সোনা পাতা খাওয়ার অপকারিতা-১০টি উপকারিতা জানুন

সোনা পাতা খাওয়ার অপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন সোনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং আরো জানতে পারবেন সোনাপাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
সোনা পাতা খাওয়ার অপকারিতা১
সোনাপাতা শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ সারাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়াও সোনা পাতাকে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ সারানোর প্রাকৃতিক ঔষধ বলা হয়ে থাকে। তাছাড়াও শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে সক্ষম সোনা পাতা।

পোস্ট সূচিপত্রঃ সোনা পাতা খাওয়ার অপকারিতা এবং ১০টি উপকারিতা

সোনা পাতা খাওয়ার অপকারিতা

সোনা পাতা শরীরের জন্য অনেক কার্যকরী। তাছাড়াও সোনা পাতা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তার সাথে শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে সোনা পাতা খেয়ে থাকেন। তাহলে আপনার শরীরে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই দীর্ঘদিন সোনা পাতা খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। না হলে আপনার শরীরের উপকারের থেকে ক্ষতি হয়ে যাবে। চলুন তাহলে সোনা পাতা খাওয়ার অপকারিতা জেনে নেইঃ

  • দীর্ঘদিন ধরে আপনি যদি সোনা পাতা খেয়ে আসেন তাহলে আপনার শরীরে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়রিয়া রোগীরা এবং আমাশায় রোগীরা সোনা পাতা খাওয়ার কারণে শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই অবশ্যই ডায়রিয়া রোগী এবং আমাশয় রোগী সোনা পাতা খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
  • গর্ভকালীন সময়ে একজন গর্ভবতী মা এবং শিশু সোনা পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তাছাড়াও যাদের শরীর দুর্বল এবং বয়স হয়ে গিয়েছে তাদের অবশ্যই সোনাপাতা খাওয়া পরিহার করতে হবে। না হলে তাদের শরীরে সোনা পাতা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক লক্ষ্য করা যাবে।
  • প্রদাহ এবং যকৃতের ক্যান্সারে রোগীরা অবশ্যই সোনাপাতা খাওয়া পরিহার করতে হবে। । কেননা এসব রোগী সোনা পাতা খেলে শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়ে।
  • অন্ত্রের ক্ষত এবং অ্যাপেন্ডিসাইডের রোগীদের সোনা পাতা না খাওয়াই ভালো। কেননা সোনা পাতা খাওয়ার ফলে এসব রোগীর শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
  • ব্লাড প্রেসার কমে যায় এবং অতিরিক্ত সোনা পাতা খাওয়ার ফলে অনেক সময় বমি বমি ভাব হয়।
  • দীর্ঘদিন ধরে সোনা পাতা খাওয়ার ফলে অনেক সময় চোখের দৃষ্টির সমস্যা হয় এবং অনেক সময় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
  • আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে সোনা পাতার গুড়া খেয়ে আসেন। তাহলে আপনার শরীরে অনেক সময় বেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং হৃদয় স্পন্দনের সমস্যা হতে পারে।

সোনা পাতা খাওয়ার ১০টি উপকারিতা

এই আর্টিকেলে সবার উপরে সোনা পাতা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। সোনা পাতা শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। শরীরকে কর্মমুখট রাখতে সাহায্য করে। তবে সোনা পাতা নিয়ম মেনে খেতে হবে। যদি নিয়মের বাইরে খাওয়া যায় সোনাপাতা তাহলে শরীরের জন্য তা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে হয়ে দাঁড়াতে পারে। সোনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নেই-

  • কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ সারাতেই সাধারণত ব্যবহার করা হয় সোনাপাতাকে।কেননা সোনা পাতা শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ সারাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • অনেক সময় যে পেটের মধ্যে বদহজমে সমস্যা হয়। পেটের হজমের সমস্যা দূর করতে এবং পেটে থাকা গ্যাস দূর করতে সোনা পাতার বিকল্প কিছু নেই। সোনা পাতা খুব সহজেই পেটের হজমের সমস্যা দূর করে দেয় এবং গ্যাস্ট্রিক দূর করতে সক্ষম।
  • অনেক সময় বেশি খাওয়ার পরে শরীরের ওজন বেড়ে যায় এবং খাবার ঘন ঘন খেতে ইচ্ছে করে। সোনা পাতা খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন কমাতে এবং ক্ষুধা ভাব কমিয়ে দেয়।
  • অর্শ রোগের আক্রান্ত রোগীরা সোনা পাতা খেতে পারেন। কেননা সোনাপাতা অশ্ব রোগ নির্মূলে বেশ কার্যকরী এবং তার সাথে পেটে থাকে কৃমি দূর করতেও সক্ষম।
  • অনেক সময় শরীরে বিভিন্ন কারণে রক্তচাপ বেড়ে যায়। আর উচ্চ রক্তচাপ শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। যার কারণে বিভিন্ন সময়ে স্টোক এবং হার্ট অ্যাটাক দেখা দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে খাওয়া যেতে পারে সোনাপাতা।
  • তাছাড়াও সোনা পাতায় থাকা এন্টিসেপটিক ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় মোকাবিলা করতে সক্ষম। নিয়ম করে সোনা পাতা খেলে শরীরের ত্বক সুস্থ থাকে।
  • সোনা পাতা পেটে থাকা বজ্র পদার্থ নিঃসরণ সাহায্য করে এবং তার সাথে পেট পরিষ্কার রাখে। তাছাড়াও সোনা পাতা নিয়ম করে খাওয়ার ফলে আলসারের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি করে। সোনা পাতা নিয়ম করে খেলে চুলের গোড়া শক্ত এবং মজবুত হয়।
  • সোনা পাতা রক্ত পরিশোধনের সাহায্য করে এবং মুখে্র রুচি বাড়াতে ব্যাপক সাহায্য করে সোনা পাতা। । তাই রক্ত পরিশোধনে এবং মুখের রুচি বাড়াতে নিয়ম করে সোনা পাতা খাওয়া উচিত।
  • তাছাড়াও ত্বকে থাকা ব্রণ অনেক সময় মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। এই ব্রণ সারাতে ঘরোয়া উপায়ে খাওয়া যেতে পারে সোনা পাতা।

সোনাপাতা খাওয়ার নিয়ম

আপনি যদি সোনা পাতা আর ঔষধি গুনগুলো পেতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই সোনা পাতা নিয়ম মেনে খেতে হবে। কেননা অতিরিক্ত সোনা পাতা খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে উপরোক্ত আলোচনা আমরা এটা জেনেছি। তাই অবশ্যই সোনা পাতার উপকারী গুণগুলো পাওয়ার জন্য নিয়ম মেনে খেতে হবে। 
সোনা পাতা খাওয়ার অপকারিতা২
আপনি সোনা পাতা বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। অনেক সময় সোনা পাতার গুড়া তৈরি করে সেটা চায়ের মধ্যে দিয়ে খেতে পারেন। সোনা পাতা খাওয়ার জন্য প্রথমে গাছ থেকে সোনা পাতা তুলে আনতে হবে। তারপর সেটা ভালো করে পরিষ্কার করে গুড়ো করে নিতে হবে। অথবা আপনি যদি সোনা পাতা না পেয়ে থাকেন তাহলে বাজারে পাওয়া যায় সোনা পাতার গুড়া সেখান থেকে ক্রয় করে আনতে হবে। 

প্রথমে আপনাকে পরিমাণ মতো পানি গরম করে নিতে হবে। এই গরম পানিতে আপনি কিছু পরিমাণ সোনা পাতার গুড়া দিতে হবে। দেওয়ার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে এবং তারপর সেটা পান করতে পারবেন। তবে অবশ্যই মাসে ৮ থেকে ১০ বার সোনা পাতা খাওয়া উত্তম। আপনি ইচ্ছে করলে সপ্তাহে এক বা দুইবার সোনা পাতা গুড়া গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। 

