। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে ভাবতে হবে কিভাবে ধনী হওয়া যায় এবং ধনী হওয়ার সঠিক রাস্তা কোনটি। যারা কোটিপতি হয়েছেন তাদের জীবনে পিছনে ফিরে দেখবেন তারা কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবস্যার মাধ্যমে নিজেকে সমাজে সাফল্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। 

আপনি ব্যবসা করে নিজেকে শূন্য থেকে কোটিপতি বানাতে পারবেন। ভারতের একজন ধন কুপের কথা অনুযায়ী "আপনি যদি কোটিপতি হতে চান তাহলে ধনী কিভাবে হতে হয় এবং ধনী হওয়ার সঠিক রাস্তা চিনতে হবে" যিনি এই কথাটি বলেছেন তিনি অত্যান্ত কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে শূন্য থেকে কোটিপতির দরজায় নিয়ে গেছেন। 

অন্যদিকে ভারতের আরেকজন ধন কুপের কথা যে," কঠোর অধ্যাবসায় এর মাধ্যমে নিজেকে শূন্য থেকে কোটিপতির উন্নতির শিখরে পৌঁছানো সম্ভব তবে নিজেকে সর্বপ্রথম আপনাকে চিনতে হবে" অন্যদিকে আরেকজন ধন কূপের বক্তব্য "আপনার ভিতরে থাকা লুকায়িত বিষয়টি আপনাকে উন্নতির চরম শিখড়ে পৌঁছে দিতে পারে" যারা উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে গেছে সবারই যেন এক মতামত "আপনি যদি শূন্য থেকে কোটিপতি হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ভিতরে থাকা ট্যালেন্ট দিয়ে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন" 

আপনি যদি আপনার কাছে থাকা মূলধন দিয়ে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং সৎ পথে সেই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন তাহলে আপনি একদিন কোটিপতি হবেন এটা নিশ্চিত।নিজেকে অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনি একটি শূন্য থেকে কোটিপতি কিভাবে হবেন এই বিষয়ে লিখিত বই পড়তে পারেন "TWELVE MEN TO ONE MILLION DOLLAS"। এই বইটি আপনাকে অনুপ্রেরণা দিতে পারে কিভাবে নিজেকে শূন্য থেকে কোটিপতি বানাবেন এবং তার সাথে নিজেকে সাফল্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাবেন।

শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার ১০ টি অন্যতম উপায়

শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার ১০ টি অন্যতম উপায় আজকে এই আর্টিকেলের অন্যতম আলোচ্য বিষয়। আপনি যদি শূন্য থেকে কোটিপতি হতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে যে সব বিষয় অবলম্বন করতে হবে সেসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলে। শূন্য থেকে কোটিপতি কথাটি শুনলেই চোখের সামনে ভাসে অনেকগুলো টাকা। 

কিন্তু শুধু ভাবলেই চলবে না আপনাকে কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক পন্থা অবলম্বন করতে হবে। তাহলে আপনি নিজেকে কোটিপতি নামক উন্নতির ঘরের দরজায় নিয়ে যাবে। একটি বিশেষ কথোপকথনে পরিণত হয়েছে যে নিজেকে কিভাবে রাতারাতি কোটিপতি বানাবেন। শূন্য থেকে নিজেকে কোটিপতি বানাতে হলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক পন্থা এবং নিজেকে সৎ পথে পরিচালিত করতে হবে। 

আপনি যদি একটি ব্যবসা শুরু করেন এবং সেই ব্যবসা সৎ পথে পরিচালনা করেন। তাহলে দেখবেন আপনি আস্তে আস্তে সেই ব্যবসাকে প্রচারিত করতে পারবেন এবং নিজেকে সাফল্য নামক চূড়ার যে শেষ প্রান্ত আছে সেখানে নিয়ে যেতে পারছেন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়-১০টি উপায় ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলো।

