রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি যদি অবগত না হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। রসুন ও কালোজিরা শরীরের জন্য কতটুকু উপকারী এবং খালি পেটে রসুন খেলে কি ক্ষতি হয় সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন।
রসুন-ও-কালোজিরার-উপকারিতা১
আপনি যদি রসুন ও কালোজিরার সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে না জেনে থাকেন এবং রসু ন ও কালোজিরা মানুষের জন্য কতটুকু উপকারী জানার জন্য আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা

সবাই নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পছন্দ করে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না কেননা রসুন ও কালোজিরা স্বাস্থ্যের ঠিক রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা রসুন ও কালোজিরায় এমন উপাদান বিদ্যামান থাকে যেগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

শরীরের সব ধরনের রোগ নিরাময়ের জন্য রসুন ও কালোজিরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য রসুন ও কালোজিরা খাওয়া উত্তম। রসুন ও কালোজিরা আপনি যদি প্রতিদিন খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের ক্যান্সার কোষ কেলাকে ধ্বংস করতে সাহায্য করবে। ত্বকের যত্নে রসুনের ব্যবহার তো হয়েই থাকে।

শরীরের হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা রসুন ও কালোজিরা নিরাময় করে থাকেন। তাই রসুন ও কালোজিরা খাওয়া গেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আপনি যদি রসুন এবং কালোজিরা সকালে খালি পেটে খেতে পারেন এতে আপনার পেট ভালো থাকবে এবং আপনার পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। তবে রসুন কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে রসুন এর উপকারিতা ও কালোজিরার উপকারিতা জানতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেই রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা গুলো।

রসুনের ১৩টি উপকারিতা

রান্নার কাজে ব্যবহৃত রসুন শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তবে রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে শুধু রসুনের উপকারিতা গুলো জেনে নেই। রান্নার সময় কোন রান্নায় রসুন না দিলে চলে না । কেন জানি রসুন আমাদের রান্নার তালিকায় নিত্য প্রয়োজনীয় একটা উপাদান। কিন্তু এই উপাদান টুকু আমাদের শরীরের জন্য কতো উপকারী ও কার্যকারী ভূমিকা পালন করে চলুন সেই সম্পর্কে একটু অবগত হই ঃ
রসুন-ও-কালোজিরার-উপকারিতা২
রক্তচাপ কমাতেঃ অনেক সময় শরীরে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয় এবার রক্তচাপ কমানোর জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে রসুনের কোয়া খেতে পারি এতে করে শরীরের রক্তচাপ কমে যাবে। যদি আপনি খালি পেটে বা কাঁচায় রসুন খেতে পছন্দ না করেন তাহলে রান্নায় ব্যবহৃত রসুন খেতে পারেন তাতেও আপনার শরীরের উচ্চ রক্তচাপ অনেকাংশেই কমে যাবে।

ক্যান্সার কোষ কোলাকে ধ্বংস করতেঃ রান্নাঘরে ব্যবহৃত সেই রসুন ক্যান্সার কোষ কলা প্রতিহত করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে রসুন খান। তাহলে ক্যান্সার আপনার শরীরের কোষ কলা কে আক্রমণ করতে পারবে না।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ প্রতিনিয়ত রসুন খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি পায়। সহজে কোন রোগ শরীরে আক্রমণ করতে পারে না। তাই রান্নার তালিকায় রসুন রাখা অনেক ভালো।

রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করেঃ রসুন খাওয়ার পরে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের হার/ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন খালি পেটে রসুন খান।

ত্বক ঠিক রাখতেঃ নিয়মিত রসুন খাওয়া গেলে চেহারার মধ্যে বয়সের ছাপ পড়ে না। চেহারা থাকে সতেজ। তাছাড়া রসুন দাউদ রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।

হার্ট ভালো রাখেঃ নিয়মিত রসুন খাওয়ার ফলে হার্ট ভালো থাকে। তাই হার্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত রসুন খান

কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখেঃ নিয়মিতর রসুন খেলে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকে

শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতেঃ দেহে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে রসুন ব্যাপক সহায়ক। তাই খালি পেটে রুসুনের কোয়া খাওয়া অনেক ভালো।

হৃদরোগ নিরাময়েঃ যারা হৃদরোগে আক্রান্ত আছেন তারা অবশ্যই রসুন খেতে পারেন। হৃদরোগ নিরাময়ে রসুন অনেক সাহায্য করে।

