ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো-ব্লগে সিটিং ঠিক করার নিয়ম

ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো এবং গুগলে ব্লগার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন।তার সাথে জানতে পারবেন ওয়েবসাইট এবং ব্লগের মধ্যে পার্থক্য।
ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো১
খুব সহজেই কোন টাকা না খরচ করে গুগল একটি ব্লগার একাউন্ট খোলা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক নিয়ম জেনে গুগল একটি ব্লগার একাউন্ট খুলতে হবে। আপনি যদি না জেনে থাকেন, ব্লগার কি ?তাহলে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জেনে নিতে পারবেন ব্লগার সম্পর্কে।

পোস্ট সূচিপত্রঃব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো

ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো

ব্লগার একাউন্ট খুলতে হলে অবশ্যই আপনাকে ব্লগার সম্পর্কে একটি যথেষ্ট পরিমাণ ধারণা রাখতে হবে। ব্লগার সম্পর্কে আপনার যদি ধারণা না থাকে তাহলে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ব্লগার কি এবং ব্লগারের কাজ কি? আপনি কয়েক মিনিটের মধ্যেই গুগলে আপনার একটি ব্লগার একাউন্ট খুলতে পারবেন। 

এক্ষেত্রে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে গুগলে ব্লগার ডট কম লিখে সার্চ করতে হবে। যখন আপনার সামনে একটি ব্লগারের হোম পেজ চলে আসবে। সেখান থেকে আপনি খুব সহজেই একটি ব্লগার একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। যে একাউন্টে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা, জ্ঞান-দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করতে পারবেন বিভিন্ন আর্টিকেলের মাধ্যমে। 

যে আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি অন্যজনকে জানার সুযোগ করে দিবেন। তাহলে এক কথা বলায় যেতে পারে যে, ব্লগার হলো অনলাইনে আপনি আপনার প্রতিভাকে প্রকাশ করে অন্যজনদেরকে জানার সুযোগ করে দিবেন। ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো সেই সম্পর্কে জানার আগে চলুন তাহলে ব্লগার কি এই সম্পর্কে একটু ধারণা নেওয়া যাক।

ব্লগার কি এবং ব্লগারের কাজ কি

ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো এটা জানার আগে ব্লগার সম্পর্কে অনেকের মনে অনেক ধরনের ধারণা রয়েছে। চলুন তাহলে আজকে ব্লগার সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা নেওয়া যাক। ব্লগার হলো অনলাইনের মাধ্যমে আপনি আপনার নিজস্ব মতামত, দক্ষতা, প্রতিভা এবং সৃজনশীলতা প্রকাশ করা। অর্থাৎ বলা যেতে পারে, অনলাইনের মাধ্যমে আপনি নিজের মনের ভাব অন্যকে জানার সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে হল ব্লগার। যেখানে আপনি আপনার মনের ধারণাগুলোকে স্পষ্ট ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। আশা করি, ব্লগার সম্পর্কে আপনার একটি সুস্পষ্ট ধারণা হয়ে গেছে।

ব্লগারের কাজ কিঃ যদি খুব সাধারণভাবে বলা যায় ব্লগারের কাজ কি? তাহলে এই কথাটা এভাবে বলা যেতে পারে যে, কোন ব্লগারের নিজস্ব মতামত অনলাইনের মাধ্যমে বা ডিজিটাল মাধ্যমে অন্য জনের কাছে পৌঁছে দেওয়াই ব্লগারের কাজ। যেখানে একজন ব্লগার যেকোনো ক্যাটাগরির উপর তার নিজস্ব মতামত লিখতে পারে। ক্যাটাগরি হতে পারে লাইভ-স্টাইল, কৃষি বিষয়ক, স্বাস্থ্য বিষয়ক, টিপস এন্ড ট্রিকস, ফ্যাশন ও অনলাইন-ইনকাম ইত্যাদি বিষয়ে নিজের অভিমত একটি আর্টিকেলের মাধ্যমে প্রকাশ করায় হলো ব্লগারের কাজ। এই ব্লগার একাউন্টে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতা ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।

