পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ

পেওনিয়ার  একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ কিভাবে খুলতে হয় সেই সম্পর্কে আপনি কি জানতে আগ্রহী। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি আপনি পড়তে পারেন এবং তার সাথে আরও জানতে পারবেন পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম সম্পর্কে।
পেওনিয়ার- একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ১
আপনি যদি বাংলাদেশের একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে আপনার রোজগার করা অর্থ বিকাশে ট্রান্সফার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করবে পেওনিয়ার একাউন্ট।

পোস্ট সূচিপত্রঃপেওনিয়ার  একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ

পেওনিয়ার  একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ

চলেন আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে পেওনিয়ার  একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনে নেই। পেওনিয়ার একাউন্টের বিশ্বের মোটামুটি সব দেশে প্রচলন আছে। তবে বাংলাদেশে এর ব্যবহার অধিক। আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট থাকা গুরুত্বপুর্ণ। কেননা পেওনিয়ার একাউন্ট থেকেই আপনি খুব সহজে আপনার টাকা বিকাশে অথবা বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। 

খুব দ্রুততার সাথে বাংলাদেশ পেওনিয়ার একাউন্ট খোলা সম্ভব। তবে বাংলাদেশে বসে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য আপনার প্রয়োজন কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট। আর আপনার কাছে এসব প্রয়োজনীয় তথ্য বা ডকুমেন্ট থাকলে আপনি খুব সহজেই বাসায় বসে থেকে শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোনের সাহায্যে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলে ফেলতে পারবেন। 

বাংলাদেশ থেকে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার ধাপগুলো খুবই সহজ। তবেই আপনি যদি ব্যক্তিগত লেনদেনের ক্ষেত্রে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে চান তাহলে সেটা আপনার ব্যক্তিগত একাউন্ট হবে। অন্যদিকে আপনি যদি ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য একাউন্ট খুলতে চান তাহলে সেই একাউন্টি হবে আপনার ব্যবসায়িক একাউন্ট। 

যেহেতু পেওনিয়ার একাউন্ট লেনদেনের খরচ খুবই কম সেহেতু এর ব্যবহার অধিক। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে এবং পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে যেসকল কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে।

পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে যেসকল কাগজপত্র প্রয়োজন

পেওনিয়ার একাউন্ট যেহেতু আন্তর্জাতিক একাউন্ট। সেহেতু পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে গেলে আপনার কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। তবে এই একাউন্টি আপনি বাসায় বসে থেকে খুলতে পারবেন যদি পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম আপনার জানা থাকে। তবে আগে জেনে নেই পেওনিয়ার  একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ থেকে খোলার আগে যেসকল কাগপত্র প্রয়োজনঃ

স্মার্ট ফোনঃ পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে গেলে অবশ্যই আপনার একটি স্মার্টফোনের প্রয়োজন পড়বে।

ইন্টারনেট কানেকশনঃ অবশ্যই আপনার ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্রঃ পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য আপনার নিজ দেশের জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন পড়বে।

একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টঃ আপনার যেকোনো ব্যাংকে একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। তাহলে আপনি পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবেন একাউন্ট খুলতে পারবেন।

ট্রেড লাইসেন্সঃ আপনি যদি ব্যবসায়িক একাউন্ট খুলতে চান তাহলে অবশ্যই কোম্পানি ট্রেড লাইসেন্স বা দোকানের ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন আছে।

এসব কাগজপত্র থাকলেই আপনি বাসায় বসে থেকে একটি স্মার্টফোনের মাধ্যমে পেওনিয়ার ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজেই আপনার ব্যক্তিগত একাউন্ট অথবা ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য একাউন্ট খুলতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে।