হজম শক্তি বাড়ায়ঃ যাদের হজমে সমস্যা তারা প্রতিনিয়ত রসুনের কোয়া খেতে পারে। এতে পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিঃ রসুন খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ দিন দিন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলতেছে। এক কোয়া রসুন আপনার শরীরে সুগারের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে এবং ডায়াবেটিস স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতেঃ জি হ্যাঁ এক কোয়া রসুন যদি আপনি প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের ওজন কমতে সাহায্য করবে।

কালোজিরার ২০টি উপকারিতা

শরীরের জন্য কালোজিরা অনেক উপকারী। রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা জানার আগে জানতে হবে কালোজিরার উপকারিতা। কেননা কালোজিরায় অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান বিদ্যামান।যে উপাদানগুলো শরীরের রোগ প্রতিরক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেই কালোজিরার উপকারিতা গুলোঃ

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ কালোজিরা শরীরে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে তাই ডায়াবেটিস রোগীদের কালোজিরা খাবার অভ্যাস করতে হবে এতে শরীরের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেঃ যারা শরীরে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে চান তারা খাদ্য তালিকায় কালোজিরা রাখতে পারেন। কালোজিরা শরীরে ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

ত্বক ঠিক রাখতেঃ কালোজিরা তেল ব্যবহারে ত্বক সতেজ ও মসৃণ থাকে। ত্বক সুন্দর রাখতে কালোজিরার তেল ব্যবহার করা উত্তম।

ব্রণ দূর করতেঃ ত্বকে যদি ব্রন উঠে থাকে তাহলে সেই ব্রণ সারানোর জন্য কালোজিরা তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে আস্তে আস্তে ত্বক থেকে ব্রণ দূর হয়ে যাবে।

মাথা ব্যাথা দূর করেঃ যদি প্রচন্ড মাথা ব্যথা করে তাহলে আপনি কালোজিরা তেল আলতো করে মাথায় দিতে পারেন এবং হালকা করে মাথায় মাসাজ করতে পারেন। এতে আপনার মাথার ত্বক শীতল হবে এবং আপনার মাথা ব্যাথা সেরে যাবে।

হাটু এবং পায়ের ব্যথা দূরীকরনেঃ হাঁটুতে অথবা পায়ের ব্যথা থাকলে যে জায়গায় ব্যথা সে জায়গায় কালোজিরার তেল দিয়ে রাখতে পারেন এতে করে হাঁটুর ব্যাথা ও পায়ের ব্যাথা দূর হয়ে যাবে।

কিডনি ভালো রাখতেঃ কিডনি ভালো রাখতে প্রতিদিন খাবারের তালিকা কালোজিরা রাখতে পারি। তার সাথে লিভার ভালো থাকবে।

হাঁপানি রোগ নিরাময়েরঃ হাঁপানি রোগ নিরাময়ে কালোজিরা খাদ্য তালিকায় রাখতে পারি। কালোজিরা প্রতিদিন খেলে শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ প্রতিদিন কালোজিরা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই খাদ্য তালিকা কালোজিরা রাখা উত্তম।

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিঃ কালোজিরা খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় তার সাথে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তাই খাদ্য তালিকায় কালোজিরা রাখা ভালো।

সর্দি-কাশি নিরাময়ঃ যদি সর্দি কাশি লেগে থাকে তাহলে আপনি প্রতিদিন কালোজিরা খেতে পারেন। এতে সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পাবেন

রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ দেহে রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য আমরা কালোজিরা খেতে পারি। এদের শরীরের রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

ডায়রিয়া রোগ নিরাময়েঃ ডায়রিয়া রোগ নিরাময়ে কালোজিরা ব্যাপক সহায়ক। তাই ডায়রিয়া রোগীরা কালোজিরা খেতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতেঃ শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ব্যাপক সহায়ক কালোজিরা। তাই শরীরের রক্তচাপ ঠিক রাখতে প্রতিদিন কালোজিরা খেতে পারি।

হজম শক্তি বৃদ্ধিতেঃ যাদের পেটের হজমে সমস্যা তারা প্রতিদিন কালোজিরা খেতে পারে এতে করে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

চোখের ব্যাথা সরাতেঃ চোখের পাতা সারাতে কালোজিরা তেল চোখের দুপাশে লাগিয়ে রাখতে পারি। এতে চোখের ব্যথা কিছুটা উপশম হবে।

চুল পড়া রোধ করেঃ কালোজিরা প্রতিদিন খেলে চুল মজবুত হয় ।এতে চুল পড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়া চুলের জন্য খুবই ভালো।

