আলকুশি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা-আলকুশি পাউডার খাওয়ার উপকারিতা

আপনি কি আলকুশি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জানার সুযোগ করে দিতে পারে এবং তার সাথে জানতে পারবেন আলকুশি পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
আলকুশি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা১
আলকুশি বীজ শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতস্থান এবং ফোড়া সারাতে সক্ষম। আপনি যদি আলকুশি বীজের উপকারী গুনগুলো জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। তাহলে জানতে পারবেন আলকুশি বীজের উপকারী গুণগুলো এবং আলকুশি পাউডার কিভাবে খেতে হয়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ আলকুশি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা

আলকুশি বীজের ১৩টি  উপকারিতা

আলকুশি বীজ শরীরের রোগ প্রতিরোধ এবং তার সাথে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তার পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রচুর সহায়ক। আলকুশি পাউডার শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করে দিয়ে থাকে। চলুন তাহলে আলকুশি বীজের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

মস্তিষ্কের স্নায়তন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিঃ আলকুশি বীজে থাকা বিভিন্ন ধরনের উপাদান শরীরে বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে। তার পাশাপাশি মস্তিষ্কে স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।অন্যদিকে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে আলকুশি বীজ।

ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণঃ আলকুশি বীজ পাউডার নিয়মিত খাওয়ার ফলে যাদের শরীরে সুগারের মাত্রা বেশি সেই সুগারের মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অন্যদিকে রক্তের শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে আলকুশি বীজ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ শরীরের কোষকলাকে যেন ক্যান্সার কোষকলা আঘাত করতে না পারে সেজন্য খাওয়া যেতে পারে আল খুশি বীজ। কেননা আলকুশি বীজ শরীরকে ফ্রিরেডিকেল এবং তার পাশাপাশি ক্যান্সার কোষকলা শরীরকে যেন আঘাত করতে না পারে সেজন্য কাজ করে।

আমাশয় রোগ নিয়ন্ত্রণেঃ অনেক সময় বিভিন্ন কারণে শরীরে আমাশয় রোগের লক্ষণ দেখা যায়। শরীর থেকেই আমাশয় রোগ নিরাময়ে খাওয়া যেতে পারে আলকুশি বীজ।

সর্দি কাশি ও জ্বরের সমস্যা দূর করেঃ অনেক সময় শরীরে বিভিন্ন কারণে সর্দি কাশি এবং জ্বর দেখা দেয়। শরীর থেকে এই সর্দি কাশি এবং জ্বর সারানোর জন্য খাওয়া যেতে পারে আলকুশি গাছের শিকড়।

শরীরের ফোড়া সারাতেঃ অনেক সময় শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফোড়া উঠে থাকে আর এই ফোড়া হয় খুবই যন্ত্রণাদায়ক। এই ফোঁরা সারাতে বা ফোড়া পাঠাতে ব্যবহার করা যেতে পারে আলকুশি বীজের নির্যাস। যার ফলে ফোড়া ফেটে যায় এবং যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

বাত রোগ দুধ করতেঃ অনেক সময় শরীরে বাত রোগের লক্ষণ দেখা দেয় এই বাত রোগ দূর করতে খাওয়া যেতে পারে আল খুশি বীজ।

শরীরের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধেঃ শরীরের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে খাওয়া যেতে পারে আলকুশি বীজ।

মূত্রনালী সমস্যা দূর করেঃ অনেক সময় শরীরে বহুমূত্র এবং মূত্রনালী বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করতে বা প্রতিরোধ করতে খাওয়া যেতে পারে আলকুশি বীজ। তবে অবশ্যই আপনাকে আলকুশি বীজ রস করে খেতে হবে। তাহলে আপনি উপকার পাবে।

রক্ত সঞ্চালনঃ শরীরের বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ঠিক রাখতে ব্যাপক সহায়ক হিসেবে কাজ করে আলকুশি বীজ।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ আপনি যদি নিয়মিত বা নিয়ম করে আলকোশির বীজ খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যাবে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়ঃ অনেক সময় শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে যায়। অর্থাৎ আলকুশি বীজ খাওয়ার ফলে শরীরে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।

ওজন কমাতে ব্যাপক সহায়কঃ যারা ডায়েট কন্ট্রোল করে বা শরীরের ওজন কমাতে চান তারা খাদ্য তালিকায় আলকুশি বীজ রাখতে পারেন। কেননা আলকুশি বীজ শরীরের ওজন কমাতে ব্যাপক কার্যকারী।

