ইতালি ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম ফর বাংলাদেশী ২০২৪

ইতালি ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম ফর বাংলাদেশী কিভাবে ইতালির ভিসার আবেদন করবেন আপনি জানেন না তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য এবং আরো জানবেন ইতালি ভিসা আবেদন লিংক সম্পর্কে।
ইতালি-ভিসা-এপ্লিকেশন-ফর্ম-ফর-বাংলাদেশী১
কেউ পড়ালেখা , চিকিৎসার জন্য,ব্যবসা এবং কাজের জন্য ইতালি যেতে চান কিন্তু ইতালি ভিসার আবেদন ফর্ম কিভাবে করতে হয় জানেন না জানতে হলে তাহলে আমাদের আর্টকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ইতালি ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম ফর বাংলাদেশী

ইতালি ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম ফর বাংলাদেশী

সবাই ইতালি যেতে চায় ।কেননা ইতালিতে জন্মহার খুবই কম তাই তাদের যে কোন কাজের ক্ষেত্রে প্রবাসীর লোকের প্রয়োজন হয়। তাই তারা প্রত্যেক বছর বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন লোক বিভিন্ন কাজের জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকে।  আমরা অনেকেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে অথবা পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করার জন্য ইতালি যেতে চাই।

ইতালি ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম ফর বাংলাদেশী হয়ে  কিভাবে ইতালি ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হয় এটা অনেকে জানে না। আর না জানার কারণে যখন ইতালি সরকার যখন তাদের দেশে লোক নিয়োগের জন্য আবেদন ছাড়ে তখন আবেদন করতে পারে না। ইতালি যাওয়ার জন্য প্রথমে ইতালি ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।। এই ফর্ম সংগ্রহ করার পর ফর্মটি পূরণ করে জমা দিতে হবে।

ইতালির ভিসা সংগ্রহ করার জন্য প্রথমে ইতালির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ইতালির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের ঠিকানা হলোঃ visa.vfsglobal.com/bgd/en/ita/apply-visa এই ওয়েবসাইটে গেলে আমরা খুব সহজেই ইতালির ভিসার জন্য যে আবেদন ফরমটি পাওয়া যায় সেই ফর্মটি সংগ্রহ করতে পারব এবং ফরমটি সংগ্রহ করার পর সেই ফর্মে আপনার যাবতীয় তথ্য দিতে হবে তারপর সেই ফর্মটি কোন মাধ্যম ধরে ফর্মের ফি জমা দিতে হবে। আর এভাবেই খুব সহজেই ইতালি ভিসার জন্য আবেদন ফরমটি আমরা সংগ্রহ করতে পারি।

ইতালির ভিসা আবেদনের নিয়ম

ইতালি ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম ফর বাংলাদেশী হয়ে আপনি ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি না জানেন কিভাবে ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় তাহলে আপনার নিকটবর্তী কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করতে পারেন। আর আপনার বাসায় যদি একটি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ থাকে তাহলে নিচে দেওয়া নিয়ম গুলো মেনে আপনি বাসায় বসে থেকে খুব সহজেই ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। চলুন তাহলে আজকে জেনে নেই ইতালির ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় ইতালির ভিসার আবেদনের নিয়মঃ
ইতালি-ভিসা-এপ্লিকেশন-ফর্ম-ফর-বাংলাদেশী২
  • আপনার যদি ল্যাপটপ থেকে থাকে বা ডেস্কটপ থেকে থাকে তাহলে আপনাকে প্রথমে chrome বা আপনি যে ব্রাউজার ইউজ করেন সে ব্রাউজারে যেতে হবে তারপর visa.vfsglobal.com/bgd/en/ita/apply-visa এই ওয়েবসাইট  যেতে হবে।
  • পরবর্তীতে আপনি যে ভিসার জন্য এপ্লাই করতে চাচ্ছেন প্রথমে সেই ভিসাটি সিলেক্ট করে নিতে হবে। ধরুন আপনি যদি পড়ালেখার জন্য যেতে চান তাহলে এডুকেশনাল ভিসা। অর্থাৎ আপনি যে ভিসার জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন অবশ্যই আপনাকে সেই ভিসা সিলেক্ট করতে হবে।
  • এরপর দেখবেন আবেদন/ apply নামে একটা অপশন আছে সেই অপশনে আপনাকে ক্লিক করতে হবে এবং ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার কাছে একটি ফর্ম চলে আসবে সেই ফর্মে আপনার যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। অবশ্যই আপনার সঠিক তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে।
  • ফর্মটি পূরণ করা হয়ে গেলে আর একবার ফর্মটি যাচাই-বাছাই করে নেবেন যাতে কোন তথ্য ভুল না হয় যদি যাচাই-বাছাই শেষ হয় তাহলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফর্মটি জমা দিতে হবে।
  • ফর্মটি জমা দেওয়ার পর অবশ্যই সেই ওয়েবসাইট থেকে সেই ফর্মটি ডাউনলোড করে নিতে হবে এবং সেটা পরবর্তীতে আপনাকে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
  • প্রিন্ট করে নেওয়ার পর আপনি যে এজেন্সি/মাধ্যম ধরে সেই ফর্মটি জন্য যে মূল্য নির্ধারণ করা থাকে সেই পরিমাণ অর্থ জমা দিতে হবে। তবে ফর্মের ফি জমা দেওয়ার রশিদ অবশ্যই আপনার কাছে রেখে দিতে হবে।

