১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া। অল্প পুঁজিতে ব্যবসা
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই অল্প পুজিতে ব্যবসার আইডিয়া পেয়ে যাবেন এবং তার সাথে আরো জানতে পারবেন ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে কি কি লাগে।
অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব। যদি আপনি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন এবং দক্ষতার সাথে পরিশ্রম দিয়ে কাজটা চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি লাভবান হতে পারবেন। চলুন না আজকে জেনে নেই, অল্প পুজিতে কিছু ব্যবসার আইডিয়া।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
- ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানুন
- ভ্রমণ গাইড
- পেপারের ঠোঙ্গা তৈরির বিজনেস
- ফ্লাক্সিলোডের দোকান
- মোবাইল সার্ভিসিং এবং কম্পিউটার সার্ভিসিং এর দোকান
- হাতের তৈরি জিনিস অনলাইনে বিক্রি
- আর্টিকেল লেখা
- চা ও পান বিক্রির দোকান
- খাবার হোম ডেলিভারি
- ফলের জুস বিক্রি
- কাপড় ইস্ত্রির দোকান
- বিভিন্ন ফলের ব্যবসা
- ছোট করে হাঁস মুরগির খামার
- অনলাইনে শিক্ষকতা
- অনলাইনে মেয়েদের জামা কাপড় বিক্রি
- ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টার
- ফুলের দোকানের ব্যবসা
- মিনারেল ওয়াটার বিক্রি
- অনলাইনে বিদেশি ভাষা শেখানো
- টেইলার্স বা দর্জির দোকান
- ওয়েডিং প্লানিং ব্যবসা
- কসমেটিকসের দোকান
- ইউটিউব চ্যানেল
- ব্লগিং করা
- মেকআপ বা সাজানোর বিজনেস
- নার্সারি বা বাগান করা
- ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে কি কি লাগে
- ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে লেখকের শেষকথা
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানুন
আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে ১০ হাজার টাকা কি ব্যবসা শুরু করা যায়। ১০ হাজার টাকা ব্যবসা শুরু করা যায়। আপনার হাতে যদি অল্প পুঁজি থাকে তাহলে সেই পুঁজি দিয়ে আপনি ছোট ছোট ব্যবসা করে লাভবান হতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার পরিশ্রম দরকার পড়বে তার পাশাপাশি আপনাকে ধৈর্য রাখতে হবে।
ব্যবসায় যেহেতু স্বাধীনতা আছে সেজন্য সবাই ব্যবসা করতে পছন্দ করে। কিন্তু সঠিক ব্যবসার আইডিয়া না থাকার কারণে অনেকে ব্যবসা শুরু করতে পারে না। অনেক ছোট ছোট ব্যবসা আছে যেগুলো অল্প পুঁজিতেই বা ১০ হাজার টাকার মধ্যেই শুরু করা সম্ভব। আপনি যদি এই ব্যবসা গুলো করতে পারেন এবং ধৈর্য ধরে রাখতে পারেন তাহলে আপনি একদিন সফলতা পাবেন।
তবে এই ব্যবসা গুলো ধরার আগে আপনাকে অবশ্যই একটা সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে। আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা করতে না পারেন তাহলে এই অল্প পুঁজির ব্যবসা গুলো সহজে করতে পারবেন না। ব্যবসা গুলো করার জন্য আপনার অবশ্যই মানসিকতার প্রয়োজন পড়বে এবং তার পাশাপাশি আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
দক্ষতা যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই এই অল্প পুঁজির ব্যবসা গুলো করতে পারবেন। তবে আমার মতে, ব্যবসা করার জন্য প্রথমে অল্প টাকায় ব্যবসা করা অনেক ভালো।আপনি যদি অল্প টাকায় ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ধারণা হয়ে যাবে এবং তার পাশাপাশি আপনার বাজার সম্পর্কে একটা ধারণা হয়ে যাবে। যার ফলে আপনি সুন্দরভাবে একটা ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে, আজকে ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সাথে পরিচয় হওয়া যাক-
- ভ্রমণ গাইড
- পেপারের ঠোঙ্গা তৈরির বিজনেস
- ফ্লাক্সিলোডের দোকান
- মোবাইল সার্ভিসিং এবং কম্পিউটার সার্ভিসিং এর দোকান
- হাতের তৈরি জিনিস অনলাইনে বিক্রি
- আর্টিকেল লেখা
- চা এবং পান বিক্রির দোকান
- খাবার হোম ডেলিভারি
- ফলের জুস বিক্রি
- কাপড় ইস্ত্রির দোকান
- বিভিন্ন ফলের ব্যবসা
- ছোট করে হাঁস মুরগির খামার
- অনলাইনে শিক্ষকতা
- অনলাইনে মেয়েদের জামা কাপড় বিক্রি
- ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টার
- ফুলের দোকানের ব্যবসা
- মিনারেল ওয়াটার বিক্রি
- অনলাইনে বিদেশী ভাষা শেখানো
- টেইলার্স বা দর্জির দোকান
- ওয়েডিং প্লানিং ব্যবসা
- কসমেটিকসের দোকান
- ইউটিউব চ্যানেল
- ব্লগিং করা
- মেকআপ বা সাজানোর বিজনেস
- নার্সারি বা বাগান করা
আর এই ব্যবসা গুলো আপনি অল্প পুজিতেই শুরু করতে পারবেন। তবে এই ব্যবসা গুলো করার জন্য অবশ্যই আপনার দক্ষতার প্রয়োজন পড়বে এবং তার পাশাপাশি অবশ্যই ব্যবসাগুলো করার জন্য আপনাকে শ্রম দিতে হবে। পরিশ্রম দিন এবং ধৈর্য ধরে থাকুন একদিন সফলতা আপনার হবেই।
ভ্রমণ গাইড
আপনি ইচ্ছে করলেই অল্প পুজিতে ভ্রমণ গাইডের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের দর্শনীয় স্থান আছে যেমন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, সেন্টমার্টিন দ্বীপ আরো ইত্যাদি। দর্শনীয় স্থানগুলোতে আপনি ভ্রমণ গাইড এর কাজ করতে পারেন। এই কাজ করতে তেমন একটা পুজির প্রয়োজন পড়ে না।