তবে আপনি যদি আলকুশি বীজ নিয়ম মেনে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান হয়ে থাকবে। হজমের সমস্যা এবং ক্ষুদা ভাব নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে আলকুশি বীজ। তবে অবশ্যই আপনাকে আলকুশি বীজ নিয়ম মেনে খেতে হবে। চলুন তাহলে এবার জেনে নেই আলকুশি বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আপনি হয়তোবা আলকুশি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে আলকুশি বীজের উপকারিতা সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন।

আলকুশি বীজ খাওয়ার নিয়ম

আপনি যদি আলকুশি বীজের সকল কার্যকারিতা গুলো পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আলকুশি বীজ নিয়ম মেনে খেতে হবে। আপনি যদি আলকুশি বীজ নিয়ম করে না খান তাহলে আলকুশি বীজের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে। চলুন তাহলে আলকুশি বীজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেই। 

আলকুশি বীজ আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। আপনি রান্না ঘরে গিয়ে রান্না করেও আলকুশি বীজ খেতে পারেন। অন্যদিকে আপনি কাঁচাও আলকুশি বীজ খেতে পারেন। তবে আমার পরামর্শ এটাই যে, আপনি আলকুশি বীজ কাঁচা কখনো খাবেন না। এতে করে আপনার শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবচাইতে ভালো হয় আলকুশি বীজ গুড়া বা পাউডার করে খেলে। 

এতে আপনার শরীরে রক্ত প্রবাহের মাত্রা ঠিক থাকবে এব মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। অন্যদিকে আপনি বিভিন্ন ধরনের খাবারের সঙ্গে আলকুশি বীজ যোগ করে খেতে পারেন। আপনি যেসব খাবারের বাদাম দিয়ে তৈরি করেন সে সকল খাবারে বাদামের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারে আলকুশি বীজ। তবে ব্যবহার করার আগে অবশ্যই আপনাকে ভেজে নিতে হবে।

সেটাকে সুন্দরভাবে পরিশোধন করে নিতে হবে। তবে সবচাইতে ভালো হয় আপনি যদি আলকুশি বীজের চুর্ণ বা পাউডার করে খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরের স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে এবং তার পাশাপাশি আপনার শরীরে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে। তাই আমার পরামর্শে এটাই যে, অবশ্যই আপনাকে আলকুশি বীজির উপকারিতা পাওয়ার জন্য আলকুশি বীজ নিয়ম মেনে অথবা আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন।

আলকুশি পাউডার খাওয়ার উপকারিতা ও কার্যকারিতা

উপরোক্ত আলোচনায় আমরা জেনেছি আলকুশি বীজের উপকারিতা এবং সবচেয়ে ভালো হয় আলকুশি বীজ পাউডার করে খেলে। চলুন তাহলে জেনে নেই, এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলকুশি পাউডার করে খাওয়ার উপকারিতা এবং কার্যকারিতা গুলো।

  • আপনি যদি আলকুশি বীজ চূর্ণ বা পাউডার করে খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরের কোষকলাকে সহজে ক্যান্সার আঘাত করতে পারবে না।
  • আপনি যদি নিয়ম মেনে আলকুশি পাউডার বা গুঁড়া করে খেতে পারেন ।তাহলে আপনার শরীরে সুগারের মাত্রা অনেকাংশে কমে যাবে এবং আপনার শরীরের ডায়াবেটিস মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তার পাশাপাশি শর্করার মাত্রা ঠিক থাকবে।
  • অনেক সময় শরীরে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যার ফলে শরীরে স্টোক ও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। আর শরীরে এই রোগের ঝুঁকি কমাতে খাওয়া যেতে পারে আলকুশি পাউডার বা গুড়া।
  • আলকুশি পাউডার বা চুর্ণ করে যদি খেতে পারেন তাহলে আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বা মস্তিষ্কের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়। তার সাথে সাথে স্নায়ু তন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • অনেক সময় শরীরে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের সমস্যা এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে আপনি খেতে পারেন আলকুশি পাউডার। তাছাড়া আলকুশি পাউডার ত্বকের চর্মরোগ সারাতে ব্যাপক কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • বিভিন্ন গবেষণার সূত্রে জানা যায়, আপনি যদি নিয়ম করে আলকুশি পাউডার খেতে পারেন। তাহলে অনেক সময় টিউমার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের সকল ক্লান্তি দূর করতে সক্ষম আলকুশি পাউডার।
তবে অবশ্যই আপনাকে আলকুশি পাউডার নিয়ম মেনে খেতে হবে আপনি যদি আলকুশি বীজের পাউডার নিয়ম মেনে না খান তাহলে এই সকল কার্যকারিতা নাও পেতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেই এই আর্টিকেলের মাধ্যমে, আলকুশি পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

