রুপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার ও ১৬টি উপকারিতা

রুপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার যে কতোটা কার্যকারী আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এর সাথে আরো জানবো রান্নায় পুদিনা পাতা ব্যবহার রান্নার স্বাদ কতোটুকু বাড়িয়ে দেয়।
রুপচর্চায়-পুদিনা-পাতার-ব্যবহার১
রূপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসতেছে। কেননা ঘরোয়া উপায়ে রূপচর্চার জন্য পুদিনা পাতা অনেক কার্যকরী। আর এই পুদিনা পাতা শুধু রুপচর্চায় না শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

পোস্ট সূচিপত্রঃ রুপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার 

রুপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার ত্বকের জন্য

রুপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার অনেকটা কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। আমরা আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াস ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই ফেসওয়াস থেকে অনেক কার্যকারী ভূমিকা পালন করে পুদিনা পাতা। শুধু পুদিনা পাতা দিয়ে আমরা আমাদের ত্বককে কোমল ও সতেজ রাখতে পারি।এর জন্য কোন ফেসওয়াসের প্রয়োজন হবে না।কেননা সব ফেসওয়াসে পুদিনা পাতার রস দেওয়া থাকে।

ঘরোয়া নিয়মে শুধু পুদিনা পাতা ব্যবহার করেই নিজের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলতে পারি। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াস ব্যবহার করি কিন্তু পুদিনা পাতা ত্বকের একসাথে অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান করে থাকে।ত্বক অনেক সময় কালচে ভাব হয়ে যায় এই কালচে ভাব দূর করার জন্য পুদিনা পাতার ব্যবহার করতে পারি। অন্যদিকে আমাদের ত্বকে তৈলাক্ত ভাবতো লেগে আছে এই তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য আমরা পুদিনা পাতার ব্যবহার করতে পারি।

কেননা পুদিনা পাতায় ভিটামিন এ থাকে আর ভিটামিন এ থাকার কারণে ত্বকের যে তৈলাক্ত ভাব সেটা দূর করে ফেলে এবং ত্বক থাকে অনেক উজ্জ্বল।অন্যদিকে ত্বকে ব্রণের সমস্যা লেগেই থাকে এই ব্রণের সমস্যা দূর করার জন্য আমরা ঘরোয়া উপায়ে পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারি। পুদিনা পাতার নির্যাস দিয়ে খুব সহজেই ঘরে বসে থেকেই ব্রণ সারানো যায়।

ব্রণ সারানোর জন্য পুদিনা পাতা পিষে নিতে হবে তারপর সেটা মুখের উপর ততক্ষণ লাগিয়ে রাখতে হবে যতক্ষণ না সেটা শুকিয়ে যায় শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।এরকম কিছুদিন করলে মুখ থেকে ব্রণ আস্তে আস্তে চলে যাবে। অনেকেরই রাত জাগার কারণে চোখের নিচে কালো দাগ দেখা যায় এই কালো দাগ দূর করার জন্য পুদিনা পাতা অনেক উপকারী । পুদিনা পাতা পেস্ট করে রাতে চোখের নিচে লাগিয়ে রাখত হবে এবং পরের দিন সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে।

এই নিয়মটা কিছুদিন ফলো করলে দেখবেন চোখের নিচের কালো দাগ আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাচ্ছে। ত্বকে কোমল ও উজ্জ্বল রাখার জন্য আমরা পুদিনা পাতা রস বা পেস্ট করে মুখের মধ্যে ব্যবহার করতে পারি এতে করে দিন দিন ত্বক কোমল এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়তে থাকবে। আর এভাবেই আমরা ঘরোয়া উপায়ে খুব সহজেই আমাদের ত্বকে সতেজ রাখতে পারি। ত্বককে সতেজ রাখার জন্য ত্বকের রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন পুদিনা পাতা ব্যবহার করলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালনাতার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

রুপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার চুলের যত্নে

দিন যত যায় মাথার চুল ততই কমে যায়। অনেকেরই অল্প বয়সে মাথার চুল পড়ে যায় এটা মূলত চুলের গোড়া শক্ত না হওয়ার কারণে চুল সহজেই পড়ে যায়। নিজের চুলকে বৃদ্ধি করার জন্য কত কিনা ব্যবহার করি। কখনো কি ভেবে দেখেছি হাতের কাছে থাকা পুদিনা পাতা ব্যবহার করে চুল পড়া কমাতে পারি। চুল পড়ে সাধারণত বিভিন্ন কারণে সেটা অনেক সময় অযত্নে কারণে।

চুল অল্প বয়সেই ঝরে পড়ে যায় তাই চুল যাতে ঝরে পড়ে না যায় সেজন্য অবশ্যই চুলের যত্ন নিতে হবে। আর এই চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করি। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের চুলের সমস্যা দূর করার জন্য যে তেল প্রয়োজন সেই তেলটা ব্যবহার না করে অন্য তেল ব্যবহার করে থাকি যার কারণে আরো তাড়াতাড়ি চুল পড়ে যায়।

কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবেছি রান্না ঘরের পুদিনা পাতা আমাদের চুলকে মজবুত করতে পারে। হ্যাঁ রান্নার কাজে ব্যবহৃত পুদিনা পাতায় চুলকে শক্ত করতে সাহায্য করে। যদি পুদিনা পাতা রস মাথায় দিতে পারি তাহলে মাথার ত্বক থাকবে সতেজ এবং মাথার রক্ত সঞ্চালনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে যার ফলে চুল পড়া দূর হবে।

এর পাশাপাশি আমরা পুদিনা পাতার সাথে দই মিশিয়ে মাথায় দিতে পারি এতে বেশ উপকার।অন্যদিকে যদি টক দই,মধু ও অ্যালোভেরা একসাথে পেস্ট করে চুলের মধ্যে দিতে পারি তাহলে চুল পড়া দূর হবেই তো তার সাথে নতুন চুল গজাতে শুরু করবে। অন্যদিকে চুলের উকুনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলতেছে এবং মাথা চুলকাতে তখন খুবই ভালো লাগে।

কিন্তু যদি সহজলভ্য পুদিনা পাতা পেস্ট করে চুলের মধ্যে দিতে পারি তাহলে যে ফল পাব তা হলো দিন দিন চুলে উকুনের সংখ্যা কমে যাবে। কেননা পুদিনা পাতা উকুন নাশক হিসেবে কাজ করে ।তাই উকুন সারাতেও আমরা পুদিনা পাতা রস ব্যবহার করতে পারি। তাই ঘরোয়া উপায়ে চুলকে মজবুত এবং নতুন চুল বৃদ্ধি করার জন্য পুদিনা পাতার ব্যবহার করতে পারি।

পুদিনা পাতার ১৬টি উপকারিতা ও ঔষধিগুন

রুপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানলাম। শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য পুদিনা পাতার কতটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে চলুন একটি জেনে নেই। শরীরের জন্য পুদিনা পাতা অনেক উপকারী কেননা পুদিনা পাতা শরীরের ক্ষতস্থান নিরাময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধুমাত্র ত্বকের যত্নে না ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পুদিনা পাতার কোন বিকল্প নেই। চলুন জেনে নেই পুদিনা পাতার ১৬টি উপকারিতা ও ঔষধি গুণ সম্পর্কে।
রুপচর্চায়-পুদিনা-পাতার-ব্যবহার2
হাঁপানি কমাতেঃ যদি নিয়ম মেনে পুদিনা পাতা খাওয়া যায় তাহলে হাঁপানি রোগ অনেকটা নিরাময় করা সম্ভব। তবে অবশ্যই প্রয়োজন মত পুদিনা পাতা খাওয়া উচিত। এতে শ্বাস নেওয়ার কষ্ট থেকে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেঃ শরীরের হজমে যাদের সমস্যা তারা পুদিনা পাতা খেতে পারে এতে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং পাকস্থলি ঠান্ডা থাকে।

হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়ঃ যেহেতু পুদিনা পাতায় বিভিন্ন ধরনের উপাদান থাকে তাই রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে পুদিনা পাতা ব্যাপক সহায়ক হিসাবে কাজ করে।

ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ পুদিনা পাতা ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখার পাশাপাশি ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। কেননা পুদিনা পাতায় ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি বিদ্যমান থাকে।আর এসব  ভিটামিন গুলো ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

ক্ষত স্থান নিরাময়েঃ ক্ষতস্থানে যদি পুদিনা পাতার রস দেওয়া যায় তাহলে অনেকটা আরাম পাওয়া যায় এবং আস্তে আস্তে ক্ষতস্থান নিরাময়ে পুদিনা পাতা বেশ ভূমিকা পালন করে।

ব্যথা উপশমেঃ শরীরের ব্যাথা উপশমে পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারি। ব্যথার জায়গায় যদি পুদিনা পাতার রস লাগানো যায় তাহলে কিছুটা ব্যথা কম অনুভূত হয়।

কাশি সারাতেঃ কাশি সারাতে পুদিনা পাতা ব্যাপক সহায়ক। তাই কাশি নিরাময়ের জন্য পুদিনা পাতার খেতে পারি।

মাথার ব্যথা কমাতেঃ মাথার ব্যাথা কমানোর জন্য পুদিনা পাতার রস মাথার মধ্যে দিতে পারি এতে মাথার ত্বক থাকবে শীতল এবং মাথাব্যথা কমে যাবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধঃপুদিনা পাতা শরীরের ক্যান্সার কোষকলা কে বৃদ্ধি হতে দেয় না।তাই ক্যান্সার প্রতিরোধে আমরা পুদিনা পাতা খেতে পারি।

ঘামাচি ও এলার্জি প্রতিরোধেঃ শরীরের ব্যাকটেরিয়া দূর করার জন্য আমরা শুকনো পুদিনা পাতা গরম জলে দিয়ে জল ঠান্ডা হওয়ার পর স্নান করতে পারি এতে করে শরীরে ঘামাচি ও এলার্জি হবে না ।

ব্রণ সারাতেঃ ত্বকের ব্রণ সারাতে পুদিনা পাতার বিকল্প নেই। পুদিনা পাতার রস দিয়ে খুব সহজে ত্বক থেকে ব্রণ নিরাময় করা যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পুদিনা পাতা অনেকটা সাহায্য করে।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেঃ মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করার জন্য পুদিনা পাতা খাওয়া উচিত এতে করে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ পুদিনা পাতা খেলে খাওয়ার রুচি কমে যায়। আর খাওয়া রুচি কমে গেলে স্বাভাবিকভাবে শরীরের ওজন কমে যাবে। তাই ওজন কমাতে পুদিনা পাতা খেতে পারি।

বমি কমাতেঃ অনেক সময় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে খুব বমি করতে ইচ্ছে করে এই বমি কমানোর জন্য আমরা পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারি।

শরীরের ক্লান্তি ভাব দূরীকরনেঃ শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করার জন্য পুদিনা পাতার রস খেতে পারি পারি এতে করে শরীরের ক্লান্ত ভাবটা দূর হয়ে যাবে এবং শরীরের শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।

পুদিনা পাতা খাওয়ার নিয়ম

রুপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার ও এর গুরুত্বপূর্ণ ১৬ টি উপকারিতার সাথে আমরা পরিচিত হলাম। কিন্তু এই উপকারিতা গুলো কার্যকারিতা পাওয়ার জন্য পুদিনা পাতা সঠিক নিয়মে ব্যবহার ও খেতে হবে তাহলেই আমরা রূপচর্চায় সৌন্দর্য ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারব। যদি সঠিক নিয়মে পুদিনা পাতা ব্যবহার ও খেতে পারি।