১।কম বয়সে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার চেষ্টা

সবচাইতে উপযুক্ত সময় হলো অল্প বয়স থেকে বা কম বয়সে থেকে নিজের মনে একটি জেদ রাখা যে, আমি কোটিপতি হব। যে বয়সে পড়াশোনা করি সে বয়সে যদি পড়াশোনার পাশাপাশি একটি ব্যবসা শুরু করি তাহলে পড়াশোনা হলো তার পাশাপাশি ব্যবসা কে অগ্রসর করা হলো। আপনি যদি নিজের সবটুকু সময় পড়াশুনায় দেন তাহলে পড়াশোনা শেষ করে আপনি হয়তোবা একটি ভাল চাকরি পাবেন এবং আপনার জীবনকে ভালো একটি পর্যায়ক্রমে নিয়ে যেতে পারবেন। 

ঠিক এইরকম অধ্যবসায় এবং কঠোর পরিশ্রম কেউ যদি ব্যবসায় দেয়। তাহলে সে সাফল্যের চূড়ায় যাবে এটা নিশ্চিত। শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায় মধ্যে কম বয়সে আপনার মনকে অনুপ্রাণিত করতে হবে যে আপনি একদিন কোটিপতি হবেন। এই অনুপ্রেরণা কাজে লাগিয়ে কেউ যদি প্রথমে তার কাছে থাকা মূলধন দিয়ে ছোট পরিসরে একটি ব্যবসা চালু করেন। 

তাহলে আস্তে আস্তে অর্থাৎ ১২ বছর পর/একযুগ পর সেই ব্যবসা অগ্রসর হয়ে উন্নতি করতে শুরু করবে। যদি মনের মধ্যে অল্প বয়সে কোটিপতি হওয়ার চিন্তা ভাবনা না আসে তাহলে একটি সময়ে যাওয়ার পর সেই চিন্তা ভাবনায় মরিচা ধরে যায়। বড় বয়সে সেই অনুপ্রেরণা তেমনভাবে কার্যকরী হয় না। ছাত্র জীবনে যেমন একটা মনের মধ্যে বীজ রোপন করা হয় যে, পড়াশোনা করতে হবে এবং ভালো একটা চাকরি করতে হবে। 

ঠিক এইভাবে যদি আপনি অল্প বয়সে বা কম বয়সে মনের মধ্যে একটি মনোভাব জাগিয়ে তোলেন যে, অল্প বয়সে কোটিপতি হতে হবে তাহলে আপনার উন্নতি কেউ ঠেকাতে পারবে না। পরিশেষে বলা যায়, কোটিপতি নামক বীজটি আপনার মনের মধ্যে অল্প বয়সেই রোপন হবে।

২।ব্যবসা করে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়

ব্যবসা মানুষকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। আপনি যদি আপনার কাছে থাকা অল্প মূলধন দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে সেই ব্যবসা আপনাকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যেতে পারে। অনেকেরই মতামত এটা যে, একমাত্র ব্যবসা করেই শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়া যায়। আপনি যদি সঠিক পন্থা অবলম্বন করে নিজেকে সৎ ভাবে পরিচালিত করে একটি ব্যবসা চালু করেন। 

তাহলে আপনি একদিন সাফল্য পাবেন এটা সুনিশ্চিত। এই ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনাকে একটি বিষয়ের উপর অবশ্যই গুরুত্ব আরোপ করতে হবে যেন আপনি ব্যবসাটাকে সৎ পথে পরিচালনা করতে পারেন। আপনি যদি আপনার মনোবলকে ঠিক রেখে সৎ উপায়ে ব্যবসা করেন তাহলে আপনি একদিন কোটিপতি নামক যে ঘরটি আছে সে ঘরে পৌঁছে যাবেন।

৩।অনলাইনে ব্যবসা করে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়

শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায় এর যে ২ নাম্বার ধাপটি আপনি পড়েছেন সেটা ব্যবসা। এই ব্যবসা আপনি অনলাইনের মাধ্যমেও করতে পারবেন। আপনি যখন আপনার ব্যবসা শুরু করবেন সেই ব্যবসা আপনার অনলাইনে আপনি প্রচার করতে পারবেন। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে আপনি আপনার ব্যবসাকে সুন্দরভাবে প্রচার করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র আপনার ব্যবসার যে সকল সামগ্রী সেই সকল সামগ্রী গুলোকে তুলে ধরতে হবে। 