তবে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। অনেক সময় বাইরের দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের টুরিস্ট আসে। তাদের সাথে কথা বলার জন্য ইংরেজি ভাষার প্রয়োজন পড়বে। আপনি ইচ্ছে করলেই অনলাইনে ইংরেজি ভাষা শেখার কোর্স করতে পারেন এবং খুব সহজেই বিদেশী টুরিস্টের সাথে তখন কথা বলতে পারবেন। বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে আপনার অবশ্যই একটা সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।
না হলে আপনি টুরিস্টদের কে ভালোভাবে বোঝাতে পারবেন না। টুরিস্টরা যেন আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে সেজন্য একটি অনলাইনে ওয়েবসাইটের প্রয়োজন পড়বে। আপনার ওয়েবসাইটে আপনি বিভিন্ন জায়গা সম্পর্কে তুলে ধরবেন। যা দেখে টুরিস্টরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আর এভাবেই আপনি অল্প টাকা পুঁজি করে খুব সহজেই ভ্রমণ গাইডের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
পেপারের ঠোঙ্গা তৈরির বিজনেস
অল্প টাকায় একটি লাভজনক ব্যবসা হল পেপারের ঠোঙ্গা তৈরির ব্যবসা। আপনার হাতে যদি অল্প কিছু পরিমাণ টাকা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসা শুরু করতে শুধু আপনার দক্ষতা এবং আপনার পরিশ্রম দিতে হবে। আপনাকে প্রথমে এই ব্যবসা করার জন্য বাজার থেকে পেপার সংগ্রহ করতে হবে।
বাজারে পুরাতন পেপার সবসময় পাওয়া যায়। আপনি এই পেপারগুলো বাজার থেকে কিনে আনতে পারেন। সেগুলো দিয়ে সুন্দর করে আটার সাহায্যে ঠোঙ্গা তৈরি করতে পারেন। রাস্তার পাশে বিভিন্ন ধরনের ঝাল মুড়ি এবং মুড়ি মাখা বিক্রি করা হয়। আপনি এই সকল দোকানে আপনার পেপারে তৈরি ঠোঙ্গা বিক্রি করতে পারেন।
অন্যদিকে আশপাশে বিভিন্ন ধরনের মদির দোকানে আপনার তৈরি পেপারে ঠোঙ্গা গুলো সরবরাহ করতে পারেন। এই ব্যবসার জন্য ১০ হাজার টাকার বেশি পুঁজি দরকার হয় না। তবে অবশ্যই কিভাবে পেপারের ঠোঙ্গা তৈরি করতে হয় এ বিষয়ে আপনাকে দক্ষ হতে হবে এবং পরিশ্রম দিতে হবে।তাহলে আপনি এই ব্যবসা থেকে খুব সহজেই লাভ করতে পারবেন।
ফ্লাক্সিলোডের দোকান
বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকছে। আপনি ইচ্ছে করলেই ছোট করে একটা ফ্লাক্সিলোডের দোকান দিতে পারেন। এই ব্যবসা করতে আপনার প্রথমে বেশি টাকার প্রয়োজন পড়বে না। সামান্য কিছু টাকার মাধ্যমে আপনি প্রথমে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসা শুরু করতে আপনার প্রথমে সিম কোম্পানিগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
তারপর তাদের সাথে আপনার চুক্তি করতে হবে এবং আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কমিশন সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। আপনি ইচ্ছে করলেই আপনার বাড়ির পাশে থাকা বাজারে ছোট্ট একটি দোকান ভাড়া নিয়ে প্রথমে অল্প টাকা এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যখন আপনার ব্যবসা একটু প্রচার পাবে তখন আপনি ফ্লাক্সিলোডের পাশাপাশি নগদ, বিকাশ ও রকেটে টাকা বিনিময় চালু করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে এ সকল মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি গুলোর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আর এভাবে আপনি আস্তে আস্তে আপনার ব্যবসাকে বড় করতে পারবেন। এভাবে আপনি খুব সহজে আপনার বাড়ির পাশে থাকা বাজারে একটি ছোট দোকানে অল্প পুঁজি দিয়ে খুব সহজেই মোবাইল রিচার্জ এর দোকান দিতে পারবেন।
মোবাইল সার্ভিসিং এবং কম্পিউটার সার্ভিসিং এর দোকান
দিন দিন যেহেতু মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তেছে। সেহেতু মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান দেওয়া খুবই লাভজনক। অন্যদিকে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর এই কম্পিউটার গুলো বিভিন্ন সময়ে খারাপ হয়ে যায়। আপনি ইচ্ছে করলেই ছোট্ট করে একটি কম্পিউটার সার্ভিসিং এর দোকান দিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে মোবাইল সার্ভিসিং এবং কম্পিউটার সার্ভিসিং এর দোকান দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই মোবাইল মেরামত এবং কম্পিউটার মেরামতের কাজ শিখতে হবে। আপনি যদি এসব বিষয়ে অভিজ্ঞ বা দক্ষ না হয়ে থাকেন। তাহলে মোবাইল সার্ভিসিং এবং কম্পিউটার সার্ভিস দোকান দিতে পারবেন না। আপনি ইচ্ছে করলেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ এবং কম্পিউটার সার্ভিসিং এর কাজ শিখতে পারবেন।
কাজগুলো শেখার পর আপনি ছোট করে একটা সার্ভিসিং এর দোকান দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি ১০ হাজার টাকা পুজি করেই সর্বপ্রথম একটা ছোটখাটো মোবাইল সার্ভিসিং এবং কম্পিউটার সার্ভিসিং এর দোকান দিতে পারবেন। এই সার্ভিসিং এর দোকান খুবই লাভজনক। তবে অবশ্যই আপনাকে এসব সার্ভিসিং এর বিষয়ে দক্ষ হতে হবে এবং তার পাশাপাশি আপনাকে পরিশ্রম দিতে হবে।
আপনি যদি মোবাইল সার্ভিসিং এবং কম্পিউটার সার্ভিসিং এর সেবা ভালো ভাবে দিতে পারেন। তাহলে আস্তে আস্তে আপনার ব্যবসার প্রচার বাড়বে এবং সেই ব্যবসা থেকে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
হাতের তৈরি জিনিস অনলাইনে বিক্রি
আপনি যদি বাসায় বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করতে পারেন। তাহলে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করেও ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের শাড়ি বাজার থেকে কিনে এনে সেগুলোর উপর ডিজাইন বসিয়ে। পরবর্তীতে সেগুলোকে অনলাইনে বিক্রি করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে এসব জিনিস তৈরিতে দক্ষ হতে হবে।
