ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা ও ক্রেডিট কার্ড খরচ
আপনি যদি জানতে চান ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং ক্রেডিট কার্ড তৈরি করতে কি কি লাগে সেই সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ধারণা পাবেন।
ক্রেডিট কার্ড একটা সুবিধাজনক ব্যাংকিং ব্যবস্থা। যে কার্ডের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই অনলাইন পেমেন্ট এবং শপিং মলের বিল প্রদান করতে পারবেন। তাছাড়াও ক্রেডিট কার্ড থেকে আরো বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা-ক্রেডিট কার্ড তৈরি করতে কি কি লাগে
ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
আপনি যদি কোন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড অথবা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে চান তার অবশ্যই আপনার কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। আপনার যদি যোগ্যতা না থাকে তাহলে আপনি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রেডিট কার্ড কখনো সংগ্রহ করতে পারবেন না। চলুন তাহলে আজকে ক্রেডিট কার্ড কিভাবে পাবো এবং পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
বয়স সীমাঃ অবশ্যই আপনি যদি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে চান তাহলে আপনার বয়স-সীমানা ১৮ বছর উপর হতে হবে।
লেনদেন সীমাবদ্ধতাঃ আপনি যদি কোন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই ব্যাংকের সাথে একটা লেনদেনের সীমাবদ্ধতা থাকতে হবে। অর্থাৎ কথাটা এভাবে বলা যায় যে, অবশ্যই সেই ব্যাংকে আপনাকে এক বছর লেনদেন করতে হবে।
বাৎসরিক আয়ের সীমানাঃ আপনি যদি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার বাৎসরিক আয়ের একটা সীমা থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনার বেতন অবশ্যই হতে হবে বছরে তিন লাখ টাকার বেশি। তাহলে আপনি ব্যাংক থেকে একটি ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
যোগ্যতা বা প্রতিষ্ঠানঃ আপনি যদি ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন তাহলে অবশ্যই আপনার একটি চাকরি থাকা আবশ্যক। অথবা আপনি যদি ব্যবসা করেন এবং কোন প্রতিষ্ঠান থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে আয় একটা সীমাবদ্ধতা মধ্যে থাকতে হবে। আপনার মাসিক আয় হতে হবে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।
জাতীয় পরিচয় পত্রঃ অবশ্যই ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে হলে আপনাকে ১৮ বছরের উপরে বয়সসীমা হতে হবে। আপনার নিজ দেশে জাতীয় পরিচয় পত্র অবশ্যই থাকা আবশ্যক।
ট্রেড লাইসেন্স এবং সনদপত্রঃ আপনার যদি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেই প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স এবং আপনার টিন সনদপত্র থাকতে হবে। তাহলে আপনি কোন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করার যোগ্যতা রাখবেন।
একাউন্ট ব্যালেন্স এবং জামানতকারীঃ অবশ্যই কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য আপনার সেই ব্যাংকের একাউন্টে যথেষ্ট পরিমাণে ব্যালেন্স থাকতে হবে এবং একজন জামানতকারী প্রয়োজন পড়বে ।
উপরোক্ত বিষয়গুলো আপনি যদি পূরণ করতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজেই যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করার যোগ্যতা রাখবেন। সেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই দ্রুত লেনদেন ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট বিল দিতে পারবেন।
ক্রেডিট কার্ড তৈরি করতে কি কি লাগে
ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে আশা করি আপনার একটি সুস্পষ্ট ধারণা হয়েছে। আপনি একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খুব সহজেই লেনদেন ব্যবস্থা ও বিভিন্ন ধরনের বিল পেমেন্ট করতে পারবেন। তবে ক্রেডিট কার্ড তৈরি করতে কি কি কাগজপত্র লাগে এই বিষয়ে অনেকেই অবগত না। চলুন তাহলে আজকে জেনে নেই ক্রেডিট কার্ড তৈরি করতে কি কি কাগজপত্র লাগে?
- কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ক্রেডিট কার্ডের আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে এবং সেই ফর্মটি পূরণ করে দিতে হবে।
- তারপর আপনার প্রয়োজন পড়বে নিজ দেশে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং তার সাথে পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপনার কাছে রাখতে হবে।
- অবশ্যই আপনাকে ব্যাংকের সঙ্গে এক বছরে লেনদেন থাকতে হবে। এবং সেই লেনদেনের একটি স্টেটমেন্ট ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
- আপনার মাসিক বেতনের একটা স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার মাসিক বেতন অবশ্যই ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা সর্বনিম্ন হতে হবে।
এ সকল ডকুমেন্ট যদি আপনি সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি ক্রেডিট কার্ড তৈরি করার জন্য সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন অথবা অনলাইনে ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা সমূহ
আপনি যদি ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করার পর ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সমূহ না জেনে থাকেন। তাহলে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা সমূহঃ
লেনদেন ব্যবস্থায় সুবিধাঃ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খুব সহজেই দ্রুত লেনদেন করা সম্ভব। ধরুন, আপনি কোন শপিংমলে গেলেন এক্ষেত্রে আপনি যে পরিমাণ টাকা নিয়ে গিয়েছেন তার থেকে বেশি পরিমাণে আপনি কেনাকাটা করে ফেলেছেন। এক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই আপনার কাছে থাকা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে শপিংমলের বিল পেমেন্ট করতে পারবেন।
তবে আপনাকে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে ক্রেডিট কার্ড আপনাকে যে ঋণ সুবিধায় দিবে সেটা আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করতে হবে। ঋণের সুবিধা সমূহঃ আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড থেকে বিল পেমেন্ট করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে সেটা পরিশোধ করতে হবে। জানা মতে, ক্রেডিট কার্ড থেকে যে ঋণ সুবিধা পাওয়া যায় এটা আপনি পরিশোধ করার জন্য দীর্ঘদিন সময় পাবেন। তবে আপনি যদি সেই সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ না করেন। তাহলে আপনাকে অবশ্যই জরিমানা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
সুরক্ষিত এবং সুবিধা জনকঃ আপনি যদি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করে থাকেন তাহলে আপনার ক্রেডিট কার্ডটি একটি সুরক্ষা দিয়ে থাকে। ধরুন, ক্রেডিট কার্ডটি আপনি কোন কারণে হারিয়ে ফেললেন অথবা আপনার ক্রেডিট কার্ডটি চুরি হয়ে গেল। এক্ষেত্রে আপনার ক্রেডিট কার্ড থেকে যদি কেউ টাকা বের করে নেয়। তাহলে আপনি যে ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করবেন সে ব্যাংকে গিয়ে প্রমাণস্বরূপ তথ্য দিতে পারবেন এবং সেই ব্যাংক আপনাকে টাকা ফেরত প্রদান করবেন।
রিওয়ার্ড পয়েন্ট প্রদান করেনঃ আপনি যদি কোন শপিং মল থেকে কেনাকাটা করে থাকেন। তাহলে সেই কেনাকাটার বিল যদি আপনি সরাসরি প্রদান না করে অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রধান না করে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রদান করেন তাহলে আপনাকে রিওয়ার্ড পয়েন্ট প্রদান করা হয়ে থাকে। সেই রিবার্ড পয়েন্ট ব্যবহার করে আপনি পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের উপহার, মোবাইল রিচার্জ এবং কার্ডের বিল দিতে পারবেন।
ভ্রমণ সুবিধাসমূহঃ আপনি যদি কোন ব্যাংক বা আটিক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করে থাকেন। তাহলে সেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে আপনি ভ্রমণ সুবিধারসমূহ গুলো নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার ফলে আপনি যে হোটেলে থাকবেন সেই হোটেলের ফি কিছুটা কম হতে পারে, বিমান ভাড়া এবং আরো অন্যান্য ভ্রমণ সুবিধাগুলো আপনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে পেতে পারেন।
আপনি যদি উপরোক্ত সুবিধা গুলো নিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক থেকে একটি ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। সেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে আপনি আপনার দৈনন্দিন জীবনে কিছু সুযোগ সুবিধা পাবেন। ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সেই সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানলেন এবং আরো জানলেন ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সমূহ।
ক্রেডিট কার্ড বাবদ খরচ অথবা কত টাকা লাগে
ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা এবং ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। আপনি যদি কোন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাৎসরিক একটা ক্রেডিট কার্ড বাবদ খরচ প্রদান করতে হবে। যেহেতু আপনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন।
সেজন্য আপনাকে সেই সুযোগ সুবিধার জন্য কিছুটা খরচ তো দিতে হবে। এক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড বাবদ খরচ আপনাকে প্রদান করতে হবে। তবে আপনার ক্রেডিট কার্ডের উপর ভিত্তি করে আপনাকে ক্রেডিট কার্ড বাবদ খরচ প্রদান করতে হবে। ধরুন, আপনি যদি গোল্ড প্রাইমারি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন এক্ষেত্রে আপনাকে প্রত্যেক মাসে প্রায় ৮৫ টাকার মতো ক্রেডিট কার্ড বাবদ খরচ প্রদান করতে হবে।