ধরেন, আপনার একটি মুদির দোকান আছে অথবা কসমেটিকের দোকান আছে। আপনার দোকানে সেই পণ্যগুলো নেওয়ার জন্য অনেক ক্রেতা আসে বা কাস্টমার আসে। এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসার বা দোকানের পাশাপাশি আপনি যদি এগুলো অনলাইনে প্রচার করেন। তাহলে আপনি সব জায়গায় আপনার ব্যবসা বা দোকানকে প্রচার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসার জন্য যে দোকান ঘরটি আপনি ভাড়া দেন সেইরকম দোকান ঘর অনলাইনে আপনাকে ভাড়া নিতে হবে না। 

কিন্তু আপনি আপনার দোকানের পণ্যগুলোর ছবি বিভিন্ন মাধ্যম (যেমনঃ১। ফেসবুক ২। ইউটিউব) প্রচার করে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। যেখানে আপনি আপনার ব্যবসাকে অফলাইনে পরিচালিত করছেন। এক্ষেত্রে অনলাইনে কোন টাকা আপনাকে ব্যয় করতে হবে না। 

তাহলে বলা যেতে পারে যে, আপনি যে বিনিয়োগ করছেন সেটা অফলাইনে দোকানে এবং অনলাইনে প্রচার করে বিক্রি করতে পারছেন এবং সেখান থেকে টাকা আয় করতে পারছেন কোন বিনিয়োগ ছাড়া। এটা হতে পারে আপনার উন্নতি করার ভালো একটা পদক্ষেপ। আপনাকে একটি বিষয় সবসময় মাথায় রাখতে হবে, আপনি শূন্য থেকে নিজের ব্যবসা শুরু করেছেন। 

অর্থাৎ আপনি যদি আপনার ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন তাহলে কখনোই উন্নতি করতে পারবেন না। সেই ধৈর্য রেখে কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়ী আপনাকে শূন্য থেকে কোটিপতি বানিয়ে দিতে পারে। তবে দ্বিতীয় নম্বর ধাপে অবশ্যই এই বিষয়টি আপনি বুঝেছেন যে, ব্যবসা আপনাকে সৎ পথে পরিচালনা করতে হবে। আর আপনি যদি সৎ পথে অনলাইনে ব্যবসা করেন এবং ব্যবসার পণ্যগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেন তাহলে একদিন আপনি শূন্য থেকে অবশ্যই কোটিপতি হতে পারবেন।

৪।শেয়ার দিয়ে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়

আপনি হয়তোবা এখন ভাবতেছেন শেয়ার দিয়ে আবার কিভাবে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়া যায়। জি হ্যাঁ, আপনি যদি শেয়ার দিতে পারেন বা শেয়ার মার্কেটে নিজের অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে আপনি হতে পারেন শূন্য থেকে কোটিপতি। এক্ষেত্রে আপনাকে শেয়ার মার্কেট বা স্টক বাজার সম্পর্কে একটু ধারণা দেওয়া যাক। আপনি যদি শেয়ার মার্কেট থেকে কোন শেয়ার কিনে সেটা প্রফিট করে বিক্রি করতে পারেন। 

তাহলে আপনি সেখান থেকে একটা ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। তবে এই বিষয়ে আপনাকে একটু সচেতন হতে হবে, আপনি যদি প্রফিট না করে যে মূল্য দিয়ে কিনছেন সেই মূল্যে বিক্রি করেন। তাহলে আপনি তেমন প্রফিট করতে পারবেন না। অন্যদিকে আপনি যদি শেয়ার মার্কেটে অর্থ বিনিয়োগ করেন। তাহলে অনেক ক্ষেত্রে আপনি লস খেতে পারেন। 

এক্ষেত্রে আপনি যেন শেয়ার মার্কেটে লস না খান। সে জন্য একটি বিষয়ের উপর অবশ্যই আপনার জ্ঞান রাখা উচিত। আপনাকে প্রথমে শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে বুঝতে হবে। অর্থাৎ শেয়ার মার্কেটের অভিজ্ঞতা আপনাকে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায় দেখিয়ে দিতে পারে। আপনার অভিজ্ঞতা যত ভালো হবে এবং আপনি শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে যত ভাল বুঝবেন। 