ব্লগার একাউন্ট খুলতে কি কি লাগবে

ব্লগার কি এবং আপনি কেন ব্লগার একাউন্ট খুলবেন এই সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা পেয়েছেন। চলুন তাহলে এখন জেনে নেই, ব্লগার একাউন্ট খুলতে কি কি জিনিসপত্রের প্রয়োজন পড়ে। আসলে একটি ফ্রি ব্লগার একাউন্ট খুলতে তেমন কিছু প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু যে সকল জিনিস আপনার একটি ব্লগার একাউন্ট খোলার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন সেগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো২
  • একটি ব্লগার একাউন্ট খোলার জন্য অবশ্যই আপনার একটি সচল জিমেইল একাউন্টের প্রয়োজন।
  • আপনি ব্লগার একাউন্টটি একটি স্মার্ট মোবাইল অথবা কম্পিউটারে খুলতে পারেন। তবে যদি আপনি মোবাইলে খুলতে চান তাহলে অনেক সময় কিছু কাজ আপনি মোবাইল ফোনে দ্বারাই সম্পূর্ণ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন পড়বে একটা কম্পিউটারের।
  • অবশ্যই কম্পিউটারের সাথে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। অন্যদিকে আপনাকে একটা নিশ সিলেক্ট করে নিতে হবে। নিশ হল আপনি কোন ক্যাটাগরির ওপর কন্টেন্ট লিখতে চাচ্ছেন। সেটা আপনাকে প্রথমেই নির্বাচন করে নিতে হবে। আপনি যদি শুধু একটি ক্যাটাগরির উপর কন্টেন্ট লিখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটা নিশ নিয়ে কাজ করতে হবে। অন্যদিকে আপনি যদি অনেকগুলো নিশ নিয়ে একসাথে কাজ করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে রানডম নিশ নিয়ে কাজ করতে হবে।
  • সর্বশেষ আপনাকে আপনার ব্লগার কি নামে মানুষের কাছে পরিচিতি পাবে সেই নামটা আপনাকে অবশ্যই সিলেক্ট করে রাখতে হবে। বলা যেতে পারে এভাবে যে, আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে ঠিকানা যে ঠিকানায় আপনার ভিজিটর ভিজিট করবে।
আর আপনি যদি এ সকল জিনিস সিলেক্ট করে ব্লগার একাউন্ট খুলতে চান। তাহলে আপনি খুব সহজেই ব্লগার একাউন্ট খুলতে পারবেন এবং সেখানে আপনি আপনার নিজস্ব অভিমত, দক্ষতা এবং সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারবেন আর্টিকেলের মাধ্যমে।

ফ্রি ব্লগার একাউন্ট খোলার নিয়ম

আশা করি উপরের আলোচনায় আপনি বুঝতে পেরেছেন যে ব্লগার কি এবং ব্লগারের কাজ কি? চলুন এবার জেনে নেই ব্লগার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে। ব্লগার একাউন্ট খুলতে আপনার তেমন কিছু প্রয়োজন পড়বে না। তবে আপনার কিছু জিনিস থাকা অবশ্যই আবশ্যক। চলুন গুগলে ব্লগার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে একটু ধারণা নেওয়া যাক-