আমাশয় রোগ নিরাময়েঃআমাশয় রোগ নিরাময়ে কালোজিরা খুবই কার্যকরী। তাই আমাশয় রোগীরা কালোজিরা তেল খেতে পারে এতে আমাশয় রোগ নিরাময় হয়।

চর্মরোগে নিরাময়েঃ চর্মরোগ নিরাময়ে কালোজিরা তেল ব্যবহার করতে পারি এতে করে চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

অশ্ব রোগ নিরাময়েঃ অর্শ রোগ দূর করার জন্য কালোজিরা তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে অর্শ রোগ কিছুটা নিরাময় করা সম্ভব।

রসুন ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

রানার কাজে প্রতিনিয়ত ব্যবহারিত একটি শব্দ রসুন। বাসায় সব সময় যে কোন রান্নায় রসুন দিয়ে রান্না করা হয় তা না হলে যেন রান্নার স্বাদে আসে না। এই রসুন যে শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা উপরে জেনেছন। চলুন না জেনে নেই রসুন ও কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম। এক কোয়া রসুন আপনার শরীরের রক্তচাপ থেকে শুরু করে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

তবে এই রসুন আপনাকে সঠিক নিয়মে খেতে হবে। আপনি সকালে খালি পেটে প্রত্যেকদিন এক কোয়া রসুন খান তাহলে বুঝতে পারবেন রসুনের উপকারিতা গুলো। অন্যদিকে রসুন মধুর সঙ্গে খেতে পারেন এতে আপনারা বেশি উপকৃত হবেন। কালোজিরা এই শব্দটার সাথে আমরা সবাই মোটামুটি পরিচিত। চলুন না জেনে নেই কালোজিরা কিভাবে খেলে এর উপকারিতা পাওয়া যায়।

কালোজিরা আপনি মধুর সঙ্গে মিশে খেলে বেশি উপকারিতা পাবেন। তবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গের ব্যথা যদি অনুভূত হয় সেই ব্যথা উপশমের জন্য আপনি কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন। কেননা কালোজিরার তেল ব্যাথা সারাতে বেশ ভূমিকা পালন করে। তবে রসুন কালোজিরা একসাথে খেতে হলে আপনাকে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। 

আপনি যে রসুন ও কালোজিরা খাবেন সেটা আগে বেটে নিন তারপর মধুর সঙ্গে মিশিয়ে প্রত্যেকদিন নিয়ম মেনে খান দেখবেন আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবশ্যই রসুন ও কালোজিরা মধুর সঙ্গে খেতে হলে সেটা খালি পেটে খেতে হবে তাহলে রসুনও কালোজিরা ভালো উপকারিতা পাবেন।

আর এভাবে যদি আপনি নিয়ম মেনে রসুন ও কালোজিরা খেতে পারেন তাহলে রসুন এবং কালোজিরা শরীরের জন্য বা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় কতটা কার্যকারী তা আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।আরো জানবো খালি পেটে রসুন খেলে কি ক্ষতি হয়।

খালি পেটে রসুন খেলে কি ক্ষতি হয়

রসুনের উপকারের গুণ অনেক কিন্তু এর কিছু ক্ষতির দিক আছে। সবকিছুই একটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। চলুন জেনে নেই খালি পেটে রসুন খেলে কি ক্ষতি হয়? এর প্রশ্নের উত্তরে বলা যেতে পারে খালি পেটে রসুন খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায় কিন্তু অনেক সময় খালি পেটে রসুন খাওয়ার ফলে শরীরের কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যদি আপনি পরিমাণের তুলনায় বেশি রসুন খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার অনেক সময় ডায়রিয়া হতে পারে। অন্যদিকে যকৃতের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে। অনেক সময় বমি করতে বা বমি বমি ভাব হয় । তবে গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের রসুন না খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত রসুন খেলে দেখবেন মুখের মধ্যে রসুনের গন্ধটা লেগে থাকে যার ফলে মুখের মধ্যে একটা দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।

অতিরিক্ত রসুন খেলে অনেক সময় মাথা ঘোড়ায়। বেশি রসুন খেলে রসুন রক্তের ঘনত্ব অনেকটা কমিয়ে দেয় যার ফলে শরীরের ভিতরে রক্তপাত হতে পারে। অনেক সময় বেশি রসুন খাওয়ার পর শরীরের ঘাম বেড়ে যায়। তাই আমার পরামর্শটা যে, খালি পেটে অতিরিক্ত রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। রসুন খান যেহেতু রসুন শরীরের জন্য উপকারী তাই নিয়ম মেনে যতটুকু রসুন খাওয়া আপনার শরীরের জন্য উপকার ঠিক ততটুকুই রসুন আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন। এতে করে আপনার কোন সমস্যা দেখা দিবে না।