আপনি যদি হস্তশিল্পে দক্ষ না হয়ে থাকেন তাহলে এই ব্যবসা কখনোই করতে পারবেন না। তবে আপনি যদি দক্ষ না হয়ে থাকেন তাহলে যিনি হস্তশিল্পীতে দক্ষ তাকে নিয়ে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসায়িক আইডিয়া এবং তার হস্তশিল্পের দক্ষতা এই দুই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আপনি যৌথভাবে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এই ব্যবসা শুরু করতে আপনার হাতে ১০ হাজার টাকা থাকলে যথেষ্ট। যিনি হস্তশিল্পে দক্ষতা তিনি হাতের সাহায্যে নানা ধরনের কারুপণ্য এবং ডিজাইন তৈরি করবেন। আর আপনি সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করবেন। আর এভাবেই আপনি খুব সহজেই অল্প টাকায় পুঁজি করে একটি লাভজনক ব্যবসা দিতে পারবেন।
আর্টিকেল লেখা
আপনি যদি লিখতে এবং পড়তে ভালোবাসেন তাহলে খুব সহজে আর্টিকেল লিখে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ধরুন, আপনি ইংরেজিতে খুব দক্ষ। এক্ষেত্রে আপনি ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখে সেগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিক্রি করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে কিভাবে আর্টিকেল লিখতে হয়।
কিভাবে আর্টিকেল লিখলে পাঠক উপযোগী হয় সেই বিষয়টির উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনি যদি ভালোভাবে আর্টিকেল লিখতে পারেন। তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনি সেগুলো বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি অল্প কিছু টাকায় একটা ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ কিনে এই কাজটি শুরু করতে পারেন।
এই কাজটি শুরু করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভালো লেখক এবং দক্ষতার প্রয়োজন পড়বে। এর পাশাপাশি এই কাজটি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম দিতে হবে এবং ধৈর্য ধরে কাজটি করতে হবে । তাহলে আপনি এই কাজটি থেকে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। আর আপনি যদি আর্টিকেল লেখায় দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হতে পারেন। তাহলে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইটে আপনি চুক্তিভিত্তিক কাজ করতে পারবেন।
চা ও পান বিক্রির দোকান
চা ও পান বিক্রির দোকান অল্প টাকায় একটা লাভজনক ব্যবসা। রাস্তার পাশে অনেক চা ও পান বিক্রি করার দোকান সচরাচর চোখে পড়ে। লোকজন নিজেকে কর্মব্যস্ততার থেকে একটু বিরতি দিতে চা খেতে খুবই ভালোবাসে। আপনিও ইচ্ছে করলেই অল্প টাকার পুজি করে এই ব্যবসা দিতে পারেন। এক্ষেত্রে তেমন কিছু অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়ে না।
আপনি প্রথমে বাসায় চা তৈরি করে সেগুলো ফেরী করেও বিক্রি করতে পারেন। অথবা আপনি রাস্তার পাশে ছোট করে একটি চা ও পানের দোকান দিতে পারেন। তবে এই ব্যবসা সম্পর্কে আপনার ছোটখাটো একটু ধারণার প্রয়োজন পড়বে। আপনি যদি ভালো এবং মানসম্মত চা তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন তাহলে আপনার কাস্টমারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
আস্তে আস্তে আপনি আপনার ব্যবসাটাকে একটু বড় করতে পারবেন। তবে চা এবং পানের পাশাপাশি আপনি কিছু খাবার রাখতে পারেন। অল্প টাকায় ভালো একটা ব্যবসার আইডিয়া হল চা ও পান বিক্রি করার দোকান দেওয়া এবং সেখান থেকে ভালো একটা টাকা আপনি প্রতিদিন আয় করতে পারবেন।
খাবার হোম ডেলিভারি
দিন যত যাচ্ছে মানুষ কর্মব্যস্ততা হয়ে পড়তেছে। যার ফলে তারা বাসায় রান্না করার সময় পায় না। অন্যদিকে যারা স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করে তারা অনেক সময় রান্না করা সামগ্রী না থাকার কারণে রান্না করতে পারে না। এক্ষেত্রে আপনি খাবার হোম ডেলিভারি ব্যবসাটি চালু করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে মানসম্মত খাবার রান্না করতে হবে এবং সেগুলোকে ভালোভাবে সরবরাহ করতে হবে।
আপনি এই ব্যবসাটি প্রথমে ছোট করে চালু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি চালু করার জন্য আপনার প্রথমে তেমন কিছু পুজির প্রয়োজন পড়বে না। আপনি যদি রান্না করতে না পারেন তাহলে একজন রাধুনী আপনি রেখে দিতে পারেন। রাধুনী রান্না করবে আর অনলাইন এর মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে আপনি সেগুলো বাসায় পৌঁছে দিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনি আপনার ব্যবসাটাকে কোন অফিস বা ম্যাসের কাছাকাছি দিতে পারেন। আপনি যদি মানসম্মত খাবার দিতে পারেন তাহলে আস্তে আস্তে আপনার ব্যবসা প্রচার পাবে এবং আপনি চাইলে আপনার ব্যবসাটাকে আস্তে আস্তে বড় ব্যবসায় দাড় করাতে পারবেন। আর এভাবে আপনি খুব সহজেই ১০ হাজার টাকার মধ্যেই একটি খাবার হোম ডেলিভারির ব্যবসা দিতে পারবেন।
ফলের জুস বিক্রি
