বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা-বেলের ১১টি ঔষধি গুন
বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। তার সাথে আরো জানতে পারবেন বেলের ১১টি ঔষধি গুন যা শরীরের জন্য উপকারী।
শুধু বেলপাতা নয় বেলের মূল থেকে শুরু করে ফল ও ফুল শরীরের জন্য উপকারী। তাই বেল পাতার উপকার ও বেলের যে সকল ঔষধি গুন আছে জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
বেলপাতা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী. কেননা বেলপাতা হজম শক্তি থেকে শুরু করে পেট ঠিক রাখতে সাহায্য করে। বেলপাতা রস দিয়ে আমরা খুব সহজে ক্ষতস্থান নিরাময় করতে পারি চলুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে বেল পাতার রস দিয়ে ক্ষতস্থান নিরাময় করা যায়। যদি শরীরের কোন স্থানে কেটে যায় তাহলে আমরা বেল পাতা থেতলে রস বের করে সেই জায়গায় লাগাতে পারি।
এতে করে ক্ষতস্থান আস্তে আস্তে সেরে যাবে এবং ব্যথা নিরাময় হবে। তাছাড়া বেলপাতা পেটের ডায়রিয়া থেকে শুরু করে পেটে যাবতীয় ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে শরীরের কোলেস্টের মাত্রা ঠিক রাখতে বেলপাতা ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। যেহেতু বেল পাতায় ভিটামিন সি বিদ্যামান থাকে সেহেতু শরীরের মধ্যে যে সকল রোগ ভিটামিন সি এর অভাবে দেখা দেয় সেই রোগগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বেলপাতার রস যদি মধুর সঙ্গে খাওয়া যায় তাহলে শরীরের জন্ডিস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাছাড়াও শরীরের অনেক সময় হাত পা ফুলে যায় এক্ষেত্রে আমরা বেলপাতার রস ব্যবহার করতে পারি তাতে কিছুটা এসব রোগ নিরাময় করা সম্ভব। এই যে বেল পাতার এত গুণ তবে বেল পাতার কিছু অপকারিতা বা ক্ষতির দিক আছে।
কেননা সব কিছুরই একটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে তাই যদি আপনি অতিরিক্ত বেলপাতা রস খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের জন্য তা মোটেও উপকারী হবে না। তাই বেলপাতার রস আপনি নিয়ম মেনে খাবেন। এতে করে বেল পাতা রসের সব উপকার পাবেন খুব সহজেই। চলুন তাহলে জেনে নেই বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো সম্পর্কে।
বেল পাতার ১০টি উপকারিতা
বেলপাতা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কেননা বেল পাতা দিয়ে খুব সহজেই শরীল থেকে বিভিন্ন রোগ নিরাময় করা সম্ভব। তাছাড়াও বেলপাতা শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জানার আগে চলুন জেনে নেই বেল পাতার উপকারিতা সম্পর্কেঃ
হজমশক্তি কমাতেঃ বেল পাতার রস খেলে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং যাদের হজমে সমস্যা তারা প্রতিদিন বেলপাতার রস খেতে পারে এতে করে পেটের হজমের সমস্যা দূর করা সম্ভব।
কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ সারাতেঃ যারা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগতেছেন তারা বেল পাতার রস একবার হলেও খেতে পারেন। শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ নিরাময় বেল পাতা সাহায্য করে।
ক্ষতস্থান নিরাময়েঃ শরীরের কোন জায়গায় যদি ক্ষতস্থান দেখা দেয় বা কেটে যায় তাহলে সেই জায়গায় বেল পাতা থেতলে রস লাগিয়ে দিতে পারি। ক্ষতস্থান এতে করে সারানো সম্ভব।
পেট ব্যথা দূরীকরণেঃ অনেক সময় পেট প্রচন্ড ব্যথা করে সেই ব্যাথা দূর করার জন্য আমরা বেল পাতার রস খেতে পারি।
জ্বর ও সর্দি দূরীকরণেঃ শরীরের জ্বর ও সর্দি দূর করতে বেল পাতার রস এর সাথে লেবুর রস মিশে খেতে পারি এতে করে জ্বর ও সর্দি দূর হয়ে যায়।
শরীরের ব্যথা দূরীকরণেঃ অনেক সময় শরীরের কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বা কোন জয়েন্টে ব্যথা দেখা দেয় সেই ব্যথা দূর করতে বেলপাতা গরম করে সেই ব্যথাযুক্ত স্থানে লাগিয়ে দিতে পারি। এতে করে ব্যথা কিছুটা কমে যাবে।
ডায়রিয়া রোগ নিরাময়েঃ শরীরে ডায়রিয়া রোগ সারাতে বেলপাতা খেতে পারি। এতে করে ডায়রিয়া রোগ কিছুটা নিরাময় করা সম্ভব।
মাথায় নতুন চুল বৃদ্ধিতেঃ বেলপাতা থেতলে নিলে যে রসটা বের হয় সেই রসটা মাথায় লাগিয়ে রাখতে পারি তারপর শুকিয়ে গেলে মাথাটা ধুয়ে ফেলতে পারি। এতে করে মাথায় নতুন চুল গজানো শুরু করে তাই মাথায় নতুন চুল গজাতে বেল পাতার রস ব্যবহার করতে পারি।
ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করেঃ আপনি যদি নিয়ম মত বেলপাতা খেতে পারেন তাহলে শরীরের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হয়।
শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতেঃ অনেক সময় শরীর ঘেমে যাওয়ার পর শরীরের মধ্যে একটা দুর্গন্ধ দেখা দেয় এই দুর্গন্ধ দূর করতে বেল পাতার ব্যবহার করতে পারি। নিয়মিত গোসল করার সময় বেলপাতার রস পানিতে দিয়ে গোসল করলে শরীর থেকে ঘামের গন্ধ দূর হয়ে যায়।
বেল পাতার অপকারিতা
বেলপাতা শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়াও শরীরে ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে ব্যাপক সহায়ক। তবে সব কিছুরই কিছু ক্ষতিকর দিক আছে। তাই বেলপাতার উপকারিতা থাকলেও আছে কিছু অপকারিতা। যেহেতু আমরা জানি সব কিছুরই একটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে।বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্যে বেলের অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই তাহলে।
সেহেতু আপনি যদি বেলপাতা নিয়ম মেনে না খান তাহলে তা আপনার শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো একটা প্রভাব ফেলবে না। আপনি যদি অতিরিক্ত বেলপাতার রস খান তাহলে পেটের কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে শরীরের নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আপনি নিয়ম মেনে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু বেল পাতার রস খেতে পারেন।
তাহলে আপনার শরীরে এসব প্রভাব কখনোই দেখা দিবে না। তাই আমার পরামর্শ এটাই যে আপনি বেল পাতার রস খাওয়ার আগে বেল পাতার রস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিবেন। তাহলে বেলপাতার রস খেলে শরীরে বেলপাতার খাওয়ার কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না।
বেল পাতার খাওয়ার ও ব্যবহারের নিয়ম
আপনি যদি বেলপাতার সব উপকারিতা গুলো পেতে চান তাহলে অবশ্যই বেল পাতা আপনাকে নিয়ম মেনে খেতে হবে না হলে বেল পাতার ক্ষতিকর প্রভাব আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেই বেল পাতা খাওয়ার ও ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। বেলপাতা রস যদি আপনি ক্ষতস্থান নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করতে চান।
তাহলে অবশ্যই বেল পাতা থেতলে নিয়ে যে রসটা বের হবে সেই রস টা ক্ষতস্থানে লাগাতে হবে তাহলে ভালো একটা ফলাফল পাওয়া যাবে। অন্যদিকে বেলপাতা রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। বেলপাতার রস লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে জন্ডিস রোগ নিরাময় করা সম্ভব। তবে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে বেলপাতা চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের জন্য তা বেশ উপকার।
কেননা বেলপাতা শরীরকে শীতল রাখতে সাহায্য করে এবং তার সাথে সাথে শরীরের পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। জ্বর সর্দি নিরাময়ে আপনি বেল পাতার রস অথবা বেলপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন এতে করে শরীরের জ্বর ও সর্দি নিরাময় করা সম্ভব। যদি আপনি বেলপাতার রস মাথার মধ্যে লাগিয়ে রাখতে পারেন তাহলে নতুন চুল গজাতে বেলপাতা রস সাহায্য করবে। তাই বেল পাতার সব উপকারিতা পেতে হলে বেলপাতা নিয়ম মেনে খেতে হবে এবং নিয়ম মেনে শরীরে ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই বেল পাতার সম্পূর্ণ উপকারিতা পাওয়া সম্ভব।
বেলের ১১টি ঔষধি গুন
বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। চলুন জেনে নেই বেলের ঔষধি গুন। একটা বেল গাছের বেলপাতা থেকে শুরু করে ফল,ফুল ও বেলের শিকর শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু এর থেকে বেশি উপকার বেল খাওয়াতে। চলুন তাহলে জেনে নেই বেলের ১১টি ঔষধি গুন সম্পর্কেঃ
ভিটামিন সিঃ বেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি বিদ্যামান। তাই শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করতে বেল খেতে পারেন।