তাহলে উপরে যে সকল উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো সব কিছু সঠিক ভাবে পাওয়া যাবে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার জন্য এবং উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য পুদিনা পাতা বিভিন্ন নিয়মে ব্যবহার ও খেতে হবে। রূপচর্চার জন্য পুদিনা পাতা পেস্ট করে মুখের মধ্যে বা ত্বকের যে জায়গায় সমস্যা, সেই জায়গাটুকুই শুধু লাগাতে হবে এতে করে ভালো একটা ফলাফল পাওয়া যাবে।

ত্বকে লাগাতে গেলে অবশ্যই পুদিনা পাতা পেস্ট করে লাগাতে হবে। অন্যদিকে চুলের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য অথবা নতুন চুল গজানোর জন্য মাথায় পুদিনা পাতা মধু ও টক দই সাথে ভালো করে মিশিয়ে লাগাতে হবে। শরীরের যত্নে পুদিনা পাতা অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। মনকে সুন্দর রাখতে অনেক সময় পুদিনা পাতার ঘ্রাণ নিতে হবে। 

অন্যদিকে পুদিনা পাতার তেল খুব সহজেই আমরা বানিয়ে নিতে পারি। এতে করে পুদিনা পাতার তেল মাথায় ব্যবহার করলে মাথা ব্যাথা কমে যায় এবং মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। পুদিনা পাতার পেস্ট করে আমরা জুস তৈরি করতে পারি অথবা চায়ের সাথে পুদিনা পাতা খেতে পারি।তাছাড়াও খালি পেটে পুদিনা পাতার রস খেতে পারি তার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্ষতস্থান সারাতে অবশ্যই পুদিনা পাতা থেতলে নিয়ে ক্ষত স্থানে লাগাতে হবে। তাই অবশ্যই পুদিনা পাতার উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য পুদিনা পাতা সঠিক নিয়মে ব্যবহার ও খেতে হবে।

পুদিনা পাতার ক্ষতিকারক দিক

রূপচর্চায় পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয় এবং শরীরের উপকারের জন্য পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু পুদিনা পাতা অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কিছু ক্ষতিকারক দিক আছে। তাই পুদিনা পাতা যতোটুকু ব্যবহার করলে শরীরের জন্য তা উপকার ঠিক ততটুকুই ব্যবহার করতে হবে ।তাহলে পুদিনা পাতার উপকারিতা গুলো পাওয়া যাবে কিন্তু বেশি ব্যবহার বা খেলে এর কিছু ক্ষতির দিক আছে।

আমরা যদি কোন রোগ নিরাময়ের জন্য যদি কোন ঔষধ খেয়ে থাকি এবং সেই রোগ নিরাময়ের জন্য যদি পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয় তাহলে সেই ঔষুধের সাথে পুদিনা পাতার মিথস্ক্রিয়া ঘটতে পারে । অন্যদিকে পুদিনা পাতা অনেক সময় রক্তে সুগারের মাত্রা অনেকটা কমিয়ে আনে, পুদিনা পাতার কারণে বাচ্চাদের অনেক সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়।তাছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পুদিনা পাতা খেলে অনেক সময় পেটে মধ্যে ওলট পালট সমস্যা দেখা দেয় এবং বমি করতে ইচ্ছে করে।

পুদিনা পাতার অপকারিতা

পুদিনা পাতার যেমন উপকারিতা আছে তেমনি এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। চলুন জেনে নেই পুদিনা পাতার অপকারিতা গুলোঃ
  • পুদিনা পাতা বেশি খেলে পেট ব্যথা হতে পারে।
  • পুদিনা পাতার চা যদি প্রতিদিন খাওয়া যায় তাহলে স্বাস্থের অবনতি হতে পারে।
  • গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের কোন রোগ নিরাময়ের জন্য পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যাবে না অবশ্যই পুদিনা পাতা ব্যবহারের আগে  অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধের জন্য পুদিনা পাতা ব্যবহার না করাই শ্রেয়।অনেক সময় পুদিনা পাতা ব্যবহারে বাচ্চাদের ক্ষতি হতে পারে।

