বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে আপনার এই প্রসঙ্গে জানার খুব আগ্রহ। আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কত দিন সময় লাগতে পারে এবং বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে।
বিদেশ-থেকে-বিকাশে-টাকা-আসতে-কত-দিন-সময়-লাগে১
নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে অথবা নিজের ফ্যামিলির আর্থিক অবস্থা উন্নতি করার জন্য সবাই পছন্দ করে প্রবাসী জীবন। তবে আপনি প্রবাসে থাকার সময় আপনার বাসায় কিভাবে টাকা পাঠাবেন এবং টাকা আসতে কত দিন সময় লাগবে সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন আমাদের এই আর্টিকেলে।

পোস্ট সূচিপত্রঃবিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে 

আপনি যখন কাজের উদ্দেশ্যে বাইরের দেশে থাকবেন। তখন আপনার প্রয়োজনে অথবা পরিবারের প্রয়োজনে আপনাকে সেই দেশ থেকে টাকা পাঠানোর প্রয়োজন পড়বে। এখন আপনি চিন্তায় পড়তে পারেন যে যদি আপনার বাসায় জরুরী ভিত্তিতে টাকা পাঠাতে হয় তাহলে সেই টাকা আপনার বাসায় বা আপনার পরিবারের মানুষের কাছে পৌছাতে কতদিন সময় লাগবে। 

চিন্তার কোন কারণ নেই আমাদেরই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জেনে যাবেন বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে। আপনি যদি বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনার পরিবারের মানুষের কাছে টাকা পাঠাতে চান। তাহলে আপনার সময় ৫ মিনিট থেকে ১ দিন লাগতে পারে। 

তবে বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর সময় আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকাটা পাঠাতে চান তাহলে আপনার টাকা পাঠাতে কিছু সময় লাগতে পারে।কেননা বিকাশের সাথে বিভিন্ন টাকা ট্রান্সফার কোম্পানির কিছু সীমাবদ্ধতা এবং চুক্তি থাকে এবং তাদের এই কার্যক্রম বা টাকা পৌঁছানোর কিছু সময়সীমা থাকে। 

আপনি যদি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠাতে চান তাহলে আপনার সময় একটু কম লাগতে পারে। আপনার একাউন্ট যদি ব্যক্তিগত একাউন্ট হয়ে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই নিজের পরিবারের কাছে অল্প সময়ের মধ্যে টাকা পৌঁছাতে পারবেন। অন্যদিকে কোন বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে যদি আপনি নিজের পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে চান। 

সে ক্ষেত্রেও একটু সময় লাগতে পারে। অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের ছুটির দিনে যদি আপনি আপনার পরিবারের কাছে টাকা পাঠান সেক্ষেত্রে একটু সময় বেশি লাগতে পারে। কিন্তু সে সময়টা একদিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে অনেক সময় মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকার কারণে টাকা একটু দেরি করেও আপনার পরিবারের কাছে পৌঁছাতে পারে। এতে করে চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনি যদি খুব দ্রুত আপনার পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে চান তাহলে ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে ছোট পরিমাণে যেমন(১০০০ থেকে ১০০০০ টাকা) টাকা পাঠাতে পারেন। এতে করে অল্প সময়ের মধ্যে আপনার পরিবার আপনার পাঠানো টাকা পেয়ে যাবে।

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

আপনি আপনার পরিশ্রমের টাকা নিজের পরিবারের কাছে পাঠাতে ইচ্ছুক। কিন্তু সেই টাকা আপনি কিভাবে পাঠাবেন সেটা আপনার জানা নেই। আজকে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি সেটা খুব সহজেই জানতে পারবেন। বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম খুবই সহজ। আপনি যদি মানি ট্রান্সফার কোম্পানির মাধ্যমে আপনার পরিবারের মানুষের বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠাতে চান তাহলে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে টাকা পাঠাতে হবে। অন্যদিকে আপনি ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন মাধ্যমে আপনার পরিবারের মানুষের কাছে বিকাশ একাউন্টে টাকা পৌঁছাতে পারেন।