ফলের জুস বিক্রি ভালো ব্যবসায়িক আইডিয়া। বিভিন্ন সময় অর্থাৎ গরমের সময় লোকজনের তৃষ্ণা অনেক বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনি একটি ফলের জুস বিক্রির দোকান দিতে পারেন। ফলের জুস বিক্রি করার জন্য তেমন কোন অভিজ্ঞতা বা দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। তবে ফলের জুস বিক্রি করার জন্য অবশ্যই আপনাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং ভালো একটা জায়গা পছন্দ করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি যেকোনো দর্শনীয় স্থান অথবা যেখানে লোকজনের আনাগোনা আছে সেখানে আপনি ফলের জুস বিক্রি করা দোকানটি দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি ১০হাজার টাকার মধ্যেই এই ব্যবসাটি চালু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি করার জন্য আপনার প্রথমে কিছু সামগ্রীর প্রয়োজন পড়বে। বিভিন্ন ফলের জুস তৈরি করার জন্য যন্ত্রপাতি এবং উপকরণ সামগ্রী কিনে।
আপনি এই দোকানটি বা ব্যবসাটি চালু করতে পারেন। আসলে এই ব্যবসায় অল্প কিছু টাকা লাগিয়েই ভালো টাকা আয় করা সম্ভব। তবে আপনাকে অবশ্যই মানসম্মত ফলের জুস এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে তৈরি করে বিক্রি করতে হবে। তাহলে আপনার কাস্টমারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং ভালো টাকা লাভ করতে পারবেন।
কাপড় ইস্ত্রির দোকান
কাপড় ইস্ত্রির দোকান খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা আইডিয়া। মানুষজন নিজেকে সুন্দর রাখতে পোশাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে খুবই ভালোবাসে। তাছাড়াও কাপড় লন্ড্রি করা না থাকলে পড়লে যেন জামা কাপড় ভাজ হয়ে থাকে। আপনি ইচ্ছে করলেই একটা কাপড় ইস্ত্রির দোকান দিতে পারেন। এক্ষেত্রে এই দোকানটি দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বাসা বাড়ির আশপাশে দিতে হবে।
তাহলে আপনি কাস্টমার পাবেন এবং আয় করতে পারবেন। এই দোকান দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই সুন্দর করে কাপড় ইস্ত্রি করা শিখতে হবে। আপনি যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে এবং যত্ন সহকারে কাপড় ইস্ত্রি করতে না পারেন। তাহলে আপনি আপনার ব্যবসা প্রচার করতে পারবেন না। তাই আপনাকে প্রথমে ভালো করে কাপড় ইস্ত্রী করা শিখতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন জায়গা থেকে কাপড় ইস্ত্রি করা শিখে এসে ছোট্ট করে একটি দোকান দিতে পারেন। কথায় আছে ,আপনি যদি ভাল কাজ পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার দোকানে কাস্টমার দিন দিন বাড়তে থাকবে। আর এভাবেই অল্প কিছু টাকা পুঁজি করে আপনি খুব সহজেই একটা লাভজনক ব্যবসা বা দোকান দাড় করাতে পারবেন।
বিভিন্ন ফলের ব্যবসা
বিভিন্ন সময়ে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যায়। অনেক সময় সিজনাল ফলের দাম অনেকাংশেই বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনি সিজনাল ফলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ধরুন, লিচুর সিজনে আপনি লিচু এনে সেগুলো বিক্রি করতে পারেন। অন্যদিকে একইভাবে আমের সিজনে আপনি আম এনে বিক্রি করতে পারেন।
অর্থাৎ সিজনে আপনি আম, লিচু এবং তার পাশাপাশি অন্য ফল বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। এই সিজনাল ফলের ব্যবসা অল্প সময়ের মধ্যে আপনি চালু করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি বাগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী ফল কিনে সেগুলো অল্প টাকা লাভ করে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি কাস্টমার পাবেন বেশি এবং আপনার লাভও হবে বেশি।
অন্যদিকে এভাবে আপনি আপনার ব্যবসার প্রচার বাড়াতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে অল্প লাভ করে সেগুলো বিক্রি করতে হবে এবং মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার কাস্টমার বাড়াতে পারবেন। আরে এভাবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনি ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটি লাভজনক ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন।
ছোট করে হাঁস মুরগির খামার
যেহেতু আপনার পুজি কম সেহেতু আপনাকে ছোট্ট করে একটা হাঁস মুরগির খামার দিতে হবে। প্রথমে আপনাকে পরিকল্পনা করে নিতে হবে আপনি কিসের খামার দিতে চান। আপনি যদি হাঁসের খামার দিতে চান তাহলে আপনাকে হাঁসের খামার দিতে হবে। অন্যদিকে আপনি যদি মুরগির খামার দিতে চান তাহলে আপনাকে মুরগির খামার দিতে হবে।
অবশ্যই গ্রামাঞ্চলে সচরাচর হাঁস মুরগি পালন করা দেখা যায়। কেননা হাঁস মুরগি পালন করার পরিবেশ গ্রাম অঞ্চলে থাকে। আপনি যদি শহরে হাঁস-মুরগির খামার দিতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে বাসস্থান তৈরি করে নিতে হবে। আপনার যদি ১০ হাজার টাকা পুঁজি থাকে তাহলে সেখান থেকে কিছু টাকা দিয়ে আপনাকে প্রথমে খামারের বাসস্থান তৈরি করে নিতে হবে।
তারপর আপনি যদি মুরগি পালন করেন তাহলে ভালো জাতের মুরগির বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে। অন্যদিকে একইভাবে যদি আপনি হাঁস পালন করতে চান তাহলে আপনাকে ভাল জাতের হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে। সেগুলো যদি আপনি ভালো করে প্রতিপালন করতে পারেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনি হাঁসের ডিম বা মুরগির ডিম বাজারে বিক্রি করেও আয় করতে পারবেন। অন্যদিকে হাঁস এবং মুরগি যখন বাজারজাত করার মতো হয়ে যাবে তখন আপনি সেগুলো বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। বিক্রি করা কিছু টাকা দিয়ে আবার নতুন করে হাঁস বা মুরগির বাচ্চা কিনে এনে পালন করতে পারবেন। আর এভাবেই আপনি অল্প টাকায় একটি খামার তৈরি করতে পারবেন।