ভিটামিন এঃ শরীরে ভিটামিন এ অভাবে যে সকল রোগ দেখা দেয় সে সকল রোগ নিরাময়ের জন্য বেল খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস ঠিক রাখতেঃ অনেক সময় শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই শরীরের সুগারের মাত্রা ঠিক রাখতে খেতে পারেন বেল। কেননা বেল শরীরের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
ডায়রিয়া দূরীকরণেঃ শরীরের ডায়রিয়া দূর করার জন্য বেল খাওয়া যেতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণেঃ আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বেল খেতে পারেন। কেননা বেলের ঔষধি গুন আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ নিরাময়ে সাহায্য করবে।
ক্যান্সার রোগ নিরাময়েঃ আপনি যদি নিয়ম মেনে বেল খেতে পারেন তাহলে ক্যান্সার শরীরের কোষ কলা কে আহত করতে পারবে না।
যক্ষা কমাতেঃ একটি বেল আপনার শরীরের যক্ষা কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে পাকা বেল খেতে পারেন।
লিভার ও কিডনি ভালো রাখতেঃ লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বেল অত্যন্ত কার্যকারী। তার সাথে কিডনি সুস্থ রাখতে বেল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ত্বকের যত্নেঃ বেল ত্বক সতেজ ও মসৃণ রাখে কেননা বেল ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
ব্যথা কমাতেঃ ব্যাথা কমাতে বেল বেশ উপকারী। শরীরের কোন জায়গায় যদি ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে বেল খাওয়ার মাধ্যমে সেই ব্যথা উপশম করা সম্ভব।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ যাদের শরীরে হজমের সমস্যা সেই হজমের সমস্যা দূর করতে বেল খাওয়া বা বেলে শরবত খাওয়া উত্তম। বেলের শরবত পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে।
বেল খাওয়ার সঠিক নিয়ম
আমরা বেলপাতা খাওয়ার সঠিক নিয়মের সাথে পরিচিত হয়েছি কিন্তু বেল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। চলুন জেনে নেই বেল খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। আপনি হয়তোবা মনে মনে ভাবতেছেন যে বেল খাওয়ার আবার সঠিক নিয়ম হয় নাকি। জ্বী হ্যাঁ আপনি যদি বেলের ঔষধি গুন গুলো আপনার শরীরের কার্যকরী করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেল সঠিক নিয়মে খেতে হবে।
তা না হলে আপনার শরীরের জন্য বেল তেমন একটা উপকারী হবে না। জ্বী আপনি যদি কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যান তাহলে আপনি একটা বেলের শরবত তৈরি করে খেতে পারেন এতে আপনার শরীরে ক্লান্তি ভাব দূর হবে এবং তার সাথে শক্তি সঞ্চয় হবে। আপনার কাজ করার আগ্রহ তখন বেড়ে যাবে। গ্রীষ্মকালে বেলের শরবত খাওয়ার চাহিদা একটু বেশি বেড়ে যায়।
কেননা যখন গরমে আপনি অতিষ্ঠ হয়ে পড়বেন তখন এক গ্লাস বেলের শরবত আপনার শরীরের সারাদিনের ক্লান্তি ভাবটা দূর করে ফেলবে এবং আপনার শরীর রাখবে শীতল। তবে আপনি সকালবেলা বেলের শরবত খেতে পারেন এতে করে আপনার সারাদিনের কাজ করার আগ্রহ বেড়ে যাবে। তবে শরীরের জন্য অতিরিক্ত বেলে শরবত অনেক সময় উপকারী নাও হতে পারে। তাই আপনাকে হিসাব করে বেলের শরবত খাওয়া উচিত। আর এভাবে যদি আপনি বেলের শরবত খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং তার সাথে আপনার পেটের হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
বেল খাওয়ার ক্ষতিকারক দিক
বেল শরীরের জন্য শুধু উপকারী না এর কিছু ক্ষতিকর দিক আছে। উপরে আমরা বেল পাতার ক্ষতিকর দিকের সাথে পরিচিত হয়েছি কিন্তু বেল খাওয়ার ক্ষতিকর কিছু দিক আছে। চলুন তাহলে বেল খাওয়ার ক্ষতিকার দিকগুলো একটু জেনে নেই। আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে একটানা পাকা বেল খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার পেটে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অনেক সময় আপনার অন্ত্রের ছিদ্র হতে পারে যার ফলে আপনার শরীরে কিছু সমস্যা জ্বর, বমি বমি ভাব এবং মাথা ব্যাথা হতে পারে। অন্যদিকে আপনি যদি বেলের শরবত নিয়ম মেনে না খান তাহলে আপনার পেটে অনেক সময় গ্যাস সৃষ্টি হয় সেই গ্যাসের কারণে পেটে দুর্গন্ধ হতে পারে। তাছাড়াও অতিরিক্ত বেল আপনার আপনার শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরপ হতে পারে।