মানি ট্রান্সফার কোম্পানিঃ মানি ট্রান্সফার কোম্পানির মাধ্যমে যদি আপনি টাকা পাঠাতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে সেই মানি ট্রান্সফার কোম্পানির কোন শাখায় গিয়ে আপনার পরিবারের যে মানুষের বিকাশে টাকা পাঠাতে চান সেই বিকাশ নাম্বার এবং সেই বিকাশ যে নামে রেজিস্ট্রেশন করা আছে সেই সম্পূর্ণ নাম দিতে হবে। আপনি যত টাকা পাঠাতে চান সেই পরিমাণ টাকা প্রদান করতে হবে। আর এভাবেই আপনি খুব সহজে মানি ট্রান্সফার কোম্পানির মাধ্যমে আপনার পরিবারের মানুষের কাছে টাকা পৌঁছাতে পারবেন।

ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নঃ ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই নিজের উপার্জিত টাকা দেশে পরিবারের কাছে পাঠাতে পারবেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে একটা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে অ্যাপ। একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। অথবা যদি আপনার ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন অ্যাপে একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে প্রথমে আপনাকে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন অ্যাপে যেতে হবে। 

তারপর আপনি যদি বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে চান তাহলে সেই দেশ সিলেক্ট করে এবং টাকার পরিমান দিতে হবে। এরপর নিচে থাকা টাকা পাঠানোর বিভিন্ন মাধ্যম দেখাবে আপনি সেখান থেকে বিকাশ সিলেক্ট করে নিতে হবে। আপনি যে ব্যক্তির বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠাবেন সে ব্যক্তির সম্পূর্ণ নাম দিতে হবে এবং তার মোবাইল নাম্বারটি দিতে হবে। 

পরবর্তীতে আপনার কাছে কিছু তথ্য চাইতে পারে আপনি ততগুলো দিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন। সর্বশেষ আপনি সকল তথ্য একবার যাচাই-বাছাই করে সেন্ডিং বাটনে ক্লিক করবেন। আর এভাবে আপনি খুব সহজেই নিজের পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে পারবেন।

বিদেশে বিকাশ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে সেই সম্পর্কে জানলেন। এখন আপনি কি বিদেশে থেকেই আপনার ব্যবহারিত সিমে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বিদেশে বসে থেকে বিকাশ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করবেন। আপনি যদি বিদেশ বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান। 
বিদেশে-বিকাশ-একাউন্ট-রেজিস্ট্রেশন-করার-নিয়ম২
তাহলে আপনার ফোনে সর্বপ্রথম বিকাশ অ্যাপ থাকতে হবে যদি বিকাশ অ্যাপ না থাকে তাহলে গুগল প্লে স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপ ইনস্টল করে নিতে হবে। তারপর বিকাশ অ্যাপ ওপেন করলে সামনে একটি হোমপেজ আসবে সেখানে দেখবেন রেজিস্ট্রেশন অপশন থাকবে। সেই অপশনে আপনাকে সর্বপ্রথম ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পরে আপনি যে দেশে আছেন সেই দেশের নাম এবং আপনার ব্যবহৃত সেই দেশের মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। 

তারপর পরবর্তী বাটনে আপনার পাসপোর্ট যে দেশে আপনি আছেন সেদেশের আগমনের স্ট্যাম্পের ছবি চাইলে আপনাকে সেই ছবি তুলে দিতে হবে। পরবর্তী অপশনে আপনার নিজ দেশের জাতীয় পরিচয় পত্রের সামনে এবং পিছনে অংশের ছবি তুলে দিতে হবে। পরবর্তী বাটনে গেলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে সকল তথ্য যাচাই বাছাই করে নেবেন এবং নেক্সট বাটনে ক্লিক করার পর আপনার কাছে আরো কিছু তথ্য চাবে । আপনি সেইসব তথ্য পূরণ করে দিবেন এবং পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন। 

এরপর আপনার মোবাইল ফোনের ক্যামেরা চালু হয়ে যাবে আপনার মুখ মন্ডল ক্যামেরার সামনে নিয়ে গেলে আপনার চেহারার ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে।পরবর্তীতে নেক্সট বাটনে ক্লিক করে সকল তথ্য সাবমিট করে দিবেন। এরপর বিকাশ কোম্পানি আপনাকে একটি এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে যে আপনার একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করা সম্পূর্ণ হয়েছে এবং সেখানে ৫ সংখ্যার একটি টেম্পোরারি পিন দেওয়া থাকবে। 

আপনি বিকাশ অ্যাপ অথবা ডায়াল অপশনে *২৪৭# ডায়াল করে সেই টেম্পোরারি পিন পরিবর্তন করে আপনার ইচ্ছা মত যে কোন ৫ সংখ্যার পিন দিতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে পিন গুলো যেন সিরিয়াল নাম্বার অথবা একই সংখ্যা বারবার দেওয়া না হয়। এভাবে পিন সেট আপ করার পর আপনার একাউন্ট লেনদেনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। আর এভাবেই বিদেশে বসে থেকে আপনি খুব সহজেই বিকাশ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