কাঁচায় পুদিনা পাতা খেলে কি ক্ষতি হয়

অনেকের মনেরই প্রশ্ন থাকে যে কাঁচায় পুদিনা পাতা খেলে কি কোন ক্ষতি হয়। আসলে পুদিনা পাতা তো কাঁচায় খাওয়া হয় অনেক সময় বাড়িতে পুদিনা পাতার জুস তৈরি করি। সেই জুসটা তো তৈরি করা হয় পুদিনা পাতা কাঁচা অবস্থায়। অন্যদিকে বোরহানি তৈরিতে কাঁচা পুদিনা ব্যবহার করা হয় তাছাড়াও সালাতেও কাঁচা পুদিনা ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ শরীরের বিভিন্ন উপকারের জন্য অনেক সময় পুদিনা পাতা কাঁচায় খাওয়া হয়।

কেননা পুদিনা পাতা কাঁচায় খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তবে পুদিনা পাতা বেশি পরিমাণে কাঁচায় খেলে অনেক সময় সমস্যার দেখা দিতে পারে কেননা প্রত্যেক মানুষেরই শারীরিক গঠন ভিন্নরকম এবং সবারই শারীরিক অবস্থা এক না তাই অনেক সময় পুদিনা পাতা কাঁচায় খেলে কিছু মানুষের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে কাঁচায় খেলে পুদিনা পাতার বেশি একটা সমস্যা দেখা দেয় না।

রান্নায় পুদিনা পাতা ব্যবহার 

রান্নার স্বাদ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিতে পুদিনা পাতা ব্যাপক সহকারী। পুদিনা পাতা রান্নায় দিলে রান্নার মধ্যে একটা নতুন স্বাদ আসে। কেননা পুদিনা পাতার যে ঘ্রান তা রানাকে নতুন রূপ দিতে সাহায্য করে। তাই রান্না করার সময় পুদিনা পাতার ব্যবহার করতে পারি। জনপ্রিয় খাবার বোরহানিতেও পুদিনা পাতা দেওয়া থাকে। অন্যদিকে সালাতেও পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারি এতে সালাতের সাধ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।


পুদিনা পাতার শরবত দেহের জন্য উপকারী। পুদিনা পাতার চা দেহের রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। অনেকেই পুদিনা পাতার রস তৈরি করে বা জুস তৈরি করে খায়। পুদিনা পাতার ভর্তা খুব সুস্বাদু। তাই যারা কাঁচা খেতে পছন্দ করে না তারা পুদিনা পাতা রান্না করে খেতে পারে রান্না করা পুদিনা পাতাও শরীরের জন্য অনেক উপকারী।পুদিনা পাতা রান্নার মূল সুগন্ধি। তাই রান্নায় পুদিনা পাতা ব্যবহার করা অনেক ভালো।

রুপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার সম্পর্কে লেখকের শেষকথা 

রুপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার ও রান্নায় পুদিনা পাতা ব্যবহার রান্নার যে কতটুকু সাত বাড়িয়ে দেয় সে সম্পর্কে জানলাম। তবে অবশ্যই পুদিনা পাতা অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরক্ত থাকতে হবে। তবে আমাদের পরামর্শ এই যে গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মা ও শিশুদের অভিজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে পুদিনা পাতা ব্যবহার বা খেতে হবে। যার ফলে গর্ভবতী মায়ের ও বাচ্চার ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না।

এই আর্টিকেল সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে  যোগাযোগ পেজে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।আর যদি এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সঙ্গে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এরকম আরো আর্টিকেল সবার আগে পেতে এই ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url