অনলাইনে শিক্ষকতা
অনলাইনে শিক্ষকতা ভালো ব্যবসা আইডিয়া। আপনি যদি পড়াতে ভালোবাসেন তাহলে আপনি ছোট করে প্রথমে অনলাইনে শিক্ষকতা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার তেমন কিছু পুজির প্রয়োজন পড়বে না। প্রথমে আপনাকে অনলাইনে পড়ানোর জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করে নিতে হবে। অথবা অনলাইনে আপনার তৈরি বিভিন্ন ধরনের কোর্স বিক্রি করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি ভাল পড়াতে পারেন এবং বোঝাতে পারেন তাহলে আপনার অনলাইনে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আপনি সেখান থেকে ভালো একটা টাকা আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ভিডিও করার জন্য আপনার একটি ভালো মোবাইল ফোনের প্রয়োজন পড়বে। আপনার পারদর্শিতা এবং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সেগুলো শেখানোর ভিডিও আপনি কোর্স হিসাবে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি আপনার যে কোন অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সেগুলোর ভিডিও তৈরি করে অন্যজনকে শিখানোর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। ধরুন, আপনি ইংরেজিতে অনেক পারদর্শী। এই ইংরেজিতে আপনি বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করে অন্যদেরকে শেখাতে পারবেন এবং তাদের কাছে কোর্স ফি নিতে পারবেন। আর এভাবেই অল্প টাকার মাধ্যমে অনলাইনে মানুষদেরকে শেখানোর মাধ্যমে আপনি ভালো একটা ব্যবসা চালু করতে পারবেন।
অনলাইনে মেয়েদের জামা কাপড় বিক্রি
অল্প টাকায় ভালো একটা ব্যবসা অনলাইনে মেয়েদের জামা কাপড় বিক্রি। আপনি ইচ্ছে করলে অল্প টাকা দিয়ে এই ব্যবসা চালু করতে পারেন। এই ব্যবসা করার জন্য তেমন কিছু অভিজ্ঞতা বা দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে না। তবে আপনাকে কাপড় চিনতে হবে। কোনটা ভাল কাপড় আর কোনটা মন্দ কাপড় আপনার সেই সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
তাহলে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে ভালো বা মান সম্মত কাপড় সংগ্রহ করে রাখতে হবে। আপনি যদি নতুন নতুন কাপড়ের ডিজাইন বা আকর্ষণীয় কাপড় সংগ্রহ করতে না পারেন তাহলে সেগুলো বিক্রি করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন না।
তাই আপনাকে সর্বপ্রথম ভালো কাপড়ের ডিজাইন এবং আকর্ষণীয় কাপড় সংগ্রহ করতে হবে। পরবর্তীতে আপনি অনলাইনে ইউটিউব অথবা ফেসবুকে সেগুলোর ভিডিও প্রচার করে বিক্রি করতে পারবেন। গ্রাহকদের জানার সুবিধার্থে আপনাকে কাপড়ের দাম এবং মান দুটোই উল্লেখ করতে হবে। তার পাশাপাশি আপনার সাথে যোগাযোগের নাম্বার অথবা ঠিকানা দিতে হবে। আর এভাবেই আপনি অল্প টাকায় পুঁজি করে বা ১০ হাজার টাকার মধ্যেই ভালো একটা ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন।
ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টার
আপনি যদি পড়াশোনায় পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি একটা ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টার দাড় করাতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে জায়গা নির্বাচন করতে হবে। কোন জায়গায় কোচিং সেন্টারটি দিলে আপনার ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে সেই জায়গাটি আপনাকে সর্বপ্রথম নির্বাচন করতে হবে।
সেখানে প্রথম একটি ছোট পরিসরে ঘর তৈরি করে কিছু চেয়ার টেবিল নিয়ে আপনি একটা কোচিং সেন্টার খুলতে পারবেন। আপনি একাই যদি সেটা চালু করতে না পারেন তাহলে আপনার দুই একটা বন্ধু-বান্ধব মিলে যৌথভাবে আপনি কোচিং সেন্টারটি চালু করতে পারবেন। আপনি অনলাইনেও সেই কোচিং সেন্টার চালু করে বা কোর্স করিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি আপনার ছাত্র-ছাত্রীদের ভালোভাবে পড়াশোনা করাতে পারেন ।তাহলে আপনার ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আপনার কোচিং সেন্টারে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির ফি নিয়ে মাসে আপনি একটা ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। আর এভাবেই আপনি খুব সহজেই ১০ হাজার টাকার মধ্যে একটা ছোটখাটো ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টার চালু করতে পারবেন এবং ভালো টাকা আয় করা সম্ভব।
ফুলের দোকানের ব্যবসা
ফুল সবাই ভালোবাসে । বিভিন্ন সময় ফুলের চাহিদা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পায়। আপনি ইচ্ছে করলেই অল্প টাকার মধ্যে একটি ফুলের দোকান দিতে পারেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে সৌন্দর্যময় করার জন্য প্রয়োজন পরে ফুলের। তাছাড়াও ফুলের তোড়া নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার রীতি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ফুলের দোকানে ফুলে তোড়া রেখে সেগুলো বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
তাছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের উৎসবে ফুলের প্রয়োজন পড়ে। তবে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে কোন সময়ে কোন ফুলের চাহিদা বেশি। সেক্ষেত্রে আপনি বাগান মালিকের কাছ থেকে ফুল সংগ্রহ করে সেগুলো কম টাকা লাভ করে বিক্রি করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে ভালো মানের ফুল সংগ্রহ করতে হবে। যাতে ক্রেতা পছন্দ করে এবং কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
এই ফুল আপনি অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। আর এভাবেই আপনি ১০ হাজার টাকায় ভালো একটা ফুলের ব্যবসা বা দোকান দাড় করাতে পারবেন। সেই ফুলের দোকান থেকে বিভিন্ন ফুল বিক্রি করে মোটামুটি ভালো একটা আয় করার সম্ভাবনা থাকে।
মিনারেল ওয়াটার বিক্রি
গরমকালে পানি চাহিদা অনেকাংশই বৃদ্ধি পায়। আপনি এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা চালু করতে পারেন। মিনারেল ওয়াটার ব্যবসা চালু করার জন্য তেমন কিছু অভিজ্ঞতা বা তেমন কিছু দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে না। আপনার যদি পারদর্শিতা না থাকে তাহলে তাও আপনি মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা চালু করতে পারেন।
এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আপনাকে ভালো মিনারেল ওয়াটার সংগ্রহ করতে হবে। আপনি গরম কালে মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা চালু করতে পারেন। যেহেতু গরমকালে মিনারেল ওয়াটারের চাহিদা বেশি সেহেতু আপনি সেখান থেকে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে প্রথমে ভালো একটা জায়গা নির্বাচন করে নিতে হবে যে জায়গায় লোকজনের আনাগোনা আছে।
আপনি স্টেশনে অথবা বাস টার্মিনালে মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা চালু করতে পারেন। তবে শহর অঞ্চলে মিনারেল ওয়াটার এর চাহিদা বেশি থাকে। আপনি চাইলে শহর অঞ্চলে মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা চালু করতে পারেন। এতে আপনি বেশ সাফল্য পাবেন এবং ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। আর এভাবেই আপনি ১০ হাজার টাকায় খুব সহজে মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
অনলাইনে বিদেশি ভাষা শেখানো
লোকজনের বিদেশী ভাষা শেখার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বেড়ে চলেছে। আপনি চাইলে আপনার পারদর্শিতা এবং অভিজ্ঞতা থেকে কাজে লাগিয়ে বিদেশি ভাষা শেখানোর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বিদেশী ভাষা শেখানোর জন্য অনলাইনে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে নিতে হবে।
ইউটিউব অথবা ফেসবুকে আপনার তৈরিকৃত ক্লাসের কোর্স বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। তবে বিদেশী ভাষা শেখানোর আগে আপনাকে অবশ্যই বিদেশী ভাষায় পারদর্শী হতে হবে। আপনি যদি বিদেশী ভাষা না পারেন তাহলে তো আপনি অনলাইনে এই ভাষা শেখাতে পারবেন না। তবে আপনি যদি বিদেশি ভাষায় দক্ষ হয়ে থাকেন।
তাহলে সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনি লোকজনকে শিখিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। অফলাইনে আপনি বিদেশি ভাষা শেখানোর একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারেন। যেখানে আপনি মানুষ জনকে বিদেশি ভাষা শিখিয়ে সেখান থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। আর এভাবে আপনি খুব সহজেই আপনার পুঁজি দশ হাজার টাকার মাধ্যমে আপনি একটি লাভজনক ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন।
টেইলার্স বা দর্জির দোকান
দিন দিন মেয়েদের জামাকাপড় সেলাইয়ের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকছে। তাছাড়াও ছেলেরাও প্রয়োজনে তাদের জামা কাপড় সেলাই করে থাকে। আপনি যদি কাপড় সেলাইয়ের কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজে একটি দর্জির দোকান দিতে পারেন। তবে আপনার যদি এই কাজে কোন অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা না থেকে থাকে। তাহলে আপনি দর্জির দোকান দিতে পারবেন না।
কেননা আপনার কাজটি যদি কাস্টমারের পছন্দ না হয়। তাহলে আপনাকে সেই কাজ কখনোই দিবে না। তাই আপনাকে প্রথমে কাস্টমারের মনমতো বা পছন্দমতো কাজটি করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাহলে আপনার দোকান প্রচার হবে। এক্ষেত্রে আপনি কাস্টমারের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে সেগুলোর কাজ সম্পন্ন করে ডেলিভারি দিতে পারবেন।
আর এখান থেকে আপনি মোটামুটি ভালো একটা টাকা আয় করতে পারবেন। তবে আপনার যদি কাপড় সেলাইয়ের বিষয়ে কোন অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি কাপড় সেলাইয়ের কাজ শিখে এসে ছোট পরিসরে দোকান দিতে পারেন। আর এভাবে আপনি আপনার একটি দর্জির দোকান চালু করতে পারবেন এবং অল্প পুঁজি দিয়েই আয় করতে পারবেন।
ওয়েডিং প্লানিং ব্যবসা
১০ হাজার টাকার মধ্যে সবচেয়ে ভালো ব্যবসা হলো ওয়েডিং প্ল্যানিং ব্যবসা। আপনার যদি ওয়েডিং প্লানিং ভালো পারদর্শী এবং দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে আপনি ১০ হাজার টাকা দিয়ে ওয়েডিং প্লানিং এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ব্যস্ত এই শহর নগরীতে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে বা বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হয়।