বিদেশে বিকাশ একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন পরে

আপনি বিদেশে বসে থেকে খুব সহজেই বিকাশ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। তবে এখন আপনার মনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে আপনার বিকাশ একাউন্ট বিদেশে রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি কাগজপত্র লাগতে পারে। বিদেশে বিকাশ একাউন্ট খুলতে বেশি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না। তবে আপনি যদি আপনার বিদেশি নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান তাহলে যে সকল কাগজ পত্র থাকা আপনার আবশ্যক সেগুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলোঃ

জাতীয় পরিচয় পত্রঃ আপনারা নিজ দেশে জাতীয় পরিচয় পত্র আপনার সঙ্গে থাকতে হবে। তাহলে আপনি বিদেশে আপনার বিদেশি নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।

একটি বিদেশি সচল সিমঃ অবশ্যই বিদেশে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য আপনার বিদেশে একটি সচল সিম প্রয়োজন পড়বে।

ইন্টারনেট কানেকশনঃ আপনার ফোনে অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।

বিকাশ অ্যাপঃ আপনি যদি বিদেশে বাসায় বসে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান তাহলে অবশ্যই বিকাশ অ্যাপ আপনার ফোনে থাকতে হবে।

পাসপোর্টঃ অবশ্যই বিদেশে বিকাশ রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার পাসপোর্ট এর প্রয়োজন পড়বে।

আপনার কাছে এসব ডকুমেন্ট এবং বিকাশ অ্যাপ থাকলে আপনি খুব সহজেই বিদেশে বসে থেকে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই নিজের বিদেশি সিমে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।

বিদেশে বিকাশ একাউন্ট থাকার সুবিধাগুলো

আপনি বিদেশে বসে থেকে কিভাবে বিকাশ একাউন্ট খুলবেন এবং বিকাশ একাউন্ট খুলতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে সে সম্পর্কে জানলেন এবং আরও জানলেন বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে বিদেশে বিকাশ একাউন্টে থাকার ফলে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন। 

আসলে আপনার যদি বিদেশে বিকাশ একাউন্ট থাকে তাহলে আপনি কিছু সুযোগ সুবিধা পাবেন। কিন্তু দেশে যে সকল সুযোগ সুবিধা পান সে সকল সম্পূর্ণ সুযোগ সুবিধা আপনি বিদেশ পাবেন না। তবে বিদেশে বিকাশ একাউন্ট থাকলে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। নিচে বিদেশে বিকাশ একাউন্ট থাকার সুবিধাগুলো আলোচনা করা হলোঃ

মোবাইল রিচার্জঃ আপনি খুব সহজেই বিদেশে বসে থেকেই আপনার ফোনে অথবা পরিবারের মানুষের ফোনে রিচার্জ করতে পারবেন।

সেন্ড মানিঃ আপনি বিদেশ থেকে আপনার পরিবারে মানুষের কাছে টাকা পাঠাতে পারবেন বিকাশের মাধ্যমে। এজন্য বিকাশ কোম্পানি সেন্ড মানি অপশন চালু করেছে।

রেমিটেন্সঃ আপনার যদি বিদেশে বিকাশ একাউন্ট থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে রেমিটেন্সের টাকা পাঠাতে পারবেন।

এ সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য অবশ্যই বিদেশে আপনার বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে তাহলে আপনি এসব সুযোগ সুবিধা আওতায় থাকবেন। আর এসব সুযোগ সুবিধা নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে হবে।

কিভাবে বিদেশে বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন করবেন

আপনি যদি নিজ দেশে বিকাশ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন। তাহলে আপনি সেই একাউন্টের নাম্বার বিদেশে পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনি নিজের প্রয়োজনে নিজ দেশে বিকাশ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করছেন কিন্তু কাজের উদ্দেশ্যে আপনি বাইরের দেশে চলে গেলেন। এখন আপনি সেই দেশে বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করতে চাচ্ছেন। 

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে আপনি কিভাবে বিদেশে বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন করবেন। আপনি যদি বিদেশে বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন করতে চান।তাহলে সর্বপ্রথম আপনার প্রয়োজন পড়বে একটা বিদেশী নাম্বার এবং বিকাশ অ্যাপ। আপনার ফোনে যদি বিকাশ অ্যাপ থেকে থাকে তাহলে হোমপেজে দেখবেন বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন একটি অপশন আছে। 