বাংলাদেশে ব্যক্তিগত পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যদি ব্যক্তিগত কাজের জন্য পেওনিয়ার একাউন্টের প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্যক্তিগত পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে হবে। তবে ব্যক্তিগত একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, ব্যক্তিগত পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কেঃ
পেওনিয়ার- একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ৩
  • প্রথমে আপনাকে আপনার স্মার্টফোনের ক্রম বা অন্য কোন ব্রাউজারে যেতে হবে। তারপর পেওনিয়ার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর আপনার সামনে একটি হোমপেজ চলে আসবে এখানে আপনাকে রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • তারপর রেজিস্টার বাটনে চাপ দিলে আপনাকে একটা নতুন পেজে নিয়ে যাবে তারপর সেই পেজে আপনার কাছে কিছু ইনফরমেশন চাবে। আপনি আপনার প্রয়োজনে সেই তথ্যগুলো পূরণ করে দিবেন।
  • পূরণ করা হলে আপনি নেক্সট বাটনে চাপ দিবেন। তারপর আপনার সামনে আরেকটি নতুন পেজ চলে আসবে। আপনি সেই পেজে শুধু রেজিস্টার লেখাটার উপর চাপ দিবেন। তাহলে আপনাকে অন্য একটি পেজে আবার নিয়ে চলে যাবে।
  • এই পেজে আপনি যেহেতু ব্যক্তিগত একাউন্ট খুলতেছেন। সেজন্য আপনাকে একাউন্ট ধরন ব্যক্তিগত সিলেক্ট করে দিতে হবে এবং তার সাথে আপনার সঠিক জন্মতারিখ, ইমেইল ঠিকানা এবং আপনার সম্পূর্ণ নাম এবং আরো আপনার যাবতীয় তথ্য দিতে হবে।
  • তারপর আপনার যোগাযোগের নাম্বার এবং আপনার যোগাযোগের ঠিকানা দিতে হবে। অবশ্যই আপনাকে ঠিকানা ভালো করে দিতে হবে যেন ভুল না হয় এবং তার সাথে আপনি যে দেশ থেকে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন সেদেশের নাম দিতে হবে।
  • যোগাযোগের জন্য আপনি যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়েছেন সেটা অবশ্যই সচল থাকতে হবে। কেননা পেওনিয়ার অফিস থেকে আপনাকে একটি কোড পাঠানো হবে এবং আপনি সেই কোডটি বসিয়ে দিয়ে পরবর্তী বাটনে চাপ দিবেন।
  • এরপর আপনি আপনার একাউন্টে সুরক্ষিত রাখার জন্য পাসওয়ার্ড সেভ করে নিবেন এবং তার সাথে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার বসিয়ে দিবেন। অবশ্যই আপনি যে পাসওয়ার্ড দিবেন সেটা আপনাকে মনে রাখতে হবে। তারপর পরবর্তী বাটনে চাপ দিলে আপনার সামনে কিছু লেখা আসতে পারে(captca) সেগুলো দেখে দেখে বসিয়ে দিয়ে পরবর্তী বাটনে চাপ দিতে হবে।
  • সর্বশেষ আপনাকে আপনার ব্যাংকের একাউন্টের নাম্বার, একাউন্টের ধরন এবং একাউন্ট যার নামে আছে তার নাম দিতে হবে। তারপর পরবর্তী বাটনে চাপ দিলেই আপনার ব্যক্তিগত পেওনিয়ার একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।
  • একাউন্ট তৈরি তৈরি করার পর পেওনিয়ার আপনার জিমেইল একাউন্টে একটি এসএমএস পাঠাতে পারে। যে পেওনিয়ারে আপনার একাউন্ট খোলা সম্পূর্ণ হয়েছে। আর এভাবেই আপনি খুব সহজে একটা স্মার্টফোনের মাধ্যমে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবেন।