আপনি ইচ্ছে করলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা বিবাহ অনুষ্ঠানের এই আয়োজনগুলো করে থাকতে পারবেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও এবং বিবাহ অনুষ্ঠানে ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় বাড়ির মানুষেরা এই আয়োজনগুলো করতে পারে না। তখন তারা বিভিন্ন ধরনের ওয়েডিং প্লানিং এর কাছে অনুষ্ঠানটি করার দায়িত্ব দিয়ে থাকে। বিবাহ বা অনুষ্ঠানের যাবতীয় সকল কাজ এই ওয়েডিং প্লানিং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো করে থাকে।
আপনি ইচ্ছে করলেই ওয়েডিং প্লানার হিসেবে আপনার ব্যবসার পথ চালু করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি একটি অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে আয়োজন করতে পারেন তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম আস্তে আস্তে মানুষের কাছে প্রচার পাবে। তার সাথে দিন যত যাবে আপনার কাজের চাপ বাড়তেই থাকবে। আর এভাবে আপনি খুব সহজেই একটি অনুষ্ঠানে সুন্দর আয়োজন করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
কসমেটিকসের দোকান
কসমেটিকসের দোকান একটি ভালো লাভজনক ব্যবসা। আপনার যদি ইচ্ছেশক্তি থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার বাসার পাশে বাজারে একটি কসমেটিকসের দোকান দিতে পারেন। এতে করে আপনি সেখান থেকে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। মেয়েরা কসমেটিকসের জিনিস কিন্তু খুবই ভালোবাসেন এবং তার পাশাপাশি পছন্দ করেন।
আপনি এই পছন্দটাকে কাজে লাগিয়ে একটি কসমেটিকসের দোকান দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে নতুন নতুন ডিজাইন কালেকশন করতে হবে। এমন কিছু আকর্ষণীয় কসমেটিকস রাখতে হবে যেন সবার পছন্দের তালিকায় থাকে। তাছাড়াও নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আপনি আপনার কসমেটিকসের দোকানে রাখতে পারেন।
এই ব্যবসা আপনি প্রথমে ছোট পরিসরে অর্থাৎ আপনার যতটুকুর মধ্যে সামর্থ ঠিক ততটুকুর মধ্যেই শুরু করতে পারেন। ছোট ছোট জিনিস যা স্বল্পমূলে বিক্রি হয় আপনি সেখান থেকে অল্প পরিমাণে লাভ করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। অন্যদিকে আপনি গ্রামে গ্রামে ফেরি করেও এই কসমেটিকসের জিনিসগুলো বিক্রি করতে পারবেন। আর এভাবেই আপনি আপনার জীবনের সঞ্চয় করা অল্প কিছু পুঁজি দিয়ে খুব সহজেই একটি লাভজনক ব্যবসা চালু করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল
আপনি কোন না কোন কাজে পারদর্শী। আর এই পারদর্শিতায় হতে পারে আপনার আয় করার প্রধান মাধ্যম। আপনি ভিডিও তৈরি করে সেই ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার কোন পুঁজি দরকার হয় না। সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ইউটিউবে চ্যানেল খুলে নিতে হবে। সেই চ্যালেনে আপনার তৈরিকৃত ভিডিও আপলোড করে।
আপনি সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে আপনাকে ভিডিও তৈরি করার জন্য একটা ভালো ফোনের প্রয়োজন পড়বে। কেননা আপনার ভিডিও যদি ভালো না হয় বা আপনার ভিডিও কোয়ালিটি যদি ভালো না হয় তাহলে ভিউ আসবে না। এক্ষেত্রে আপনি সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না। তাই অবশ্যই আপনাকে একটা ভালো ফোন যেই ফোনে ক্যামেরা কোয়ালিটি ভালো সেই ফোন থাকতে হবে।
তার পাশাপাশি আপনার ফোনে ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজন পড়বে। এইসব উপকরণ যদি থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আর এভাবে আপনি নিজের কিছু দক্ষতা থাকে তাহলে সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার একটা ইউটিউব চ্যানেল প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন এবং সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ব্লগিং করা
ব্লগিং করা একটা ভালো ব্যবসা এবং সেখান থেকে খুব ভালো পরিমাণে টাকা আয় করা সম্ভব। আপনার যদি ব্লগিং সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি ব্লগিং সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন। ব্লগিং করা হলো গুগলে আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকা। যেখানে আপনি আপনার বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা আর্টিকেলের মাধ্যমে শেয়ার করবেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে গুগলে একটি ব্লগার ওয়েবসাইট খুলে নিতে হবে। আপনি ইচ্ছে করলে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ব্লগিং করা শিখে কাজ করতে পারবেন। আপনি যদি গুগলে ব্লগিং একাউন্ট খুলতে চান। তাহলে আপনাকে কিছু পরিমাণ অর্থ দিয়ে প্রথমে একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর আপনি সেখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখে প্রকাশ করতে পারবেন।
পরবর্তীতে আপনি যখন গুগল এডসেন্স পেয়ে যাবেন। তখন আপনার লেখা আর্টিকেল যত ভিজিটর পড়বে অথবা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে। ঠিক সেই পরিমাণে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই কাজটি করার জন্য অবশ্যই আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারেন। তার পাশাপাশি আপনাকে পরিশ্রমী হতে হবে এবং ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। আর এভাবেই আপনি অল্প পুঁজি দিয়ে ব্লগিং ব্যবসা চালু করতে পারেন এবং সেখান থেকে অর্থ আয় করতে পারেন।