আপনাকে প্রথমে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনি যে দেশে আছেন সেদেশের নাম অথবা কোড বসাতে হবে। দ্বিতীয়ত আপনার সেই দেশের ব্যবহৃত নাম্বারটি দিতে হবে। সবকিছু দেওয়া হয়ে গেলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার পাসপোর্টের আগমনের স্ট্যাম্পের সিলের ছবি চাবে আপনাকে ছবি তুলে পরবর্তী বাটনে চাপ দিতে হবে। আর এভাবে আপনি খুব সহজেই বিদেশে থেকে বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন করতে পারবেন।

বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা বিকাশে উত্তোলন খরচ

আপনি নিজের উপার্জিত অর্থ নিজ দেশে পাঠাতে। চান কিন্তু আপনি জানেন না বিদেশ থেকে বিকাশে পাঠানোর টাকা উত্তোলন খরচ কত। আপনি যদি আপনার পরিবারে মানুষের কাছে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠান তাহলে আপনার পরিবারের মানুষ সেই টাকাটা বিভিন্ন মানি ট্রান্সফার কোম্পানি থেকে, বিকাশের সাথে চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক অথবা এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবে। 
বিদেশ-থেকে-পাঠানো-টাকা-বিকাশে-উত্তোলন-খরচ৩
এক্ষেত্রে হাজারে ৭ টাকা চার্জ প্রযোজ্য। অন্যদিকে সেই টাকা যদি কোন বিকাশ এজেন্টের দোকান থেকে উত্তোলন করতে চায় তাহলে হাজারে ১৮ টাকা খরচ প্রয়োজন পড়বে এবং সেই দোকানদারের এজেন্ট নাম্বার যদি প্রিয় নাম্বার করা যায় তাহলে ১৪ টাকা খরচ পড়বে।আর আপনি এভাবে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা খুব সহজেই উত্তোলন করতে পারবেন।

বিদেশ থেকে বিকাশে সর্বোচ্চ কত টাকা পাঠাতে পারবেন

বিদেশ থেকে বিকাশে খুব সহজেই নিজ দেশে টাকা পাঠানো যায়। আপনি যদি ইচ্ছে করেন তাহলে আপনি আপনার পরিবারের সদস্যের বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠাতে পারবেন। তবে বিদেশ থেকে যদি আপনি আপনার পরিবারের সদস্যের বিকাশে টাকা পাঠাতে চান। তাহলে আপনাকে টাকা পাঠানোর পরিমান মেনে টাকা পাঠাতে হবে। 

এক্ষেত্রে আপনি সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিকাশে মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠাতে পারবেন। অন্যদিকে মাসে.৫ লাখ পর্যন্ত টাকা বিকাশের মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবারের কাছে পাঠাতে পারবেন। তবে আপনি যদি এর বেশি টাকা পাঠাতে চান তাহলে আপনার আয়ের প্রমাণপত্রের প্রয়োজন পড়বে। তাই অবশ্যই বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর পরিমাণ জানা প্রয়োজন। এতে আপনি আপনার পরিবারের কাছে সেই পরিমাণ অর্থ পৌঁছাতে পারবেন। বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে সেই সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে পেরেছি।

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে সেই সম্পর্কে লেখকের শেষকথা

আশা করি বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কতদিন সময় লাগে এবং বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে আপনার একটা সুস্পষ্ট ধারণা হয়েছে। বিদেশ থেকে নিজ দেশের পরিবারের মানুষের কাছে টাকা পাঠানোর বিভিন্ন মাধ্যম বা উপায় আছে। তবে আপনি খুব সহজেই বিকাশের মাধ্যমে আপনার পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছাতে পারবেন। 

আমার পরামর্শ এটা যে, আপনি বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর সময় কিছু তথ্য অবশ্য সংগ্রহ করে রাখবেন। যেমন টাকা পাঠানোর রেফারেন্স নাম্বার অবশ্যই আপনাকে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। টাকা পাঠানোর সময় অবশ্যই যে ব্যক্তি বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠাবেন সেই ব্যক্তির বিকাশ নাম্বার এবং বিকাশ একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন সময় যে নাম দেওয়া হয়েছে সেই নাম সম্পূর্ণ দিতে হবে। 

এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এরকম আরো আর্টিকেল সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখত পারেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url