  • গুগলে ব্লগার একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম কোন ব্রাউজারে গিয়ে blogger লিখে সার্চ করতে হবে। তারপর আপনার সামনে একটি ব্লগারের হোমপেজ চলে আসবে এবং সেখানে create your blog অপশনের উপর ক্লিক করতে হবে।
  • তবে অবশ্যই আপনি আপনার যে gmail একাউন্টে ব্লগার একাউন্ট খুলতে চান। সেই জিমেইল একাউন্টটি সে ব্রাউজারে লগইন করে রাখতে হবে।
  • যখন আপনি create your blog অপশন এ ক্লিক করবেন তখন আপনার সামনে নতুন একটি পেজ চলে আসবে। সেখানে সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার ব্লগারের নাম দিতে হবে এবং পরবর্তীতে ব্লগারের সাইট এড্রেস বসিয়ে দিয়ে নেক্সট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • এইবার আপনার সামনে একটি নতুন পেজ চলে আসবে। সেখানে আপনি আপনার নাম বসিয়ে দিয়ে নেক্সট বাটনে ক্লিক করে ব্লগার একাউন্ট খোলার কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।
আর এভাবেই গুগলে কোন টাকা ব্যয় না করে খুব সহজে একটি ফ্রি ব্লগার একাউন্ট খোলা সম্ভব। তবে ব্লগার একাউন্ট খুলতে গেলে অবশ্যই আপনাকে সব তথ্য পূরণ করে দিতে হবে। তাহলেই আপনি একটি ব্লগার একাউন্ট খুলতে পারবেন। আশা করি, ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো এই প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়ে গেছেন। চলুন তাহলে এবার জেনে নেই, একটি ব্লগার একাউন্ট কিভাবে সাজাতে হয়।

ব্লগ সাইট ডিজাইন করার নিয়ম

আপনি একটি ব্লগার একাউন্ট খুললেন। তাহলে অবশ্যই আপনার ব্লগার একাউন্টটিকে সুন্দরভাবে সাজাতে হবে। এই ব্লগার একাউন্ট কে সুন্দরভাবে সাজাতে কাজ করে ব্লগার একাউন্টে থাকা থিম অপশনটি। এই থিম অপশন ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্লগার একাউন্ট কে দৃষ্টিনন্দন এবং সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে পারবেন। 

এই থিম আপনি কোন টাকা খরচ না করেও ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যদিকে কিছু পেইড থিম পাওয়া যায় সেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ফ্রি থিম নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে free blogger template থেকে ফ্রি থিম সংগ্রহ করতে হবে। পরবর্তীতে এই থিম আপনি আপনার ব্লগার একাউন্টে ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন তাহলে কিভাবে ফ্রি থিম আপনি আপনার ব্লগার একাউন্টে অ্যাড করবেন সে সম্পর্কে একটু জেনে নেই।

  • প্রথমে আপনাকে আপনার ব্লগার একাউন্টের ড্যাশবোর্ডে যেতে হবে। সেখানে উপরে মেনু অপশনে ক্লিক করলে দেখবেন থিম নামে একটি অপশন আছে। এই থিম অপশনে আপনাকে প্রথমেই ক্লিক করতে হবে।
  • যখন আপনি থিম অপশনে ক্লিক করবেন তখন কাস্টমাইজ নামে একটি অপশন থাকবে। যেখানে আপনার সামনে চারটি অপশন চলে আসবে। সেখান থেকে আপনাকে restore অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • যখন আপনি restore অপশনে ক্লিক করবেন তখন আপনার সামনে একটি ফাইল ওপেন নামে অপশন চলে আসবে। এক্ষেত্রে আপনাকে ফাইল ওপেন এ ক্লিক করে আপনি যে থিমটি ডাউনলোড করছেন সেই থিমের xml ফাইলটি সিলেক্ট করে আপডেট করতে হবে।
যখন আপনি ফাইলটি আপডেট করে দিবেন তখন যদি আপনার কাজটি সম্পূর্ণভাবে হয়ে যায় তাহলে successful update নামে একটি অপশন আপনার সামনে চলে আসবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে দেখতে পারেন যে আপনার ডাউনলোডকৃত থিমটি সেট করা হয়েছে কি না। আর এভাবেই আপনি খুব সহজে ফ্রি থিম আপনার ব্লগার একাউন্টে অ্যাড করতে পারবেন।

ব্লগে পোস্ট এবং পেজের মধ্যে পার্থক্য

ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো এই সম্পর্কে আপনি জানলেন। জানার পর ব্লগারে আপনি একটি একাউন্ট তৈরি করে নিলেন। শুধু ব্লগারে একটি একাউন্ট থাকলেই তো হবে না আপনাকে আর্টিকেল লিখে সেগুলোকে পাবলিশ করে দিতে হবে। তাছাড়া আপনাকে আপনার ব্লগার একাউন্টে যোগাযোগের মাধ্যম এবং আপনার নীতিমালা রাখতে হবে। আর এই কাজগুলো আপনি করতে পারবেন পোস্ট এবং পেজের মাধ্যমে।