মেকআপ বা সাজানোর বিজনেস
মেকআপ বা সাজানোর ব্যবসা খুবই লাভজনক ব্যবসা। কেননা সবাই সাজতে পছন্দ করে। আর আপনি যদি সুন্দর করে সাজাতে পারেন তাহলে আপনার কাছের মানুষ সাজতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। তাই অবশ্যই আপনাকে সাজানোর প্রতি বা মেকআপে পারদর্শী হতে হবে। বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে বা বিবাহ অনুষ্ঠানে নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য বিশেষ করে মেয়েরা সাজতে পছন্দ করে।
আপনি যদি ভাল একজন মেকআপ আর্টিস্ট হতে পারেন। তাহলে আপনার কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তবে অবশ্যই আপনাকে মেকআপে পারদর্শী বা দক্ষ হতে হবে। অন্যদিকে আপনার যদি মেকআপ বা সাজানোর কোন আইডিয়া না থেকে থাকে তাহলে আপনি যেকোন ভালো একজন মেকআপ আর্টিস্ট এর কাজ থেকে এ সকল কাজ শিখতে পারবেন।
তবে আপনি যদি সাজানোর কাজ আগে থেকেই পারেন তাহলে আপনাকে প্রথমে সেটা প্রচার করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি অনলাইনে আপনার সাজানোর অভিজ্ঞতার ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে আপনি আপনার মেকআপ বা সাজানোর বিজনেসটাকে প্রচার করতে পারবেন। আর এভাবেই খুব সহজেই ১০ হাজার টাকার মধ্যে লাভজনক একটা ব্যবসা দাঁড় করানো সম্ভব যদি আপনি পরিশ্রমী এবং দক্ষ হন।১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে সর্বশেষ আয়ডিয়া জেনে নেই।
নার্সারি বা বাগান করা
১০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো একটা ব্যবসার আইডিয়া হলো নার্সারি বা বাগান করা। নার্সারি বা বাগান করা হল একটি সৌখিন কাজ। আর এই সৌখিন কাছ থেকে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। নার্সারি বা বাগান করতে আপনাকে প্রথমে একটা জায়গা নির্বাচন করতে হবে। সেখানে চারা রোপণের জন্য প্রথমে আপনাকে মাটিকে উপযুক্ত করে নিতে হবে।
আপনি অল্প জায়গার মধ্যে এই কাজটি করতে পারবেন। তারপর আপনাকে ভালো মানের চারা যে চারা গুলোর চাহিদা বেশি সেগুলো রোপন করতে পারেন। বিভিন্ন গাছপালার পাশাপাশি আপনি বিভিন্ন ধরনের ফুলের চারা রোপন করতে পারেন। যখন চারা গুলো উপযুক্ত হয়ে যাবে। তখন আপনি সেগুলো বিক্রি করে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
অন্যদিকে ফুল বিক্রি করে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। তবে অবশ্যই নার্সারি বা বাগান করার জন্য আপনাকে যত্নবান এবং তার পাশাপাশি পরিশ্রম দিতে হবে। আপনাকে সব সময় বাগানের পরিচর্যা নিতে হব। যাতে আপনি চারাগুলোকে সুন্দরভাবে বড় করে তুলতে পারেন। আর এভাবে আপনি আপনার পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে অল্প কিছু টাকা দিয়ে বাগান শুরু করতে পারেন এবং সেই বাগানে চারা বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। আশা করি আপনি ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।
১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে কি কি লাগে
অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে ১০ হাজার টাকার ব্যবসা শুরু করতে কি কি লাগে বা কি কি প্রয়োজন পড়ে ? যে কোন ব্যবসা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রমী একজন মানুষ হতে হবে। আপনি যদি পরিশ্রমী না হন তাহলে কখনো ব্যবসায় সাফল্য পাবেন না। আপনাকে পরিশ্রমের পাশাপাশি অবশ্যই ধৈর্য ধরে ব্যবসা করতে হবে।
ব্যবসা করার জন্য প্রথমে আপনার প্রয়োজন ভালো একটা পরিকল্পনা। অর্থাৎ আপনি কোন বিষয়ে ব্যবসা করতে ইচ্ছুক সেটা আপনাকে প্রথমে নির্বাচন করে নিতে হবে। অন্যদিকে ব্যবসা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বাজার সম্পর্কে একটা ধারণা রাখতে হবে। আপনার গ্রাহকদের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে এবং নতুন নতুন আইডিয়া খুঁজে বের করতে হবে।
এই কাজ গুলো যদি আপনি করতে পারেন তাহলে খুব সহজে আপনি আপনার ব্যবসা দাড় করাতে পারবেন সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।আপনি উপরোক্ত আলোচনায় ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া এবং ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে কি কি লাগে সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে লেখকের শেষকথা
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে এবং ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে কি কি লাগে সেই সম্পর্কে আশা করি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি যথেষ্ট ধারণা পেয়েছেন। তবে আমার পরামর্শ এটাই যে, অল্প কিছু পুঁজি দিয়ে আপনি প্রথমে আপনার ব্যবসাকে চালু করতে পারেন। অবশ্যই ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনাকে একজন পরিশ্রমী মানুষ হতে হবে এবং ধৈর্য ধরে ব্যবসা করতে হবে।
আপনার বাজার সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণে ধারণা থাকতে হবে। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কোন উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের জানার সুবিধার্থে আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন। এরকম আর্টিকেল সবার আগে পেতে এই ওয়েবসাইটটি আপনি ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url