সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের ৫টি উপকারিতা
সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা জানতে আপনি খুবই ইচ্ছুক।আর এই আর্টিকেলটি হতে পারে আপনার ইচ্ছা পূরণের মাধ্যম। তার সাথে আরো জানতে পারবেন সাদা লজ্জাবতীর গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে।
আপনি যদি সাদা লজ্জাবতী গাছের কার্যকরী গুনের সাথে পরিচয় না হয়ে থাকেন। তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। এতে করে আপনার সাদা লজ্জাবতী গাছ সম্পর্কে ধারণা হয়ে যাবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা
- সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা
- সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড় খাওয়া ও ব্যবহারের নিয়ম
- লজ্জাবতী গাছের পাতার উপকারিতা
- লজ্জাবতী গাছের পাতার ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়ম
- লজ্জাবতী গাছের উপকারিতা ও ঔষধি গুন
- লজ্জাবতী গাছ ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়ম
- সাদা লজ্জাবতীর গাছ চেনার উপায়
- সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা সম্পর্কে লেখকের শেষকথা
সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা
আপনি হয়তোবা লজ্জাবতী গাছ চিনে থাকতে পারেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে লজ্জাবতী গাছ চিনে আবার কি হবে? আর হ্যাঁ লজ্জাবতী গাছ চিনার পরে আপনি বাসায় বসে থেকে আপনার শরীরের কিছু রোগের চিকিৎসা করতে পারবেন। কেননা লজ্জাবতী গাছের আছে কিছু ঔষধি গুণ যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম।
লজ্জাবতী গাছ সাধারণত সাদা লজ্জাপতি ও লাল লজ্জাবতী হিসাবে সচরাচর দেখা যায়। কিন্তু সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের আছে কিছু ঔষধি গুন যার শরীরের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। সাদা লজ্জাপতি গাছের শিকড়ের ৫টি উপকারিতা গুলো সাথে পরিচয় হওয়া যাকঃ
হাত পা জ্বালা থেকে রক্ষা পেতেঃ অনেক সময় শরীরের সমস্ত অঙ্গ পতঙ্গ জ্বালা করতে শুরু করে দেখা যায় হাত থেকে পা পর্যন্ত সবকিছুই জ্বালাপোড়া করে যার ফলে শরীর অসুস্থ হয়ে যায় এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি সাদা লজ্জাপতি গাছের শিকড়ের। আপনি যদি একটা সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড় এনে সেটা পানির মধ্যে দিয়ে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিয়ে ছাকুনি দিয়ে ছেকে নিয়ে পানি খেতে পারেন তাহলে আপনার হাত-পা জ্বালা থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করবে।
অশ্ব রোগ নিরাময়েঃ শরীরের অশ্ব রোগ নিরাময়ে ব্যাপক সহায়ক সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়। আপনি সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড় দুধের সঙ্গে কিছু পরিমাণ পানি মিশিয়ে সেটা সিদ্ধ করে নিয়ে ভালো করে ছাকনি দিয়ে ছেকে নিয়ে পরিমান মত খেতে পারেন এতে আপনার শরীরের অশ্ব রোগ নিরাময় করা সম্ভব।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ সারাতেঃ কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ সারাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে সাদা লজ্জাপতি গাছের শিকড়।। আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ সারাতে চান তাহলে আপনাকে একটি সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড় এনে সেটাকে ভালো করে বেটে নিতে হবে অথবা থেতলে নিতে হবে। তারপর কিছু পরিমাণ পানি নিয়ে সেটাকে সিদ্ধ করে নিতে হবে এবং পরবর্তীতে অবশ্যই ছেকে নিয়ে সেটা পান করতে হবে। এভাবে কিছুদিন আপনি যদি নিয়ম মেনে সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড় খেতে পারেন তাহলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ নিরাময়ে সাহায্য করবে।