পোস্টঃ আপনি যে আর্টিকেলগুলো লিখে পাবলিশ করবেন যে মাধ্যম দিয়ে সেটাকেই বলা যেতে পারে পোস্ট। পোস্ট অপশনে গিয়ে আর্টিকেল লিখে আপনি সেগুলো পাবলিশ করতে পারবেন এবং ভিজিটর আপনার সেই আর্টিকেলগুলো পড়তে পারবে। তাহলে বলা যেতে পারে, যে অপশনে আপনি কোন এক বিষয়ের উপর লেখালেখি অথবা আপনার নিজস্ব মতামত প্রকাশ করবেন সেই মাধ্যমটাকে বলা যেতে পারে পোস্ট। চলুন এবার পেজ সম্পর্কে একটু ধারণা নেওয়া যাক।

পেজঃ পোস্ট যেমন সকল ভিজিটর দেখতে পারবে। ঠিক সে রকম ভাবে পেজ ইচ্ছে করলেই কোন ভিজিটর দেখতে পারবে না। যদি আপনি পেজে কোন কিছু লিখে সেটা কোন লিংকিং করে না দেন তাহলে কোন ভিজিটর দেখতে পাবে না । সাধারণভাবে কোন ওয়েবসাইটের যোগাযোগের মাধ্যম, ওয়েবসাইট সম্পর্কে এবং ওয়েবসাইটে গোপীনীয়তা-নীতিমালা সম্পর্কে লিখে সেগুলো কোন নির্দিষ্ট স্থানে লিংকিং করার মাধ্যমেই হলো পেজ। আশা করি পোস্ট এবং পেজ সম্পর্কে আপনার একটু ধারণা হয়েছে।

ব্লগে সিটিং ঠিক করার নিয়ম

আপনি একটি ব্লগার একাউন্ট খুললেন এবং সেখানে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করলেন। তবে আপনাকে আপনার ব্লগার একাউন্টের সিটিং ঠিক করে রাখতে হবে। আপনি যখন আপনার ব্লগার একাউন্ট গুগল সার্চ ইঞ্জিন এর সঙ্গে এড করবেন তখন অবশ্যই ব্লগে সেটিং অপশনটি ঠিক করতে হবে। আপনি যদি ব্লগে সেটিং অপশনটি ঠিক না করেন তাহলে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আপনি আপনার একাউন্টটি কখনোই দিতে পারবেন না। 

এক্ষেত্রে আপনি নিজ থেকেই ব্লগে সেটিং অপশনটি ঠিক করতে পারেন। তবে নিজ থেকে যদি আপনি সেটিং অপশনটি ঠিক করেন তাহলে অনেক সময় কিছু সমস্যা বা error আসতে পারে। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ এটাই যে, আপনাকে অবশ্যই কোন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রোপার গাইডলাইন নিয়ে এই কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।

কিভাবে একজন সফল ব্লগার হবেন

ব্লগিং বিষয়টা শুনতে যেমন একটি সহজ বিষয় কিন্তু ব্লগিং করাটা মোটেও ততটা সহজ বিষয় না। একজন সফল ব্লগার হতে হলে অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম এবং ধৈর্য এই দুটো জিনিস থাকতে হবে। আপনি যদি পরিশ্রম করেন তাহলে আপনি একজন সফল ব্লগার হতে পারবেন এবং তার পাশাপাশি আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজটি করতে হবে। 
ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো৩
অনেকেই আছে ব্লগিং করে কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণে ধৈর্য না থাকার কারণে মাঝপথে এসে ব্লগিং করা ছেড়ে দেয়। এক্ষেত্রে আপনি কখনোই একজন সফল ব্লগার হতে পারবেন না। একজন সফল ব্লগার হওয়ার জন্য অবশ্যই কন্টেন্ট কোয়ালিটি সুন্দর রাখতে হবে এবং তার পাশাপাশি ট্রাফিকের ওপর নজর রাখতে হবে। আপনার যদি কন্টেন্টের কোয়ালিটি বা সঠিকভাবে কন্টেন্ট না লিখতে পারেন।
 