আপনি তত শেয়ার মার্কেট থেকে প্রফিট করতে পারবেন। তবে একটি বিষয়ের উপর অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন কখনো শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা বা অভিজ্ঞতা না নিয়ে টাকা বিনিয়োগ করা উচিত না। কেননা অনেক সময় শেয়ার মার্কেট উঠানামা করে এক্ষেত্রে অনেক সময় অর্থ লস খেতে পারেন।

৫।সুশৃংখল জীবন যাপন করে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়

যদি নিজেকে গুছিয়ে রাখতে পারেন বা সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারেন। তাহলে আপনি অবশ্যই নিজেকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে পারবেন। সুশৃংখল জীবন যাপন আপনাকে শূন্য থেকে লাখপতি বানিয়ে দিতে পারে। নিজেকে যদি সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত না করে এলোমেলো ভাবে পরিচালিত করেন। তাহলে হয়তোবা একদিন কোটিপতি না হয়ে রাস্তায় আসতে পারেন। 
শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়২
এক্ষেত্রে আপনাকে একটি বিষয়ে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে, আপনার ব্যবসা সৎ ভাবে পরিচালনা করা এবং জীবনকে সুশৃংখলভাবে পরিচালিত করা। যেকোনো ধরনের ধূমপান, মদ্যপান এবং অন্যান্য নেশা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে ব্যবসায় লাভ করতে পারবেন এবং উন্নতির শিখরে নিজেকে নিয়ে যাবেন। কখনো ব্যবসায় যদি লস খেয়ে যান তাহলে হতাশ না হয়ে ব্যবসাকে আরও সুন্দরভাবে পরিচালনা করে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়া সম্ভব। 

এক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্য বেশি কার্যকারী। তবে ব্যবসা যদি সৎ পথে করা যায় এবং জীবন যাপন যদি সুশৃংখল হয় তাহলে একদিন সাফল্য পাবেন এটা সুনিশ্চিত। সুশৃংখল জীবনযাপন করলে পরিবারের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং মনোযোগ তখন ব্যবসার দিকে আরো বেশি অগ্রসর হয়। তাই লক্ষ্য রাখা উচিত লাইফস্টাইল যদি সুশৃংখল হয় তাহলে সাফল্য অবশ্যই ছোঁয়া যায়। আর নিজেকে সুশৃংখলভাবে পরিচালিত করার ইচ্ছা একদিন নিজেকে শূন্য থেকে কোটিপতি বানাতে পারবেন।

৬।লক্ষ্য স্থির রেখে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়

লক্ষ্য কথাটির সাথে সবাই পরিচিত। লক্ষ্য অর্থ হল যে কাজটি করতে চাচ্ছেন সেটাতে অটুট থাকা। সেখানে আপনি যদি প্রফিট না পেয়ে থাকেন তবুও সেই ব্যবসা পরিচালনা করা এটা মানে হল লক্ষ্য স্থির রাখা। এই লক্ষ্য স্থির একদিন শূন্য থেকে কোটিপতি বানিয়ে দিতে পারে। এই প্রসঙ্গে একটা উদাহরণ দেওয়া যাক, দুই বন্ধু একদিন রাস্তার পাশে একটি পুকুরের পাড়ে বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে বসে। 

এক বন্ধু এক পাড়ে আরেক বন্ধু অন্য পাড়ে। হঠাৎ করে এক বন্ধু তার বড়শির ছিপে একটি মাছ আটকিয়ে ফেলে। তখন সেই বন্ধু অন্য বন্ধুকে চেচিয়ে বলে দেখ বন্ধু আমি আমার বড়শিতে একটা মাছ ধরে ফেলেছি। এ কথা শুনে অন্য বন্ধু তার বড়শি নিয়ে সেই বন্ধু যে পাড়ে আছে সেই পাড়ে চলে যায় এবং সেখানে বরশি ছিপ ফেলে। 