দাঁতের মাড়ির ক্ষত সারাতেঃ দাঁতের মাড়ির ক্ষত নিরাময়ে আপনি ব্যবহার করতে পারেন সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়। এতে আপনার দাঁতের মাটির ক্ষতস্থান নিরাময় করা সম্ভব।
শরীরের ঘা সারাতেঃ অনেক সময় শরীরে বিভিন্ন ধরনের ঘা দেখা দেয়। আর ঘা সারাতে ব্যবহার করতে পারি সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়।
সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড় খাওয়া ও ব্যবহারের নিয়ম
সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের অনেক ঔষধি গুণ যার শরীরের রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। কিন্তু আমরা যদি সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড় কিভাবে ব্যবহার করতে হয় বা কিভাবে খেলে শরীরের জন্য তা উপকারী। তা যদি না জেনে থাকি তাহলে তো সাদা লজ্জাপতি গাছের শিকড়ের সম্পূর্ণ উপকার পাবেন না। তাই সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা পেতে অবশ্যই নিয়ম মেনে ব্যবহার করবেন এবং খাবেন।
আপনি যদি শরীরের রোগ সারানোর জন্য সাদা লজ্জাপতি গাছের শিকড় খেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিয়ম মেনে খেতে হবে। আপনি একটি সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড় এনে সেটাকে প্রথমে থেতলে নিয়ে পানির মধ্যে দিয়ে গরম করে নিতে পারেন। যখন শিকড়টি সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন সেই পানি ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিয়ে পান করতে পারেন এতে করে আপনার শরীরের অর্শ রোগ নিরাময় করতে পারবেন।
অন্যদিকে ছাগলের দুধ বা গরুরের দুধের সঙ্গে পানি মিশিয়ে সেই পানিতে লজ্জাবতী গাছের শিকড় সিদ্ধ করে নিতে পারেন এবং শিকড় সিদ্ধ করা পানি ছেকে নিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরের জ্বালাপোড়া কমে যাবে। আপনি যদি এভাবে নিয়ম মেনে সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড় খেতে পারেন এবং ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের যে সকল রোগ সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড় প্রতিরোধ করতে পারে সে সকল রোগ আপনার শরীরে থাকবে না।
লজ্জাবতী গাছের পাতার উপকারিতা
সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানলাম। লজ্জাবতী গাছের পাতা শরীরের অনেক ধরনের রোগ সারিয়ে তুলতে সক্ষম। অনেক সময় গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের নারী সরে যায়। তখন বসতে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা কষ্ট হয়। এই সমস্যা দূর করার জন্য পাতা দিয়ে সিদ্ধ করা পানি খাওয়া উত্তম।
তাছাড়াও আমাশয় রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা যেতে পারে লজ্জাবতী গাছের পাতা। কেননা লজ্জাবতীর গাছের পাতা আমাশয় রোগ সারাতে ব্যাপক সহায়ক। শরীরে ঘামের গন্ধ লেগে থাকে যার ফলে জামা কাপড় ময়লা বা হলুদ কালার ধারণ করে। আর এই শরীরের ঘামের গন্ধ দূর করার জন্য লজ্জাবতী গাছের পাতা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
অথবা লজ্জাবতী পাতা মেশানো পানি দিয়ে ঘামযুক্ত স্থান পরিষ্কার করা গেলে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানে লজ্জাবতী গাছের পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