আলকুশি পাউডার খাওয়ার নিয়ম

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আলকুশি বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম এবং আরো জানলাম আলকুশি পাউডার করে খাওয়ার উপকারিতা গুলো। যেহেতু আলকুশি শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করে থাকে এবং তার পাশাপাশি মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ ঘটায় তাই অবশ্যই আলকুশি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। চলুন তাহলে এবারে, আলকুশি পাউডার করে খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক-
আলকুশি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা২
  • আলকুশি আপনি ক্যাপসুল হিসেবে খেতে পারেন। তবে ক্যাপসুল হিসেবে খাওয়ার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ঔষধের দোকান বা বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম থেকে আলকুশির বীজের ক্যাপসুল সংগ্রহ করতে হবে।
  • তবে সবচাইতে ভালো হয় আপনি যদি আলকুশি বীজের বা আলকুশি পাউডার করে বা চূর্ণ করে চায়ের সাথে খেতে পারেন। তবে চায়ের সাথে আলকুশি পাউডার খাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে পানি ফুটিয়ে নিয়ে চা পাতা ব্যতীত বা চা পাতা ছাড়া আলকুশি পাউডার দিয়ে শুধুমাত্র চিনি দিয়ে খেতে হবে।
  • অন্যদিকে দুধ বা কফির সঙ্গে মিশিয়েও আপনি আলকুশির পাউডার খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
আর আপনি এসব নিয়ম মেনে যদি আলকুশি পাউডার খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তবে আলকুশি পাউডার খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো। এতে করে আলকুশি পাউডারের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না।

আলকুশি বীজের অপকারিতা-পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আলকুশি বীজ শরীরের জন্য যেমন উপকারী ঠিক তেমনি শরীরে আলকুশি বীজের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিক আছে। আপনি যদি আলকুশি বীজ বা আলকুশি পাউডার নিয়ম মেনে না খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরে এসব পার্শ্বপ্রতিকরা দেখা দিতে পারে। লিভারের সমস্যাজনিত রোগীরা এবং গর্ভবতী মায়েরা অবশ্যই আলকুশি এবং আলকুশি বীজ পাউডার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। চলুন তাহলে এবার জেনে নেই, আলকুশি বীজের অপকারিতা-পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ

  • আপনি যদি অতিরিক্ত বা বেশি পরিমাণে আলকুশি বীজ খেয়ে থাকেন। তাহলে আপনার শরীরে অনেক সময় বিভ্রমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া অনেক সময় বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় আলকুশি বীজ খাওয়ার ফলে অনেক সময় পেটের মধ্যে হজমের সমস্যা হতে পারে। যার ফলে আপনি অনেক সময় বমি করতে পারেন। যাদের হ্রদস্পন্দনের সমস্যা আছে তারা অবশ্যই আলকুশি বীজ বা পাউডার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • আলকুশি পাউডার খাওয়ার ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়ও আলকুশি পাউডার খাওয়ার সময় অনেক সময় আপনার বমিও হতে পারে। শরীরে ডায়রিয়া রোগ দেখা দিতে পারে।
  • যাদের লিভারের সমস্যা জনিত রোগ আছে বা লিভারের সমস্যা আছে তারা অবশ্যই আলকুশি বীজ বা আলকুশি বীজের পাউডার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। অন্যদিকে একইভাবে গর্ভাকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়ের আলকুশি বীজ বা আলকুশি পাউডার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • আপনি যদি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত আলকুশি বীজের পাউডার বা আলকুশি বীজ খেয়ে থাকেন। তাহলে অনেক সময় শরীরের ওজন কমে না গিয়ে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। কেননা আলকুশি বীজে বা আলকুশি বীজের পাউডারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকার কারণে অনেক সময় শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেয়ে যায়।
আপনি যদি জেনে থাকেন আলকুশি বীজ বা আলকুশি বীজের পাউডার কিভাবে খেতে হয় তাহলে অবশ্যই আপনি আলকুশি বীজ বা আলকুশি বীজের পাউডার নিয়ম মেনে খাবেন। আপনি যদি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে না জেনে থাকেন, তাহলে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনি খেতে পারেন। এতে করে আপনার আপনার শরীরে আলকুশি বীজ বা আলকুশি পাউডার খাওয়ার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না।আশা করি আলকুশি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আলকুশি বীজ খেলে কি হয়