সকালে খালি পেটে রসুন ও কালোজিরা খেলে কি হয়

আপনি যদি প্রতিদিন সকালে নিয়ম মেনে রসুন ও কালোজিরা খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সকালে খালি পেটে রসুন ও কালোজিরা খেলেড় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অন্যদিকে আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুন ও কালোজিরা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে দেখবেন ডায়াবেটিসের মাত্রা ঠিক থাকবে।কেননা রসুন ও কালোজিরা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে আনে।

অন্যদিকে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়াও রসুন ও কালোজিরা আপনার ত্বক মসৃণ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। খালি পেটে রসুনও কালোজিরা খেলে পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। শরীরের রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য রসুন ও কালোজিরা খাওয়া ভালো। তবে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম মেনে সকালে খালি পেটে রসুন ও কালোজিরা খেতে হবে তাহলে আপনি বেশ উপকৃত হবেন।

রসুন ও কালোজিরার ভর্তা রেসিপি

অনেকে কাঁচা রসুন খেতে পছন্দ করেন না। তবে চিন্তা নেই কাঁচা রসুনের মতো  ভর্তা করা রসুন শরীরের জন্য উপকারী। অন্যদিকে কালোজিরা শরীরের রক্ত সঞ্চালন থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।চলুন জেনে নেই, রসুন ও কালোজিরার ভর্তা রেসিপি সম্পর্কে। রসুন ও কালোজিরার ভর্তা করতে হলে প্রথমর পরিমাণ মতো রসুনের কোয়া ভালো করে ভেজে নিতে হবে।

অন্যদিকে সমপরিমাণ কালোজিরা ভেজে নিতে হবে মনে রাখতে হবে যেন কালোজিরা পুড়ে না যায়। তারপর ভেজে নেওয়া রসুন ও কালোজিরা একসাথে নিয়ে বেটে নিতে হবে।পরবর্তীতে সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। তাহলে তৈরী হয়ে যাবে রসুন ও কালোজিরার ভর্তা। কেউ যদি  কাঁচা রসুন খেতে পছন্দ না করে তাহলে এভাবে রসুন ও কালোজিরা ভর্তা করে খেতে পারে ভাতের সাথে। এভাবে রসুন ও কালোজিরা খেলে হাই প্রেসার ও মস্তিষ্কে কার্যক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

রসুন ও কালোজিরার অপকারিতা

রসুন কালোজিরা শরীরের জন্য খুবই উপকারি খাদ্যদ্রব্য। রসুন ও কালোজিরা যেহেতু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কিন্তু তার পাশাপাশি রসুন ও কালোজিরার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। রসুন ও কালোজিরার ক্ষতির দিকগুলো অনেক সময় দীর্ঘদিন ধরে রসুন ও কালোজিরা খাবার পর আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে। অনেক সময় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি রসুন খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে, শরীরে ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।

যকৃতের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে তার সাথে দীর্ঘদিন ধরে রসুন খাওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম দেখা দিতে পারে। ঠিক একই ভাবে যদি আপনি দীর্ঘদিন ধরে কালোজিরা খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার বমি করতে বা বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।অনেক সময় ত্বকে চুলকানি বা ত্বকে লালভাব দেখা দিতে পারে। বেশি বা অনেকদিন ধরে কালোজিরা খেলে শরীরের বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের রসুন ও কালোজিরা থেকে বিরত থাকতে হবে।

রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে লেখকের শেষকথা

রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা অনেক। এই আর্টিকেলে মাধ্যমে আরো জানলাম খালি পেটে রসুন খেলে কি ক্ষতি হয় সেই সম্পর্কে।  রসুন ও কালোজিরা একসাথে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি পায়। তবে আমার পরামর্শ এটা যে, অবশ্যই আপনি রসুন ও কালোজিরা নিয়ম মেনে প্রতিদিন খাবেন। গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েরা রসুন ও কালোজিরা থেকে বিরত থাকুন। 

অন্যদিকে যাদের রসুন ও কালোজিরা এলার্জি আছে তারা রসুন ও কালোজিরা খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। এরকম আরো আর্টিকেল সবার আগে পেতে ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url