পেওনিয়ার একাউন্ট বিকাশের সাথে সংযুক্ত করার নিয়ম

আপনি যদি কোন ডলার( $ )বিকাশে আনতে চান তাহলে অবশ্যই পেওনিয়ার একাউন্টের সাথে আপনার বিকাশ একাউন্ট সংযুক্ত করতে হবে। আর যদি সংযুক্ত করার নিয়ম না জানা থাকে তাহলে এ আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নিন পেওনিয়ার একাউন্টের সাথে কিভাবে বিকাশ একাউন্ট সংযুক্ত করতে হয়। প্রথমে আপনাকে বিকাশ অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। আশা করি,পেওনিয়ার  একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ এবং পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে যেসকল কাগজপত্র প্রয়োজন এটা বুঝতে পেরেছেন।

তারপর বিকাশ অ্যাপ ওপেন করে আপনার বিকাশ একাউন্ট লগইন করে নিতে হবে। এরপর আপনাকে হোমপেজের মেনুবার থেকে রেমিটেন্স অপশনে গিয়ে পেওনিয়ার সিলেক্ট করতে হবে। তারপর পেওনিয়ার একাউন্ট সিলেক্ট করা হয়ে গেলে আপনাকে নেক্সট বাটনে চাপ দিতে হবে। তারপর আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট যে জিমেইল এড্রেস দিয়ে খোলা আছে সেই জিমেইল এড্রেস বা ইউজার নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিতে হবে। লগইন করা হয়ে গেলে সাথে সাথে আপনার বিকাশের সাথে পেওনিয়ার একাউন্টটি সংযুক্ত হয়ে যাবে।

পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম

আপনি আপনার উপার্জিত অর্থ বা ডলার যদি বিকাশে ট্রান্সফার করতে চান। তাহলে আপনি পেওনিয়ার একাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন। কেননা পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে খুব সহজে বিকাশে লেনদেন করা সম্ভব। তবে পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করার জন্য অবশ্যই আপনার বিকাশ একাউন্টের সাথে পেওনিয়ার একাউন্ট সংযুক্ত করে রাখতে হবে। 
তাহলে আপনি খুব সহজেই পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। উপরে পেওনিয়ার একাউন্টের সাথে বিকাশ কিভাবে সংযুক্ত করতে হয় সেই সম্পর্কে জানলাম। তবে পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে বিকাশে টাকা আনা খুবই সহজ। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে বিকাশ অ্যাপ এ যেতে হবে তারপর হোম স্ক্রিনে থাকা মেনু বারে রেমিটেন্স অপশন থেকে আপনাকে পেওনিয়ার সিলেক্ট করে নিতে হবে । 

তারপর আপনার ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। এরপর উইথড্র অপশনে গিয়ে আপনি যে পরিমাণ উপার্জিত বৈদেশি মুদ্রা ও ডলার($) বিকাশে নিতে চান সেই পরিমাণ ডলার লিখতে হবে। সর্বশেষ পেওনিয়ার থেকে আপনার জিমেইলে বা আপনার নাম্বারে একটা কোড পাঠিয়ে দিবে। আপনি সেই কোডটি বসিয়ে দিয়ে নিশ্চিত করুন যে আপনি বিকাশে টাকা নিতে চাচ্ছেন। 
 
তাহলেই সঙ্গে সঙ্গে পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে আপনার বিকাশে টাকা উইথড্র হয়ে যাবে। আর এই কাজটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে হয়ে যায় দেখে সবার পছন্দের তালিকায় পেওনিয়ার একাউন্ট।আর এভাবে আপনি পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়ায়। আপনি পেওনিয়ার  একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ কিভাবে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলবেন সেই সম্পর্কে জানলেন।

পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা আনতে যেসকল বিষয়ের লক্ষ্য রাখতে হয়

আপনি যদি পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে বিকাশে টাকা আনতে চান।তাহলে আপনাকে কিছু বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা পেওনিয়ার একাউন্ট কিছু বিষয় উপর লক্ষ্য রাখে বা কিছু শর্ত দিয়ে রাখে। তাই অবশ্যই পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফারের সময় যে সকল বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখা জরুরী তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