আপনি যদি এই নিয়ম মেনে সোনা পাতা খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং আপনার শরীরে থাকা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর হয়ে যাবে। তবে সোনা পাতার সঠিক উপকার পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্রাকৃতিক উপায়ে সংরক্ষিত সোনা পাতার গুড়া খেতে হবে। আপনি অবশ্যই সোনা পাতার গুড়া মাসে নয় থেকে দশবার সেবন করতে পারবেন। 

তাহলে তা আপনার শরীরের জন্য কার্যকরী হবে এবং আপনার শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ সারাতে সক্ষম হবে। আমার পরামর্শ এটা যে, অতিরিক্ত সোনা পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা সোনা পাতা বেশি খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আশা করি,সোনা পাতা খাওয়ার অপকারিতা এবং উপকারিতা সাথে সোনাপাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।

সোনা পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম

সোনা পাতার গুড়া শরীরের জন্য ব্যাপক কার্যকরী এটা আমার উপরোক্ত আলোচনায় জেনেছি। কিন্তু সোনা পাতা গুরা খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। আপনি যদি এই নিয়ম গুলো মেনে সোনা পাতার গুড়া খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরের ত্বকের সমস্যা এবং তার পাশাপাশি শরীরে থাকে আলসার দূর হয়ে যাবে। চলুন তাহলে জেনে নেই সোনা পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে-লিকুইড এবং পাউডার হিসাবে যেভাবে খাবেন তা আলোচনা করা হলোঃ

  • আপনি প্রতিদিন গড়ে ১৮ থেকে ৩৮ গ্রাম পরিমাণ মতো সোনা পাতার গুড়া ক্যাপসুল তৈরি করে খেতে পারেন। যা আপনার শরীরে থাকা কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ দূর করতে সক্ষম।
  • আপনি যদি ট্যাবলেট খেতে চান তাহলে প্রাপ্তবয়সের জন্য অবশ্যই ১৩ মিলি গ্রামের আশপাশে এবং শিশুদের জন্য এই ট্যাবলেট দিনে যেকোনো দুই বেলা খাওয়াতে পারবেন।
  • দানাদার খাবারের জন্য প্রায় ১৫ মিলিগ্রাম পরিমাণ মতো যাদের উপযুক্ত বয়স তাদের জন্য এবং শিশুদের জন্য পরিমাণ মতো ১ চামচ পরিমাণ নিয়ে খাওয়াতে হবে।
  • যদি আপনি তরল হিসেবে খেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রায় ৯ মিলিগ্রাম পরিমাণ মতো যাদের বয়স প্রায় ৬ থেকে ১২ বছর তাদেরকে প্রায় দুই চামচ পরিমাণ খাওয়াতে পারবেন।
  • আপনি যদি পিল হিসেবে খেতে চান তাহলে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের নিয়ম করে প্রতিদিন একবার দুইবার পরিমাণ মতো এক গ্লাস পানিতে দুটি করে পিল দিয়ে খেতে পারবেন।
  • আপনি যদি ট্যাবলেট ১৭ মিলিগ্রাম এবং প্রায় ৯ মিলিগ্রাম খেতে চান তাহলে ১৭ মিলিগ্রাম আপনি দিনে একবার বা দুইবার খেতে পারবেন অন্যদিকে ৯ মিলিগ্রাম আপনি দিনে একবার বা দুইবার সর্বোচ্চ দিনে দুই বারে চারটি ট্যাবলেট খেতে পারবেন।
এভাবে আপনি সোনা পাতার গুড়া লিকুইড বা পাউডার হিসেবে খেতে পারবেন। তবে আমার পরামর্শে এটাই যে, এভাবে সোনা পাতার গুড়া পাউডার হিসেবে খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এতে করে এর কোন ক্ষতিকারক দিক আপনার শরীরে প্রভাব ফেলতে পারবে না।