এই বিষয়টা থেকে একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায় যে, নদীর মাঝখানে যদি একসাথে দুই নৌকায় পা দিলে যেমন হয় ঠিক তেমনি লক্ষ্য স্থির না থাকলে সেই রকম হতে পারে। এই উদাহরণ থেকে একটা বিষয় উপলব্ধি করা যায়, যদি লক্ষ্য স্থির রেখে সেই পাড়ে বসে থাকা যায় তাহলে সেখান থেকেও মাছ ধরা সম্ভব। নিজের লক্ষ্য স্থির রাখতে শিখুন এবং যে ব্যবসায় পরিচালনা করছেন সেটা লক্ষ্য স্থির রেখে পরিচালনা করুন। 

তাহলে দেখবেন একদিন সাফল্য পাবেন এটা নিশ্চিত। এক্ষেত্রে আপনার শারীরিক শ্রম এবং মানসিক শ্রম দুটোই প্রয়োজন। তাই বলা যায়, নিজের অভিজ্ঞতাকে আগে বুঝতে শিখুন। কোন ব্যবসায় নিজের অভিজ্ঞতা সবচাইতে বেশি সেই ব্যবসায় লক্ষ্য স্থির রেখে কাজ করে যান একদিন শূন্য থেকে কোটিপতি হবেন। কোটিপতি হবেন বা ব্যবসায় লাভ করবেন এই বিষয়ে লক্ষ্য স্থির রেখে ব্যবস্থা পরিচালনা করা শূন্য থেকে লাখপতি হওয়ার স্বপ্নকে সাফল্যজনিত করতে পারে।

৭।স্রোতের বিপরীতে চলে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়

অনেকেই মনে প্রশ্ন আসতে পারে, স্রোতের বিপরীতে চললে কি সাফল্য পাওয়া যায়। এই প্রসঙ্গে একটি কথা বলা যায় স্রোতের বিপরীতে চলা বলতে বুঝানো হয়েছে যে,যদি নিজের চিন্তাভাবনা একটু পরিবর্তন আনেন অর্থাৎ অন্য মানুষ যেভাবে ভাবে নিজে যদি ঠিক সেই ভাবে না ভেবে ভাবনাকে একটু ব্যতিক্রমভাবে ভাবেন। তাহলে দেখবেন ভেতর থেকে নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা গুলোকে বাইর করে আনতেছেন। 

মনে রাখবেন, যে অভিজ্ঞতা নিজের কাছে আছে বা দক্ষতা নিজের কাছে আছে সেই অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা অন্য আর কারো কাছে নেই। এই বিষয়ে একটু অন্যভাবে উদাহরণ দেওয়া যাক, এক এলাকায় দুই বন্ধু ছিলেন যাদের মধ্যে খুব একটা ভালো সম্পর্ক। একদিন এক বন্ধু বলল বন্ধু আমি ব্যবসা করব। তখন অন্য বন্ধু বলল আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে তুমি ব্যবসা করো। 

তখন সেই বন্ধু ব্যবসা শুরু করল এবং একটি সময় এসে ব্যবসাকে ভালো একটি পর্যায়ে নিয়ে গেল। যখন ব্যবসায় লাভ করা শুরু করলো তখন সেই বন্ধুটি জীবনে উন্নতি করা শুরু করলো। তখন অন্য বন্ধুটি মনে মনে ভাবতে লাগলো। আসলে বন্ধু যে ব্যবসা করছে আমি কি এই ব্যবসা করবো। এই কথাটির মানে হলো নিজেকে যদি নদীর স্রোতের দিকে ভাসিয়ে দেন তাহলে কখনোই আপনি সাফল্য পাবেন না। 

তখন অন্য বন্ধুটি নিজের চিন্তা ভাবনাকে একটু ব্যতিক্রম ভাবে ভাবলেন এবং অন্য ব্যবসায় নিজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতাকে কাজে লাগালেন। একদিন যে বন্ধু আগে ব্যবসা শুরু করছিল তার থেকে বেশি উন্নতি করে ফেলেছে অন্য বন্ধু। এই গল্প থেকে এই শিক্ষা নেওয়া যায় যে, যদি চিন্তা ভাবনাকে একটু অন্যভাবে বা ব্যতিক্রম ভাবে ভাবা যায় তাহলে সাফল্য একদিন পাওয়া যায়। নিজের মধ্যে ব্যবসার নতুন নতুন আইডিয়া তার সাথে নিজের শারীরিক শ্রম এবং ধৈর্যই পারে শূন্য থেকে কোটিপতি বানাতে।