পেওনিয়ার একাউন্টের সাথে অবশ্যই আপনার বিকাশ একাউন্টের সংযুক্ত থাকতে হবে। অন্যদিকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে আপনার বিকাশ একাউন্ট এবং আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট খোলা আছে কিনা চেক করতে হবে। আপনার দুটো একাউন্ট একটি জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে খুলতে হবে। তাহলে পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে বিকাশে টাকা উইড্র করতে পারবেন। 

আপনার নামের সাথে অবশ্যই আপনার ইমেইল এড্রেসের মিল রেখে ইমেইল একাউন্ট খুলতে হবে এবং সেই ইমেইল একাউন্ট দিয়ে আপনাকে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে হবে। বিকাশে টাকা ট্রান্সফারের জন্য অবশ্যই পেওনিয়ার একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যালেন্স অথবা বৈদেশিক মুদ্রা থাকতে হবে। আর এ সকল শর্ত মানলে আপনি পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে বিকাশে টাকা উইড্র করতে পারবেন।

পেওনিয়ার একাউন্টের সুবিধাসমূহ

দিন দিন ফ্রিল্যান্সারে সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর তাদের উপার্জিত অর্থ বের করতে খুবই কষ্ট হয়। কিন্তু যদি একটা পেওনিয়ার একাউন্ট থাকে তাহলে বাংলাদেশ মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে সেই টাকা উত্তোলন করা সম্ভব। অন্যদিকে দ্রুততম সময়ে পেওনিয়ার একাউন্ট থাকার কারণে উপার্জিত ডলার টাকায় পরিণত করা সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়াও সার্ভিস চার্জ খুবই সীমিত পরিমাণে। 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সিস্টেম চালু থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা খুব সহজেই টাকায় রুপান্তর করা যায়। তাছাড়াও পেওনিয়ার একাউন্টের অনেক ধরনের সুবিধা আছে কেননা ব্যক্তিগত এবং কোম্পানি একাউন্ট এ দুটোই পেওনিয়ারে খোলা সম্ভব। যার ফলে দ্রুততম সময়ে টাকা ডলারে এবং ডলার টাকায় রূপান্তর করা সম্ভব হচ্ছে। 

তাছাড়াও আরো যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ও পেমেন্ট দেওয়া যায় পেওনিয়ার একাউন্ট দিয়ে থাকে। আপনি যদি আপনার কোম্পানির কোন কাজ করিয়ে নিয়ে থাকেন তাহলে সেই কাজ করার পারিশ্রমিক খুব সহজেই পেমেন্ট দিতে পারেন পেওনিয়ার একাউন্টের মাধ্যমে।অনুরুপ ভাবে কাজ করার পারিশ্রমিক খুব সহজে পেওনিয়ার একাউন্ট নেওয়া যায় এবং সেখান থেকে বিকাশে উইথড্র করা যায়।

পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড কি এবং পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডের ব্যবহার

পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড হল খুব সহজে লেনদেন করার পদ্ধতি। আপনি যদি পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজেই সেই কার্ডটি ব্যবহার করতে পারবেন। যেহেতু পেওনিয়ার আন্তর্জাতিক একাউন্ট। সেক্ষেত্রে এই মাস্টার কার্ডটি বিশ্বের যে কোন দেশে ব্যবহার করা যায়। আপনি যখন আপনার পেওনিয়ার একাউন্টটি পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডে রূপান্তর করে নিবেন। 
পেওনিয়ার- একাউন্ট-খোলার-নিয়ম-বাংলাদেশ২
তখন আপনি সেই কার্ডটি বিশ্বের সব দেশেই ব্যবহার করতে পারবেন এবং টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আপনি হয়তো বুঝে গেছেন যে পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড কি। চলুন পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডের ব্যবহার সম্পর্কে জেনে আসি।আপনি পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে অনলাইন থেকে যেকোনো পণ্য কিনে সেটা পেমেন্ট দিতে পারবেন। 