সোনা পাতার গুড়ার দাম

সোনা পাতার গুড়ার দাম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। চলুন তাহলে আজকে সোনা পাতার গুড়ার দাম সম্পর্কে আলোচনা করা যাক-সোনা পাতার উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে ন্যাচারাল সোনা পাতার গুড়া সংগ্রহ করতে হবে। আপনি যদি বাজারে প্রাকৃতিকভাবে তৈরিকৃত সোনা পাতার গুড়া কিনতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটু বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে। 

ভালো জিনিস পেতে হলে একটু বেশি দাম দিতেই হয়। আপনি সরাসরি যারা প্রাকৃতিকভাবে সোনা পাতার গুড়া তৈরি করে তাদের কাছ থেকেও কিনতে পারেন। অন্যদিকে বাজারে পাওয়া যায় প্রাকৃতিকভাবে তৈরিকৃত সোনা পাতার গুড়া সেখান থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন। সোনা পাতার গুড়ার দাম বাজারজাত করার উপর নির্ভর করে। 

যা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে দাম পরিবর্ততিশীল হতে পারে। তবে সোনা পাতার দাম কেজি প্রতি ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। আপনি যদি সঠিক সোনা পাতার গুড়া কিনতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই পরিমাণ অর্থ খরচ করে সোনা পাতার গুড়া কিনতে হবে। আপনি ইচ্ছে করলে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট থেকে সোনা পাতার গুড়া সংগ্রহ করতে পারেন। 

তবে সোনা পাতার গুড়া যারা গাছ থেকে সোনা পাতা সংগ্রহ করে গুড়া করে তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অনেক ভালো। এতে করে সেই সোনা পাতার গুড়া শরীরের পেটের সমস্যা দূর করে এবং পেটে থাকা কৃমি দূর করে।

সোনা পাতা চেনার উপায়

আপনি সোনা পাতা খাওয়ার অপকারিতা এবং উপকারিতা সম্পর্কে জানলেন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আরো জানতে পারলেন সোনা পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এবং সোনা পাতার গুড়ার দাম সম্পর্কে। কিন্তু অনেকে আমরা সোনাপাতা চিনতে পারিনা। চলুন তাহলে আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে সোনা পাতা চেনার উপায়গুলো সম্পর্কে জেনে নেই-

সোনা পাতা হল গরম সহনশীল একটি গাছ। অর্থাৎ যেসব অঞ্চলে উষ্ণতা এবং আদ্রতা বেশি। সেই সব অঞ্চলেই সোনা পাতা গাছ দেখা যায়। বাংলাদেশের সোনা পাতা গাছ ব্যাপক দেখা যায়। তবে আপনাকে সোনাপাতা চিনতে হবে সোনা পাতা গাছে থাকা কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে। সোনা পাতার গাছ থেকে যখন সোনা পাতা কাঁচা অবস্থায় সংগ্রহ করা হয়। 

তখন সোনা পাতা দেখতে হলুদ ভাবের সবুজ রংয়ের হয়ে থাকে। যখন সোনাপাতা শুকিয়ে যায় তখন দেখতে হলুদ ভাবের সোনালী রঙের মতো দেখায়। অন্যদিকে সোনাপাতার গাছে ফুল ধরে এবং ফুলের রং হয়ে থাকে সাদা এবং অনেক সময় গোলাপি। সোনা পাতা গাছে হওয়া ফল কিছুটা সিমের বীজের মত। আর এই বৈশিষ্ট্য গুনগুলা থাকলে আপনি খুব সহজেই চিনতে পারবেন সোনা পাতার গাছ। আর এই গাছ থেকেই সোনা পাতা সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। যে সোনা পাতার গুড়া শরীরের নানা রোগব্যাধি সারাতে পাড়ে।