৮।সঞ্চয় করে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়

সঞ্চয় শব্দের অর্থ নিজের কাছে থাকা গর্চ্ছিত অর্থ। অর্থাৎ যদি অর্থ উপার্জন থেকে একটু একটু করে নিজের অর্থ সঞ্চয় করা যায় তাহলে জীবনে একদিন সাফল্য পাওয়া সম্ভব। যে পেশায় আপনি নিয়োজিত থাকুন না কেন যদি নিজের বেতনের কিছু অংশ সঞ্চয় করা যায়। তাহলে সেই সঞ্চয়ে পারে জীবনকে সাফল্যজনিত করতে। 

বিভিন্ন কোটিপতি এবং ধন কূপের মতামত অনুযায়ী "যদি নিজের অর্জিত অর্থ থেকে কিছু অংশ সঞ্চয় করা যায় তাহলে অবশ্যই নিজেকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করানো সম্ভব" এক্ষেত্রে আপনি প্রত্যেক মাসে আপনার অর্জিত অর্থ থেকে কিছু কিছু অংশ আলাদা করে সঞ্চয় করুন। পাঁচ বছর পর দেখবেন সেখান থেকে একটু ভালো পরিমাণে অর্থ আপনি পাচ্ছেন। সেই অর্থ দিয়ে যদি কোন ব্যবসা করেন অথবা কোন জায়গায় বিনিয়োগ করেন। 

তাহলে দেখবেন একদিন আপনার সাফল্য কেউ ঠেকাতে পারবে না। যে জায়গায় নিজের গর্চ্ছিত অর্থ বিনিয়োগ করবেন অবশ্যই সেই ব্যবসাকে সৎ পথে এবং ধৈর্য ধরে পরিচালনা করবেন। নিজের ধৈর্য এবং অধ্যাবসাই পারে সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যেতে। আরেকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন, যে বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা সবচেয়ে বেশি সেই বিষয়ে অর্থ বিনিয়োগ করা উচিত। তাহলেই নিজের সঞ্চয় করা অর্থ দিয়ে নিজেকে একদিন কোটিপতি বানাতে পারবেন।

৯।যোগ্য পার্টনার নির্বাচন করে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়

চলার পথ যত কঠিন হবে ততই নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে। এই মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে একজন যোগ্য সঙ্গী এবং যোগ্য পার্টনার। হয়তোবা একাই পথ চলতে অনেকে হাঁপিয়ে যায়। আপনার একাই পথ চলার সুগম করতে অবশ্যই আপনি একজন সৎসঙ্গী এবং তার সাথে যোগ্য পার্টনার নির্বাচন করতে পারবেন। 

এক্ষেত্রে আপনাকে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন আপনার সঙ্গী সৎ এবং নিষ্ঠাবান হয়। যখন খারাপ সময় পড়বে সঙ্গী যেন আপনাকে ছেড়ে চলে না যায়। আর এভাবেই দুজনের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা একদিন শূন্য থেকে কোটিপতি বানিয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে লক্ষ্য রাখবেন, যারা শূন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন তাদের গুটি কয়েক ভাগ একসঙ্গে কয়েকজন বন্ধু মিলে ব্যবসা চালু করেছে এবং সেখানে সাফল্য পেয়েছে। 

উদাহরণস্বরূপঃ ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ এবং তার সহযোগী বন্ধুরা। এজন্য আপনি যদি শূন্য থেকে কোটিপতি হতে চান তাহলে অবশ্যই একজন চলার সাথী বা যোগ্য পাটনার নির্বাচন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি সহজেই আপনার দক্ষতা এবং তার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ব্যবসা সুন্দরভাবে পরিচালিত করতে পারবেন এবং উন্নতি করতে পারবেন। তাই বলা যায়, শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার ৯ম ধাপটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী একটি উপায়।

১০।আত্মবিশ্বাস এবং পর্যালোচনা করে শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়