আপনারা অনেকেই জানতে চান আলকুশি বীজ খেলে কি হয়? চলুন তাহলে আজকে জেনে নেই আলকুশি বীজ খেলে কি হয়ঃ আলকুশি বীজ খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং মস্তিষ্কের স্নায়ু তন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া আপনি যদি আলকুশি বীজ খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিরাময় করা সম্ভব। 

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্ট
পুরুষদের ক্ষেত্রে যদি নিয়ম মেনে আলকুশি বীজ খাওয়া যায় তাহলে সকল ধরনের শারীরিক সমস্যা দূর হয়ে যায়। তাছাড়া শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ এবং আমাশয় রোগ নিরাময় করতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে আলকুশি বীজ। তাছাড়াও শরীরের হজমের সমস্যা এবং ক্ষুধা মন্দা ভাব দূর করতে ব্যাপক সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করে আল খুশি বীজ।আলকুশি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তার সাথে আলকুশি বীজ খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে জানলেন।

আলকুশি পাউডার এর দাম

আলকুশি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম এবং তার সাথে আরও জানলাম আলকুশি পাউডারের উপকারিতা এবং আলকুশি পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে, আলকুশি পাউডারের উপকারিতা যেহেতু অনেক তাহলে আলকুশি পাউডারের দাম কত। চলুন তাহলে আলকুশি পাউডারের দাম জেনে নেওয়া যাক-
আলকুশি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা৩
বিভিন্ন সময় বাজারজাত করার উপর আলকুশি পাউডারের দাম নির্ভর করে। তবে সচরাচর বাজারে আলকুশি পাউডারের দাম প্রতি এক কিলো গ্রামে ২৩০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে আপনি বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম থেকে পাউডার কিনতে পারবেন। আলকুশি পাউডার কেনার পর অবশ্যই আলকুশি পাউডার আপনাকে নিয়ম মেনে খেতে হবে। তাহলে এর উপকারিতা এবং কার্যকারিতা আপনি পাবেন।

আলকুশি বীজের দাম

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলকুশি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। আরো জানলাম আলকুশি পাউডারের দাম এবং আলকুশি পাউডার কিভাবে খেতে হয়। যেহেতু শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে আলকুশি বীজ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সে জন্য অবশ্যই আপনাকে আলকুশি বীজের দাম সম্পর্কে অবগত হতে হবে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা আলকুশি বীজ।
 
কেননা আলকুশি বীজ শরীরে রোগ প্রতিরোধ এবং মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে থাকে। আলকুশি বীজের দাম পরিবর্তনশীল। বিভিন্ন সময় আলকুশি বীজের দাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে সচরাচর আলকুশি বীজের দাম প্রতি ১০০ গ্রামে ৫৬ টাকা হয়ে থাকে। বাজার থেকে আলকুশি বীজ সংগ্রহ করে সেটাকে ভালো করে রান্না করেও আপনি খেতে পারেন। অথবা ভেজে আপনি খেতে পারেন। তবে অবশ্যই আলকুশি বীজ আপনাকে নিয়ম মেনে খেতে হবে। তাহলে এই উপকারী গুণগুলো আপনি পাবেন।

আলকুশি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে লেখকের শেষকথা

আলকুশি বীজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। আরো জানলাম আলকুশি পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আলকুশি বীজের দাম এবং আলকুশি পাউডার দাম সম্পর্কে অবগত হলাম। তবে আমার পরামর্শ এটা যে,আপনি যদি আলকুশি বীজ অথবা আলকুশি পাউডার খেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম মেনে খেতে হবে। 

সবচাইতে ভালো হয় একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বীজ বা আলকুশি পাউডার খাওয়া গেলে। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এইরকম আরো আর্টিকেল সবার আগে পেতে এই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url