অন্যদিকে আপনি যদি পাকা বেল নিয়মিত খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের সুগারের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আর সুগারের মাত্রা যদি বৃদ্ধি পেয়ে যায় তাহলে আপনার শরীরের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। তাই শরীর সুস্থ রাখতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই আপনাকে বেল নিয়ম করে ও যতোটুকু বেল খেলে আপনার শরীরের জন্য উপযোগী ঠিক ততটুকু পরিমাণে বেল খাওয়া উত্তম। তাহলে আপনার শরীরে বেল খাওয়ার ক্ষতিকারক কোন প্রভাব পড়বে না।
বেলের শরবত বানানোর নিয়ম
হঠাৎ একদিন খুব গরম পরল আর আপনার মনে হলো আপনি বেলের শরবত করে খাবেন কিন্তু আপনি জানেন না বেলের শরবত কিভাবে বানাতে হয়। তখন আপনি চিন্তায় পড়ে গেলেন যে বেলের শরবত কিভাবে বানাবেন। চিন্তার কোন কারণ নেই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি বেলের শরবত বানাতে পারবেন খুব সহজেই বাসায় বসে থেকে।
বেলের শরবত গরমকালে শরীরের সকল ক্লান্তি দূর করে এবং শরীর শীতল রাখতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আপনি যদি বেলের শরবত না বানাতে পারেন তাহলে কিভাবে শরীর শীতল রাখবেন। চলুন বেলে শরবত বানানোর নিয়ম জেনে নেওয়া যাক। প্রথমে আপনাকে একটি উপযুক্ত পাকা বেল নিতে হবে তারপর সেই বেলটাকে শক্ত কোন কিছু দিয়ে বেলের উপরের মোটা ঘোষাটা ভেঙে ফেলতে হবে।
তারপর বেলের ভিতর থাকা স্বাস গুলোকে সুন্দর করে বের করে নিতে হবে। পরে স্বাস বের করে নেওয়া হয়ে গেলে সেগুলো হাত দিয়ে ভালো করে নরম করে নিতে হবে নরম করে নেওয়ার পর সেগুলো থেকে আঁশ এবং বিচিগুলো আলাদা করে নিতে হবে। আলাদা করে নেওয়ার জন্য আপনি ছাকনি ব্যবহার করতে পারেন। তবে ছাকনিতে আঁশ এবং বিচিগুলো আলাদা করার জন্য হালকা পরিমাণে পানি দিতে হবে।
তাহলে খুব সহজে আশ ও বিচিগুলো আলাদা করা যাবে। এরপর পরিমাণ মতো চিনি এবং সামান্য পরিমাণে লবণ দিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে। তারপরে আপনি যতটুকু পরিমাণে শরবত বানাতে চান ঠিক ততটুকু পরিমাণে ঠান্ডা পানি দিয়ে দিতে পারেন। আর এভাবেই বাসায় বসে থেকে সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে তৈরি করে ফেলতে পারেন বেলের শরবত।
তবে অনেকেই বেলের শরবত দুধ বা দই মিশিয়ে তৈরি করে। এভাবে বাসায় বসে যদি আপনি সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে শরবত তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীর শীতল রাখতে সাহায্য করবে এবং আপনার পেটের হজমের সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
বেল পাতার রস খেলে কি ক্ষতি হয়
বেলপাতা শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রতিরোধ করে থাকে। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে বেল পাতা রস খেলে কি ক্ষতি হয়? চলুন তাহলে এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাক-বেলপাতার রস খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বেল পাতার রস শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে তাছাড়াও শরীরের ক্ষতস্থান নিরাময় করতে বেল পাতার রস কার্যকরী।
আপনি যদি অতিরিক্ত বেল পাতার রস খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত বেল পাতার রস খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। তবে আপনি যদি নিয়ম মেনে বেল পাতা রস খেতে পারেন তাহলে শরীরে কোন ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলবে না। তাই বেলপাতার রস নিয়ম মেনে খেলে ক্ষতি হয় না কিন্তু আপনি যদি নিয়ম না মেনে বেল পাতার রস ব্যবহার বা খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে যা আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে লেখকের শেষ কথা
বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং বেলের ১১টি ঔষধি গুন গুলোর সাথে আমরা পরিচিত হলাম। বেল শরীরের বদ হজম দূর করতে সাহায্য করে এবং তার সাথে পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে বেলের শরবত অনেক কার্যকরী। তবে আমার পরামর্শ এটাই যে আপনি যদি বেলের শরবত এবং বেল পাতার রস খেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি নিয়ম মেনে বেল পাতার রস এবং বেলের শরবত খাবেন।
যার ফলে আপনার স্বাস্থ্যের ওপর কোন ক্ষতিকার প্রভাব পড়বে না। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এরকম আর্টিকেল সবার আগে পেতে ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url