ইতালি ভিসা আবেদন জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

ইতালি ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম ফর বাংলাদেশী হয়ে যদি আপনি ইতালি যেতে চান তাহলে যেসকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা জানতে পারবেন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। সবাই চায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অথবা পরিবারকে আর্থিক সংকটের ঝামেলা থেকে মুক্ত রাখার জন্য বাইরের দেশে যেতে চায়। অনেকে ঘুরতে ভালোবাসে এবং অনেকে পড়ালেখা করার জন্য বাইরে দেশে যেতে চায়।

তবে বাইরের দেশে যাওয়ার জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে কোন ধারণা থাকে না।আর ইতালি সবারই পছন্দের শীর্ষের একটি দেশ।কেননা প্রত্যেক বছর ইতালি সরকার তাদের দেশে বিভিন্ন দেশ থেকে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে আর বাংলাদেশেও এর মধ্যে। যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার যে সকল কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট থাকা প্রয়োজন সেগুলো জানতে পারবেন আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। চলুন তাহলে আজকে জেনে নেই ইতালির ভিসা আবেদনের জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দরকারঃ

পাসপোর্টঃ ইতালির ভিসার আবেদনের জন্য অবশ্যই আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং কমপক্ষে পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে ৬ মাস। তাহলে আপনি খুব সহজে ইতালির ভিসার জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।

আবেদন ফর্ম এর ফটোকপিঃ আপনি ইতালি ভিসার জন্য ইতালির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে যে ফর্মটি সংগ্রহ করবেন অবশ্যই সেই ফর্মটি জমা দেওয়ার আগে সেই ফর্মের ফটোকপি করে রাখবেন কেননা ইতালি ভিসার জন্য এই ফর্মটির পরবর্তীতে প্রয়োজন পড়ে।

এন আই ডি কার্ডঃ ইতালি ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার অরজিনাল এনআইডি কার্ড প্রয়োজন হবে। তাই ইতালি ভিসার জন্য আবেদন করার সময় অবশ্যই এনআইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে।

জন্ম নিবন্ধনঃ অনেক সময় ইতালি ভিসার আবেদন করার জন্য এনআইডি কার্ডের সাথে আপনার জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন পড়তে পারে। তাই যদি জন্ম নিবন্ধন না থাকে অবশ্যই আপনার ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা থেকে আপনার জন্ম নিবন্ধনটি সংগ্রহ করে রাখবেন।

ছবিঃ ইতালির ভিসার আবেদন করার জন্য আপনার সদ্য তোলা ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সঙ্গে রাখবেন। তাহলে আপনি ইতালি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

পুলিশ ভেরিফিকেশন সনদঃ অবশ্যই ইতালির ভিসার আবেদন করার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়। তাই আপনি পুলিশ ভেরিফিকেশনের সার্টিফিকেটটি সংগ্রহ করে রাখবেন।

করোনা টিকা সনদঃ যেহেতু আপনি বাইরের দেশে যাবেন সেহেতু আপনাকে অবশ্যই নিজ দেশের করোনা টিকার সনদপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।

ফর্মের ফি জমা দেওয়ার রশিদঃ আপনি যখন ইতালি ভিসার জন্য ফরম সংগ্রহ করে কোন এজেন্টের মাধ্যমে সেই ফর্মের ফি জমা দিবেন অবশ্যই ফর্মের ফি জমা দেওয়ার সময় যে রশিদটি পাবেন সে রশিদটি আপনার কাছে রেখে দিতে হবে। কেননা ইতালির ভিসা আবেদন করার সময় আপনার সেই ফর্মটি লাগবেড়

ইতালির স্পন্সর ভিসা আবেদন করবেন যেভাবে

আপনি স্পন্সর ভিসায় খুব সহজে ইতালি যেতে পারেন।যেহেতু অনেকের কাছে ইতালি স্বপ্নের দেশ ।তাই ইতালি সরকার যখন স্পন্সর ভিসা ছাড়ে তখন আপনি স্পন্সর ভিসায় ইতালি যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।তবে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে ইতালির স্পন্সর ভিসা আবার কি? স্পন্সর ভিসা হলো সেই দেশের কোন প্রতিষ্ঠানে যখন কর্মী প্রয়োজন পড়ে।