বছরে গিয়ে আপনাকে সেই ক্রেডিট কার্ড বাবদ প্রায় ১০০০ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে। অন্যদিকে আপনি যদি ক্লাসিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে মাসে প্রায় ৪২ টাকা দিতে হবে এবং তা গিয়ে বছরে দাঁড়াবে প্রায় ৫০০ টাকা।তবে আপনি বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন যেগুলোর কোন ফি বাবদ দিতে হয় না।
আশা করি, আপনি বুঝতে পেরেছেন বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ডের জন্য আপনাকে ক্রেডিট কার্ড ফি বাবদ কিছু পরিমাণ টাকা প্রদান করতে হবে। চলুন তাহলে এবারে ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার সেই সম্পর্কে একটু ধারণা নেওয়া যাক।
ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার এবং কি কি
ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা এবং ক্রেডিট কার্ড তৈরি করতে কি কি লাগে সেই সম্পর্কে আপনি জানলেন। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার এবং কি কি। চলুন তাহলে আজকে এই বিষয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। ক্রেডিট কার্ড সাধারণত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে চান।
তাহলে অবশ্যই ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে আপনারা কি সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আপনি কোন ধরনের ক্রেডিট কার্ড নিতে চাচ্ছেন এ বিষয়টি নির্ভর করে আপনি কোন কাজের জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করবেন। আরো একটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে আপনার আর্থিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। আপনার জন্য কোন ক্রেডিট কার্ডটি ভালো সেটা আপনার মাসিক আয় ব্যয়ের উপর নির্ভর করে থাকে। তবে বাংলাদেশে ব্যাংকসমূহ সাধারণত চার ধরনের ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকেন। নিচে কার্ডগুলোর নাম উল্লেখ করা হলোঃ
- ভিসা কার্ড
- মাস্টার কার্ড
- জেসিবি কার্ড
- আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড
সাধারণত বাংলাদেশের ব্যাংকসমূহ এই চার ধরনের কার্ড প্রদান করে থাকেন। তবে আপনি কোন কার্ড পাবেন এটা নির্ভর করবে অবশ্যই আপনার মাসিক আয় এবং আপনি কার্ডটি কোন কাজের জন্য ব্যবহার করতে চাচ্ছেন সেটার উপর।তাছাড়াও আরো বিভিন্ন সুবিধার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিশেষ ধরনের কিছু কার্ড প্রদান করে থাকেন। সেই কার্ডগুলো হলঃ
- সিকিউরিটি কার্ড
- স্টোর কার্ড
- বিজনেস কার্ড অথবা ব্যবসা কার্ড
এই বিশেষ ধরনের কার্ড পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু নিয়মাবলী পূরণ করতে হবে। আপনি চাইলেই যেকোনো ধরনের কার্ড আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বিবেচনা করতে হবে যে আপনি কোন কাজের জন্য কার্ড ব্যবহার করবেন এবং আপনার আয় ব্যয় কেমন হবে সেই সম্পর্কে।
কিভাবে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে হয়
একটি ক্রেডিট কার্ড আপনার লেনদেন ব্যবস্থা দ্রুত তম সময়ে করে দিতে পারে। আপনি ইচ্ছা করলেই একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে অনলাইন থেকে কেনা পণ্য এবং শপিংমলের বিল প্রদান করতে পারবেন। আপনি ইতিমধ্যে জেনেছেন ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা সমূহ এবং সম্পর্কে। একটি ক্রেডিট কার্ড তৈরি করতে কি কি লাগে আপনি জেনে গেছেন।
চলুন তাহলে এবার কিভাবে একটি ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে হয় ? সেই সম্পর্কে একটু ধারণা নেওয়া যাক। একটি ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে উপরে আলোচিত ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করতে হবে। সেই ডকুমেন্টসমূহ দিয়ে আপনি যে ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করবেন সেই ব্যাংকের ওয়েবসাইট গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
অথবা আপনি যদি চান অনলাইনে আবেদন না করে আপনি সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে আবেদন করবেন। তবে আপনাকে ডকুমেন্টগুলো সাথে নিয়ে যেতে হবে। ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করার আগে অবশ্যই আপনাকে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি কোন ধরনের কার্ড ব্যবহার করতে চাচ্ছেন। প্রিয় পাঠক আশা করি, কিভাবে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে হয় সেই সম্পর্কে আপনি জেনে গিয়েছেন।
লেখকের শেষ মন্তব্যঃ ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে
প্রিয় পাঠক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা ও ক্রেডিট কার্ড তৈরি করতে কি কি লাগে সেই সম্পর্কে আপনি জেনে গিয়েছেন। আপনি আরো জেনে গিয়েছেন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুবিধা সমূহ, ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার ও কি কি এবং একটি ক্রেডিট কার্ডের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন সেই সম্পর্কে। আরো জানলেন একটি ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করার জন্য কোন কোন ডকুমেন্টগুলো আপনার থাকা আবশ্যক।
তবে আমার পরামর্শ এটাই যে, একটি ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করার আগে অবশ্যই আপনি কোন ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে চাচ্ছেন সেটা নির্বাচন করে নিতে হবে। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা আপনাদের কোন উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এরকম আরো আর্টিকেল সবার আগে পেতে এই ওয়েবসাইটটি আপনি ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url