লজ্জাবতী গাছের পাতার ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি লজ্জাবতী গাছের পাতার উপকারিতা পেতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে লজ্জাবতী গাছের পাতার রস তৈরি করে পরিমাণ মতো খেতে হবে। অথবা লজ্জাবতী গাছের পাতার গুড়া করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে আপনি খেতে পারেন এতে করে আপনার শরীরে পাইলসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তাছাড়াও লজ্জাবতী গাছের পাতা পিষে নিয়েও আপনি খেতে পারেন এতে বেশ উপকৃত হবেন।
তাছাড়াও শরীরের ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য লজাপতি গাছের পাতা পানির মধ্যে দিয়ে সেই পানি দিয়ে ঘামযুক্ত স্থানগুলো ভালো করে পরিষ্কার করতে পারেন। এতে করে আপনার শরীর থেকে ঘামের গন্ধ সহজেই দূর হয়ে যাবে। তাই লজ্জাবতীর উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য আপনি অবশ্যই উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে লজ্জাবতীর শিকড় এবং পাতা ব্যবহার ও খেয়ে থাকবেন।
লজ্জাবতী গাছের উপকারিতা ও ঔষধি গুন
সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা এবং পাতার উপকারিতা তার সাথে পাতা ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানলাম। এখন আমরা জানবো লজ্জাবতী গাছের কিছু উপকারিতা এবং ঔষধি গুন। যার শরীরের বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ছোট থেকেই লজ্জাবতী গাছের সাথে খেলা করে আসতেছি। তখন তো জানতাম না যে লজ্জাবতী গাছের আছে কিছু ঔষধি গুন।
তখন লজ্জাবতী গাছের সাথে খেলা করতে খুবই ভালো লাগতো কেননা হাতের স্পর্শ পাওয়া মাত্রই পাতাগুলো কেমন যেন বন্ধ হয়ে যেত। আর এটা থেকে মনের মধ্যে একটা আনন্দ হতো। কিন্তু এই গাছটি যে শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম সেটা জানা ছিল না। চলুন জেনে নেই লজ্জাবতী গাছের কিছু উপকারিতা এবং ঔষধি গুন সম্পর্কেঃ
পেট ফুলা থেকে রক্ষাঃ অনেক সময় শরীরে পেটে হজম না হওয়ার কারণে পেটের মধ্যে গ্যাস সৃষ্টি হয়। সেই গ্যাসের কারণে অনেক সময় পেট ফুলে যেতে পারে। আর এই পেট ফুলা থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করতে পারি লজ্জাবতী গাছের পাতা।
জন্ডিস রোগ নিরাময়ঃ জন্ডিস রোগ নিরাময়ের জন্য জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে লজ্জাবতী গাছের পাতার রস। আপনি যদি পরিমাণ মতো লজ্জাবতী গাছের পাতার রস খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের জন্ডিস রোগের সাথে সাথে পিত্তজনিত সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
কাশি থেকে মুক্তি পেতেঃ আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে শরীরের মধ্যে কাশি নিয়ে থাকেন। তাহলে সেই কাশি দূর করার জন্য লজ্জাবতী গাছের শিকড় রস করে নিয়ে খেতে পারেন।
ডায়রিয়া রোগ নিরাময়েঃ ডায়রিয়া রোগ নিরাময় করতে পরিমাণ মতো লজ্জাবতী গাছের মূলের বা শিকড়ের রস খেতে পারেন এতে করে বেশ উপকৃত হবে।
শরীরের ক্ষতস্থান সাড়াতেঃ অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ক্ষতস্থান সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষতস্থানে যদি লজ্জাবতী গাছের শিকড় বেটে নিয়ে লাগানো যায় তাহলে কিছুটা উপকার পাওয়া যায়।
শরীরে জ্বালাপাড়া দূর করতেঃ শরীরের জ্বালাপোড়া দূর করতে লজ্জাবতী গাছের শিকড় ব্যবহার করা উত্তম।
আলসার রোগ নিরাময়ঃ আপনি যদি আলসার রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের গুড়া খেতে পারেন।
অশ্ব রোগ নিরাময়েঃ শরীরের অশ্ব রোগ সারাতে ব্যবহার করা যেতে পারে লজ্জাবতী গাছের শিকড়। এতে অশ্ব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