তাছাড়াও শপিংমলে শপিং করার পর আপনি সেখানকার বিল পেমেন্ট দিতে পারবেন আপনার কাছে থাকা পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে। অন্যদিকে এই মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করা সম্ভব। বিশ্বের প্রায় সব দেশে এই কার্ডটি ব্যবহার করা যায় বলে এটা অনেক সুবিধা জনক। তাছাড়াও পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডের সিকিউরিটি ব্যবস্থা খুবই নিরাপদ। 

আর পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে কমপক্ষে ১০০ ডলারের আশপাশে লেনদেন করতে হবে। তাহলে আপনি অনলাইনে পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার পর কমপক্ষে এক মাসের মধ্যে আপনার কাছে পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড পৌঁছে যাবে। আর এই কার্ড দিয়ে খুব সহজেই ব্যবহারযোগ্য।পেওনিয়ার  একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ এবং পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম সম্পর্কে এই আর্টিকেলে  ধারণা পেয়েছেন।

পেওনিয়ার একাউন্টের অসুবিধাসমূহ

পেওনিয়ার একাউন্টের যেমন সুবিধা আছে ঠিক তেমনি অসুবিধাও আছে। কেননা সব কিছুরই একটা বিপরীত দিক থাকে। ঠিক তেমনভাবে পেওনিয়ার একাউন্টের সুবিধা থাকলেও আছে কিছু এর অসুবিধা। কেননা পেওনিয়ার একাউন্ট খোলা এবং ভেরিভিশনের সময় অনেক সময় প্রয়োজন পড়ে। তাছাড়াও পেওনিয়ার একাউন্টের যাবতীয় কার্যকলাপ একটু আস্তে আস্তে হয়। 

যেমন পেওনিয়ার একাউন্টের মাস্টার কার্ড পেতে সর্বনিম্ন একমাস অথবা তারও বেশি সময় লাগে। অন্যদিকে তারা প্রথমবার মাস্টার কার্ড ফ্রিতে দিল সেটা প্রত্যেক বছর renew করে নিতে হয়। তখন তারা প্রত্যেক বছর একাউন্ট থেকে ২৫ থেকে ৩০ ডলার কেটে নেয়। আপনি আপনার একাউন্টে যদি দীর্ঘদিন যাবত লেনদেন না করে থাকেন তাহলে অবশ্যই কোন অর্থ ফেলে রাখবেন না। 

কেননা অর্থসহ আপনার একাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে আপনি যদি এক বছর যাবত আপনার একাউন্টে কোন ধরনের লেনদেন না করে থাকেন। সব জায়গায পেওনিয়ার একাউন্ট পারমিশন না থাকার কারণে সব জায়গা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা পেওনিয়ার একাউন্টে নেওয়া যায় না। আর এ সকল অসুবিধায় সাধারণত পেওনিয়ার একাউন্টে দেখা যায়।

বাংলাদেশে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে লেখকের শেষকথা

পেওনিয়ার  একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ থেকে খোলার নিয়ম এবং পেওনিয়ার থেকে বিকাশে টাকা ট্রান্সফার করার নিয়ম সেই বিষয়ে ধারণা পেয়ে গেছেন। আপনি যদি বাংলাদেশে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলে থাকেন তাহলে এর ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা আপনি পাবেন। কেননা পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে খুব সহজে ডলার বিকাশে টাকায় রূপান্তর করা যায়। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট পেওনিয়ার একাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হয়ে থাকে। 

তাই আমার পরামর্শ এটাই যে, আপনি পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার সময় অবশ্যই আপনার সকল তথ্য সঠিক দিবেন এবং নিয়ম মেনে লেনদেন করবেন। পেওনিয়ার একাউন্টের মাস্টার কার্ডে যেহেতু অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় তাই এই মাস্টার কার্ডটি সংগ্রহ করা উচিত। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এরকম আরো আর্টিকেল সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url