তাহলে অবশ্যই আপনার ট্রাফিক আসবে না বা ভিজিটর আসবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে হতাশ হলে চলবে না। আপনাকে আপনার কন্টেন্টের কোয়ালিটি ভালো করতে হবে এবং ট্রাফিক নিয়ে আসতে হবে। তাহলে আপনি একজন সফল ব্লগার হতে পারবেন। অন্যদিকে একজন সফল ব্লগার হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে টপ লেভেল ডোমেন ব্যবহার করতে হবে। 

আপনি যদি ফ্রি ডোমেন ব্যবহার করেন তাহলে অনেক সময় আপনি ভালো ট্রাফিক পাবেন না, আপনার ওয়েবসাইটে ক্লিক কম আসবে, ব্যাক লিঙ্ক থাকবে না এবং ডোমেনের অথরিটি কম থাকবে। তাই একজন সফল ব্লগার হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে টপ লেভেল এ ডোমেন ব্যবহার করতে হবে। টপ লেভেলের ডোমেন দিয়ে আপনাকে আপনার ব্লগিংয়ের যাত্রা পথ শুরু করতে হবে। 

অন্যদিকে একজন সফল ব্লগার হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে আরো কিছু বিষয়ের উপর লক্ষ্য রেখে ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। তাহলে আপনি একজন সফল ব্লগার হতে পারবেন। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বুঝে গেছেন ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো। এখন জানবো ওয়েবসাইট এবং ব্লগের মধ্যে পার্থক্য কি?

ওয়েবসাইট এবং ব্লগের মধ্যে পার্থক্য

অনেকেই ভেবে থাকেন ওয়েবসাইট এবং ব্লক দুইটি একই বিষয়। কিন্তু এটা ভুল ধারণা ওয়েবসাইট বা ব্লগ মোটেও একই বিষয় না। এই আর্টিকেলে ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো এবং ব্লগার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানলাম। এখন জেনে নেই, ওয়েবসাইট এবং ব্লকের মধ্যে পার্থক্য-

ওয়েবসাইটঃ ওয়েবসাইট হলো শুধুমাত্র একটি বিষয়ের উপর বা একটি ক্যাটাগরির উপর কাজ করে। ওয়েবসাইটে প্রতিদিন কন্টেন্ট দিতে হয় না। বছরে দুই বা একটি কন্টেন্ট দিলে ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব। তবে সরকারি ওয়েবসাইট ব্যতীত সকল ধরনের ওয়েবসাইট ব্লগের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

ব্লগঃ ব্লগার হলে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনাকে প্রতিনিয়ত কোন না কোন বিষয়ের উপর কন্টেন্ট লিখে পাবলিশ করে দিতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে প্রতিদিন একটি হলো কন্টেন্ট লিখে পাবলিশ করতে হবে।যতো আপনি কন্টেন্ট লিখতে পারবেন তত আপনার ভিজিটর বাড়ব এবং এখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো সম্পর্কে লেখকের শেষকথা

ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো এবং ফ্রি ব্লগার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানলাম এবং আরো জানলাম পোস্ট এবং পেজের মধ্যে পার্থক্য। তার পাশাপাশি আরো জানলাম ওয়েবসাইট এবং ব্লগের মধ্যে পার্থক্য এবং কিভাবে একজন সফল ব্লগার হওয়া যায় সেই সম্পর্কে। তবে আমার পরামর্শ এটাই যে, আপনি যদি একজন প্রফেশনাল ব্লগার হতে চান। 

তাহলে অবশ্যই আপনি টপ লেভেলের ডোমেন নিয়ে আপনার ব্লগারের যাত্রা শুরু করবেন। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে জানার সুবিধার্থে আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন। এইরকম আরো আর্টিকেল সবার আগে পেতে এই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url