আত্মবিশ্বাস কাজ করার গতিকে ত্বরান্বিত করে তার সাথে মনোবলকে শক্তিশালী করে। যদি ব্যবসা দিয়ে জীবনের যাত্রাপথকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চান। তাহলে আপনার মনের শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে হবে। একটি আত্মবিশ্বাস মনের মধ্যে সবসময় রাখতে হবে যে একদিন সফলতা পাবেন। । এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যদি ব্যবসা শুরু করেন এবং সৎ ভাবে কাজ করেন। 

তাহলে দেখবেন আপনার আত্মবিশ্বাস আপনাকে একদিন উন্নতির শিখরে উঠতে সাহায্য করছে। ব্যবসায় যেমন আত্মবিশ্বাস থাকাটা জরুরী ঠিক তেমনি পর্যালোচনা করা অনেক জরুরী। আপনি যদি শুধুমাত্র আত্মবিশ্বাস দিয়ে ব্যবসা সফলতা পেতে চান তাহলে হবে না। এখানে আপনাকে যেমন কায়িক শ্রম করতে হবে ঠিক তেমনি ভাবে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করতে হবে। 

আপনি যে ব্যবসা করেন না আপনার যে ক্রেতা আছে তাদের পছন্দ এবং তাদের ভালোলাগা আপনাকে জানতে হবে। ক্রেতা যদি বলে এই জিনিসের মানটা একটু খারাপ। তাহলে আপনাকে সেটা পর্যবেক্ষণ করে সেটার মান কিভাবে বাড়ানো যায় এই বিষয়ের উপর পর্যালোচনা করতে হবে। অন্যদিকে আপনার ব্যবসা উন্নতির পিছনে যাদের কঠোর পরিশ্রম রয়েছে তাদের সাথে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। 

এই বিষয়গুলো যদি আপনি একবার পর্যালোচনা করেন তাহলে দেখবেন আপনার ব্যবসা সফলতার মুখ দেখছে। একবার যখন সফলতার মুখ দেখবেন তখন কেউ আপনাকে আর ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। সর্বশেষ এই ধাপটি আপনাকে পথ চলতে সাহায্য করবে এবং শূন্য থেকে কোটিপতি কিভাবে হতে হয় সেই বিষয়ে জানিয়ে দিতে সাহায্য করবে। মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস রাখুন এবং ব্যবসা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনা করুন। দেখবেন আপনি একদিন উন্নতির চরম শিখরে উঠে গেছেন।

কোটিপতি হতে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হয়

যদি মনের মধ্যে প্রেরণা থাকে এবং আত্মবিশ্বাস থাকে আপনি কোটিপতি হবেন। তাহলে দেখবেন আপনি একদিন সফলতা পাবেন। কোটিপতি হওয়ার প্রবল মনোবল এবং উদ্যোগী ইচ্ছে আপনাকে বানাতে পারে শূন্য থেকে কোটিপতি। শূন্য থেকে কিভাবে কোটিপতি হতে হয় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন থেকে যায় কোটিপতি হতে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হয়?
শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায়৩
যদিও কোটিপতি হতে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হয় এই বিষয়ে কোনো সঠিক তথ্য জানা নেই। তবে আপনি চাইলেই শূন্য থেকে কোটিপতি হতে পারেন। অনেক ধন কূপের মতামত অনুযায়ী নিজেকে শূন্য থেকে কোটিপতি বানানো যায়। যদি থাকে আপনার দীড়-মনোবল এবং প্রবল ইচ্ছা। নিজের কাছে থাকা সামান্য মূলধন বা গর্চ্ছিত অর্থ দিয়ে যদি ব্যবসা শুরু করেন এবং সেটিকে সঠিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। 

তাহলে আপনি একদিন সফলতা পাবেন এটা সুনিশ্চিত। নিজের কাছে লুকিয়ে থাকা দক্ষতা এবং জ্ঞানই পারে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। অন্যকে দেখে প্রেরণা নিন তাহলে দেখবেন সফলতা পাচ্ছেন। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং কঠোর পরিশ্রম করার মনোবল গড়ে তুলুন সফলতা পাবেন। আপনার ব্যবসার উন্নতির পিছনে যাদের কঠোর পরিশ্রম আছে তাদের সাথে সামাজিক বন্ধন দৃড় রাখুন। 