তখন সেই দেশের সেই প্রতিষ্ঠান কর্মী নিয়োগের জন্য সেই দেশের সরকারের কাছে আবেদন জানায় এবং সেই দেশের সরকার অনুমতি দিলে পরবর্তীতে সেই কোম্পানিতে লোক নিয়োগ দেওয়ার জন্য একটা আবেদন ছাড়া এবং সেখানে বাংলাদেশ সহ আরো বিভিন্ন দেশে লোক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। তবে ইতালিতে স্পন্সর ভিসার আবেদন করার জন্য আপনার ছয় মাসের একটি পাসপোর্ট লাগবে।

সাথে পাসপোর্ট সাইজের চার কপি ছবি এবং এনআইডি কার্ড তো থাকতেই হবে। আপনি যে বিষয়ে অর্থাৎ স্পন্সর বিষয় আবেদন করার ফরমটি আপনার সঙ্গে রাখতে হবে। বলে রাখা ভালো, ইতালি স্পন্সর ভিসার মেয়াদ সাধারণত এক বছর তবে সেটা পরবর্তীতে renew করা যায়। ইতালির স্পন্সর ভিসার আবেদন করার জন্য আপনাকে visa.vfsglobal.com/bgd/en/ita/apply-visa এই ওয়েব সাইটে গিয়ে স্পন্সর ভিসা সিলেক্ট করে যাবতীয় তথ্য দিয়ে আবেদন ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করে দিতে হবে।

আর এভাবেই খুব সহজে ইতালির স্পন্সর ভিসায় ইতালি যাওয়া সম্ভব। ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৪  আবেদনের সময় সীমানা হলো ২১মার্চ থেকে ২৫ শে মার্চ। এই সময় ইতালি সরকার স্পন্সর ভিসার আবেদন গ্রহণ করে থাকে। ইতালিতে স্পন্সর ভিসার খরচ ৯থেকে১০ লক্ষ টাকা হয়ে থেকে। কিন্ত আপনি যেহেতু কোন এজের্ন্সির মাধ্যমে ইতালি যাবেন তখন আপনার খরচ একটু বেশি হবে।

যেসকল কাজের চাহিদা বেশি ইতালিতে

বাংলাদেশের সবারই স্বপ্ন ইতালিতে গিয়ে পরিবারের আর্থিক ব্যবস্থার উন্নতি করা। কিন্তু অনেকেই জানেনা ইতালিতে কোন কাজের চাহিদা বেশি। । তারা কোন কাজের জন্য সচরাচর লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। ইতালিতে যেহেতু চাষাবাদ বেশি হয় সেক্ষেত্রে কৃষি কাজে এবং পর্যটন কেন্দ্র থাকার কারণে পর্যতট কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে বেশী। তবে ইতালিতে কৃষি কাজের চাহিদা একটু বেশি। আরো বিভিন্ন খাতে ইতালি সরকার সেই দেশে কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকেন। নিচে ইতালি সরকার যে কাজের জন্য বেশি লোক নিয়োগ দেওয়া দিয়ে থাকেন সেগুলো উল্লেখ করা হলোঃ

নির্মাণ শ্রমিকঃ ইতালিতে বাড়িঘর তৈরি করার জন্য বিপুল পরিমাণে ভবন শ্রমিক এবং সেই দেশের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের জন্য বিপুল পরিমাণে নির্মাণ শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

ড্রাইভারঃ ইতালিতে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির গাড়ি গাড়ি চালাতে পারবেন। সেজন্য ড্রাইভার হিসেবে ইতালিতে অনেক লোক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।

মেকানিকঃ ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের মেকানিক এর চাহিদা বেশি অনেক সময় বিভিন্ন কোম্পানি মেকানিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন।

ফ্যাক্টরি শ্রমিকঃ ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানি আপনি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

তবে ইতালি সরকার আরো বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আপনার যদি সে সকল কাজে অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে আপনি সেসকল ভিসায় এপ্লাই করে ইতালিতে যেতে পারবেন। জেনে রাখা ভালো, তবে অবশ্যই উপরোক্ত কাজগুলোকে আপনাকে দক্ষ হতে হবে তাহলে আপনি সেই ভিসায় ইতালিতে যেতে পারবেন।