দাঁতের মাড়ির ক্ষত সাড়াতেঃ অনেক সময় দাঁতের মাড়ির ভিতর ক্ষত সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষত সারাতে ব্যবহার করতে পারে মূল দিয়ে সিদ্ধ করা পানি। সেই পানি দিয়ে আপনি যদি ভালো করে মুখটি কুলি করে নিতে পারেন তাহলে আপনার দাঁতের মাড়ির ব্যথা এবং ক্ষত দুটোই সেরে যাবে।
লজ্জাবতী গাছ ব্যবহার ও খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি লজ্জাবতী গাছের ওষুধি গুণগুলো আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধে কাজে লাগাতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম মেনে লজ্জাবতীর গাছ ব্যবহার এবং খেতে হবে। এতে করে আপনি আপনার শরীরের রোগগুলো থেকে মুক্তি পাবেন। চলুন তাহলে লজ্জাবতী গাছ ব্যবহার ও খাবার নিয়মের সাথে পরিচয় হওয়া যাক-
আপনি যদি লজ্জাবতী গাছের মূল বা শিকড় খেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটা লজ্জাবতী গাছের মূল বা শিকড় তুলে আনতে হবে। তারপর সেটাকে ভালো করে পরিষ্কার করে থেতলে নিয়ে বা বেটে নিয়ে পেস্ট করে শরীরে ক্ষতস্থানে লাগাতে পারবেন। অন্যদিকে যদি আপনি সেই মূল বা শিকড় খেতে চান তাহলে অবশ্যই সেই শিকরটি গুড়া করে নিতে হবে।
অথবা পানির মধ্যে সিদ্ধ করে সে সিদ্ধ করা পানি পান করতে হবে। তাহলে এর উপকার গুলো আপনি পাবেন। আপনি সিদ্ধ করা পানি দিয়ে কুলি করতে পারেন এতে করে আপনার দাঁতের মাড়ির ব্যথা দূর হয়ে যাবে। আর এভাবে যদি আপনি লজ্জাবতী গাছের শিকড় সিদ্ধ করে অথবা গুড়া করে খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেয়ে যাবেন।
সাদা লজ্জাবতীর গাছ চেনার উপায়
সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা পেতে আপনাকে সাদা লজ্জাবতী গাছ চিনতে হবে।কিন্তু আপনি যদি সাদা লজ্জাবতী কাজ না চিনে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি খুব সহজেই সাদা লজ্জাবতী কাজ চিনতে পারবেন। আর এই সাদা লজ্জাবতী কাজ শরীরের বিভিন্ন রোগ দূর করতে সক্ষম। তাই সাদা লজ্জাবতীর গাছ চেনার উপায় গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
চলুন সাদা লজ্জাবতীর কাছে যে সকল গুন থাকলে আপনি চিনতে পারবেন। প্রথমত আপনি যদি একটা সাদা লজ্জাবতী গাছ দেখে থাকেন তাহলে প্রথমে আপনাকে একটা বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে সেই লজ্জাবতী গাছের পাতাগুলো কি পুরো সবুজ কি না। কেননা সাদা লজ্জাপতি গাছের পাতা পুরো সবুজ। অন্যদিকে পাতাগুলো স্পর্শ করার সাথে সাথে পাতাগুলো বন্ধ হওয়া শুরু করে কিন্তু ডাল নূলে যাবে না।
তাছাড়াও আপনি যদি একটি সাদা লজ্জাবতী গাছ তুলে ফেলেন তাহলে দেখে থাকবেন সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড় বা মূল একটাই। সাদা লজ্জাবতীর গাছের কান্ড সাদা হয়ে থাকে। আর এভাবেই আপনি খুব সহজেই সাদা লজ্জাপতি গাছ চিহ্নিত করতে পারবেন এবং রোগ প্রতিরোধে সেই সাদা লজ্জাবতী গাছ ব্যবহার করতে পারবেন।
সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা সম্পর্কে লেখকের শেষকথা
সাদা লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের উপকারিতা এবং লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুন গুলোর সম্পর্কে জানা হলো এবং তার সাথে সাদা লজ্জাবতীর গাছ চেনার উপায় গুলোর সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। তবে আমার পরামর্শ এটাই যে লজ্জাবতী গাছের শিকড়ের এবং পাতার উপকারিতা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনি নিয়ম মেনে সেটা ব্যবহার করবেন এবং খাবেন।
তাহলে খুব সহজে উপরে আলোচিত রোগ গুলা আপনার শরীর থেকে দূর করতে পারবেন। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এরকম আরো আর্টিকেল সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url