সোনাপাতা কতদিন খাওয়া যায়

অনেকে জানতে চায় সোনা পাতা কতদিন খাওয়া যায়।? চলুন তাহলে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেই সোনা পাতা কতদিন ধরে খাওয়া যায়-আসলে সোনা পাতা কার্যকরী গুন অনেক। আর এই গুনগুলো পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাদের মনে প্রশ্ন থাকে যে সোনা পাতা কতদিন ধরে খাওয়া যায়। সোনা পাতা খেতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে সোনা পাতা খেতে হবে।
সোনা পাতা খাওয়ার অপকারিতা৩
সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এর বেশি খাওয়া যাবে না। অন্যদিকে মাস ব্যাপী আপনি দশ থেকে বারো দিন সোনা পাতা খেতে পারেন। আপনি যদি এই নিয়ম মেনে সোনা পাতা খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই উপকার পাবেন। তবে আপনার সতর্কতার জন্য জেনে রাখা ভালো-অবশ্যই আপনাকে সোনা পাতা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। 

কোন স্যাঁতস্যাতে জায়গায় সোনা পাতার গুড়া রাখা যাবে না। সোনা পাতার গুড়া খাওয়ার পর আপনার বাইরে যাওয়া যাবে না। তিন থেকে পাঁচ ঘন্টা আপনাকে বাথরুমের পাশাপাশি থাকতে হবে।

সোনা পাতা কি ওজন কমায়

এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে পারবো সোনা পাতা কি ওজন কমায়। বিভিন্ন ধরনের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সোনা পাতা শরীরের ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাহলে বলায় যেতে পারে, সোনা পাতা শরীরের ওজন কমায়। সোনা পাতা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে কিন্তু পুরোপুরি ওজন কমাতে সোনা পাতার ওপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। 

আপনাকে শরীরের ওজন কমাতে হলে অবশ্যই খাবার তালিকা তৈরি করতে হবে বা ডায়েট কন্ট্রোল করতে হবে। ডায়েট কন্ট্রোলের পাশাপাশি আপনাকে শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম এবং ডায়েট কন্ট্রোলে আপনি রাখতে পারেন সোনা পাতার গুড়ায় তৈরি চা। এতে আপনার শরীরের পেটের যে হজমের সমস্যা তা পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে। অন্যদিকে আপনার বিভিন্ন রোগ সারাতে কাজ করবে।

তবে আপনি গরম পানির সঙ্গে সোনা পাতার গুঁড়া মিশিয়েও খেতে পারেন। আর এভাবে যদি আপনি শারীরিক ব্যায়ামের পাশাপাশি ডায়েট কন্ট্রোলে সোনা পাতার গুড়া রাখতে পারেন।তাহলে আপনি খুব সহজে আপনার ওজন কমাতে পারবেন। আর এই সোনা পাতার ওজন কমানোর পাশাপাশি আপনার শরীরের যাবতীয় রোগব্যাধি থেকে মুক্তি দিবে।

সোনা পাতা খাওয়ার অপকারিতা এবং ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে লেখকের শেষকথা

সোনা পাতা খাওয়ার অপকারিতা এবং ১০টি উপকারিতা তার সাথে সোনাপাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম । এ আর্টিকেল এর মাধ্যমে এটা জানতে পারলাম যে,  সোনা পাতা শরীরের রোগ দূর করতে সক্ষম এবং তাছাড়াও পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করতেও সক্ষম। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় এবং চুলের সমস্যায় সোনা পাতা ব্যাপক কার্যকরী। 

তবে আমার পরামর্শ এটাই যে, সোনাপাতা অবশ্যই আপনাকে নিয়ম মেনে খেতে হবে এবং দীর্ঘদিন যাবত সোনাপাতা খাওয়া যাবে না। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কোন উপকারে এসে থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে জানার সুবিধার্থে শেয়ার করবেন। এইরকম আর্টিকেল সবার আগে পেতে এই ওয়েবসাইটটি আপনি ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url