তাহলে বুঝতেই পেরেছেন যে, কোটিপতি হওয়ার যদি প্রবল মনোবল এবং আত্মবিশ্বাস থাকে তাহলে আপনি শূন্য থেকেই কোটিপতি হতে পারবেন। কঠোর পরিশ্রম করুন এবং মনোবলকে শক্তিশালী করুন। একদিন নিজেকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দেখাবেন।

শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায় সম্পর্কে সাধারণ কিছু জিজ্ঞাসা( FAQ)

প্রশ্নঃ আমি কি কোটিপতি হতে পারব?
উত্তরঃ যদি আপনি কোটিপতি হতে চান তাহলে কোটিপতি হওয়ার যে সকল মূল চাবিকাঠি কাছে সেগুলোর দিকে আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনার মনোবল দৃঢ় করতে হবে, কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে, দীর্ঘমেয়াদী একটি আর্থিক পরিকল্পনা থাকতে হবে এবং তার সাথে আপনার জীবন যাপনের একটি সুশৃংখল ধারাবাহিকতা থাকতে হবে।

প্রশ্নঃ ১০ বছরে কি কোটিপতি হওয়া যায়?
উত্তরঃ আপনি যদি একটি ব্যবসা শুরু করেন এবং সেখান থেকে যে অর্থ লাভ করবেন বা আয় করবেন সে অর্থকে কাজে লাগিয়ে আপনি অবশ্যই কোটিপতি হতে পারবেন। অর্থাৎ ব্যবসার লভ্যাংশ যদি আপনি সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করতে পারেন। তাহলে ১০ বছরে আপনি কোটিপতি হতে পারবেন।

প্রশ্নঃ ধনী মানুষ কিভাবে টাকা খরচ করে?
উত্তরঃ ধনী ব্যক্তিরা ব্যবসা লভ্যাংশ বিভিন্নভাবে বিনিয়োগ করে এবং সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করে। তাছাড়াও ধনী ব্যক্তিরা উচ্চমানের সামগ্রী/পণ্য কেনার আগ্রহ এবং ভালো মানের খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

প্রশ্নঃ কোটিপতি হতে কতদিন লাগে?
উত্তরঃ আপনার ব্যবসার লভ্যাংশ আপনি যত বিনিয়োগ করবেন এবং সেখান থেকে যত ভালো অর্থ উপার্জন করবেন। আপনি তত তাড়াতাড়ি কোটিপতি হতে পারবেন।

প্রশ্নঃ কোটিপতি হওয়া কি কঠিন?
উত্তরঃ কোটিপতি অনেকেরই স্বপ্ন সবাই চায় কোটিপতি হতে। আপনিও হতে পারেন কোটিপতি কিন্তু থাকতে হবে প্রবল ইচ্ছা শক্তি এবং দিতে হবে কঠোর পরিশ্রম তাহলে আপনিও পারবেন কোটিপতি হতে। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে যে আপনি কোটিপতি হতে চান।

শেষ মন্তব্যঃ শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার উপায় সম্পর্কে

এই আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় কিভাবে আপনি শূন্য থেকে কোটিপতি হবেন এই বিষয়ে ধারণা পেয়েছেন। তাছাড়াও আপনার তীব্র মনোবল এবং আত্মবিশ্বাস আপনার ইচ্ছা শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে পারে। এই প্রেরণা আপনাকে পৌঁছে দিতে পারে উন্নতির চরম শিখরে। আরো জানতে পেরেছেন কোটিপতি হতে কত টাকা বিনিয়োগ করতে হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। নিজের কাছে থাকা দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা পারে একজন মানুষকে কঠোর পরিশ্রমী হিসাবে গড়ে তুলতে। 

এই আর্টিকেলে যে ১০টি আলোচ্য বিষয় আলোচনা করা হয়েছে, আপনি যদি এগুলো অনুসরণ করে নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আত্মবিশ্বাস রেখে একটি ব্যবসা সৎ ভাবে পরিচালনা করতে পারেন। তাহলে আপনিও একদিন সফলতা পাবেন। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের জানার সুযোগ করে দিবেন। এরকম আর্টিকেল সবার আগে পেতে ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url