ইতালি ভিসা আবেদন লিংক

ইতালি একটি উন্নত রাষ্ট্র। সেই জন্য প্রত্যেক বছর ইতালিতে প্রচুর পরিমাণ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। আরো বিভিন্ন ভাবে ইতালিতে ভিসার জন্য এপ্লাই করা যায় অর্থাৎ ইতালিতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিসা আছে। মেডিকেল ভিসা,স্টুডেন্ট ভিসা, স্পন্সর ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, ব্যবসা ভিসা এবং কৃষি ভিসা জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। তবে স্পন্সর ভিসা ও কৃষি ভিসা আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে দক্ষ কর্মী হতে হবে। তাহলে আপনি ইতালিতে স্পন্সর ভিসা ও কৃষি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশও ইতালি এম্বাসি রয়েছে। ইতালির ভিসার জন্য আবেদন লিংক হলঃ

visa.vfsglobal.com/bgd/en/ita/apply-visa

এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে ইতালি যাওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসমূহ অবশ্যই থাকতে হবে। একটি পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ড, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, সার্টিফিকেট, পুলিশ ভেরিফিকেশন সনদ পত্র, জন্ম নিবন্ধন এবং করোনা টিকা সনদপত্র। তাহলে আপনি ইতালির ভিসার জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। এতোক্ষন ইতালি ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম ফর বাংলাদেশী হয়ে কিভাবে ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করবেন সেটা জানলাম এবং তার সাথে আরো জানলাম ইতালি ভিসা আবেদন লিংক সম্পর্কে।

ইতালির ভাষা কিভাবে শিখবেন

ইতালিতে যাওয়ার পর আপনার সুবিধার্থে আপনি ইতালি ভাষা শিখতে পারেন। আপনি যদি ইতালি ভাষা শিখে থাকেন তাহলে আপনার কথা বলতে ভালো লাগবে এবং তাদের সাথে মেলামেশা করতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। আপনি ইতালি এম্বাসি থেকেও প্রবাসী হয়ে ইতালিয়ান ভাষা শিখতে পারবেন। অথবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি ইতালিয়ান ভাষা শিখতে পারেন।

তবে ইতালিয়ান ভাষা শিখে ইতালি গেলে অনেক ভালো হয়। এতে আপনি আপনার কর্মক্ষেত্রে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মনে করবেন। আপনি বাসায় বসে থেকে ইতালি ভাষা শিখতে পারবেন বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট থেকে। অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি ইতালি ভাষা শিখতে পারবেন। অনেক ধরনের প্রতিষ্ঠান ইতালি ভাষা শেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের কোর্স চালু করেছে।

আপনি সেই কোর্সে ভর্তি হয়েও ইতালিয়ান ভাষা শিখতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে আপনি যদি ইতালিতে ওয়ার্ক পারমিটে কাজ করে থাকেন অবশ্যই আপনাকে ইতালিয়ান ভাষা শিখে যেতে হবে এতে আপনার কাজ করতে সুবিধা হবে। আপনি ইচ্ছে করলেই অনলাইনে অথবা অফলাইনে ইতালিয়ান ভাষা খুব সহজেই শিখে ফেলতে পারবেন দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে।

ইতালির ভিসার জন্য খরচ

ইতালি যেতে চান তাহলে ইতালি ভিসার জন্য কত টাকা খরচ হয় অবশ্যই তো জানতে হবে। চলুন তাহলে আজকে জেনে নেই ইতালির ভিসার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে। কেউ মেডিকেল ভিসা, কেউ আবার স্টুডেন্ট ভিসা, কেউ আবার কাজের জন্য ইতালিতে যেতে চায়। তবে ইতালিতে বিভিন্ন বিষয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের খরচ হয়ে থাকে। অর্থাৎ ভিসার ক্যাটাগরির উপর খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া থাকে।

ইতালিতে ভিসা দুই ধরনের হয়ে থাকে একটা হল সিজনাল অন্যটি নন সিজনাল। আপনি যদি ইতালিতে সিজনাল ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনার খরচ ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। অন্যদিকে আপনি যদি নন সিজনাল ভিসায় ইতালি যেতে চান অর্থাৎ কোন কাজের জন্য আপনি যদি ইতালি যেতে চান তাহলে আপনার খরচ ৯ থেকে১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে আপনি যদি ইতালির ভিসা নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ একটু বেশি হবে।

ইতালি ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম ফর বাংলাদেশী সম্পর্কে লেখকের শেষকথা

ইতালি ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম ফর বাংলাদেশী হয়ে যদি ইতালি যেতে চান তবে অবশ্যই একটি পাসপোর্ট করে নিবেন। পরবর্তীতে আপনি ইতালিতে যে ভিসায় যেতে চান সে ভিসা লাগিয়ে খুব সহজে ইতালি যেতে পারবেন। উপরে দেওয়া ইতালি ভিসা আবেদন লিংক মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ইতালি যাওয়ার জন্য ভিসার এপ্লাই করতে পারবেন।

আমার পরামর্শ এটা যে ইতালি যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনি ইতালিয়ান ভাষা শিখে যাবেন। আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এরকম আর্টিকেল সবার আগে পেতে  ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url