টপার রা কিভাবে পড়াশোনা করে। পড়শুনা করার সঠিক নিয়ম

 টপার রা কিভাবে পড়াশোনা করে ? পড়াশুনা করার সঠিক নিয়ম। টপার রা কিভাবে পড়া শুনা করে এবং পড়া শুনার করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।

টপার-রা-কিভাবে-পড়াশোনা-করে2
আমরা সবাই চেষ্টা করি আমরা ভালো একজন ছাত্র হওয়ার এবং ক্লাস টপার হওয়ার। তাই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেই কিভাবে টপার রা পড়াশোনা করে এবং পড়াশোনা করার সঠিক নিয়ম।

পোস্ট সূচিপত্রঃ টপার রা কিভাবে পড়াশোনা করে

টপার রা কিভাবে পড়াশোনা করে

 টপার রা কিভাবে পড়াশোনা করে জেনে নেই। আমাদের সবার মনে একটা হ্রিংসাত্নাক মনোভাব থাকে যে ক্লাসে সবার উপরে থাকে ।আমরা ভাবি তার চেয়ে আমরা কিভাবে ভাল করতে পারবো। আমরা নিজের থেকে তার কথা বেশি ভাবি যার ফলে ভাবতে ভাবতে আমাদের অর্ধেক সময় চলে যায়। তাই এটা ভাবা যাবে না ।টপার রা কিভাবে পড়াশোনা করে নিচে আলোচনা করা হলোঃ

  • টপার রা সময়ানুবর্তী হওয়ার কারনে তারা সময়ের কাজ সময়ের মধ্যে করে ফেলে যার ফলে তাদের কাজ পড়ে থাকে না। তাই আমাদের যেই দিনের হোমওয়ার্ক সেই দিনে করে ফেলতে হবে তাহলে আমাদের কাজ জমা হবে না।
  • টপার রা অধ্যাবসায়ী হওয়ার কারনে তারা কোনো কিছুতে যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তারা ঘাবরে যায় না। তারা সেই কাজ বার বার করার করার চেষ্টা করে যতক্ষন না তারা সেই কাজে সাফল্য না পায়।
  • অন্যদিকে টপার রা একটা রুটিন তৈরি করেন । কেননা সবসময় বই পড়লেই টপার হওয়া যায় না ।তাই তারা রুটিন অনুসারী হয়ে থাকে।তারা রুটিন মেনে চলে এবং সময় কাজ সময় মতো করে ফেলে।
  • টপার দের ক্লাসে উপস্থিতি হার সব চাইতে বেশি থাকে।তারা ক্লাসে সব চাইতে মনোযোগী হয়ে থাকে এবং স্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে।সে কথা গুলো মনে রাখার জন্য সেগুলো খাতায় নোট করে রাখে।
  • টপার দের ভালো একটা দিক হলো তারা পাঠ্যসূচি ভাগ করে। কেননা তারা যেই বিষয়ে দূর্বল সেই বিষয়ে বেশি সময় দায় এবং সেটা বার বার পড়ার চেষ্টা করে।যাতে তারা সেই বিষয় দক্ষ হতে পারে।
  • টপার রা আলোচনা করতে ভালোবাসে। তারা যদি কোনো বিষয় সম্পর্কে জানে তাহলে তারা সেটা সবার সাথে আলোচনা করে।যার ফলে তাদের মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়।
  • টপার রা পাঠ্যসূচির বাইরেও জ্ঞান অর্জনের জন্য অবসর সময়ে বিভিন্ন গল্পের বই এবং বিভিন্ন জ্ঞানমূলক বই পড়ে থাকে।

পড়াশুনা করারা সঠিক নিয়ম

টপার রা কিভাবে পড়াশোনা করে জানলাম। পরীক্ষায় আমরা সবাই ভালো একটা ফলাফল করতে চাই। কিন্তু আমরা এটা জানি না কিভাবে সঠিক নিয়মে অল্প সময় বই পড়ে আমরা একটা ভালো ফলাফল করতে পারি। আমরা ভাবি যারা হয়তো বা ভালো রেজাল্ট করে তারা মনে হয় সারাদিন বই পড়ে। কিন্তু না সারাদিন বই পড়লেই শুধু ভালো রেজাল্ট করা যায় এটা ভুল ধারণা। অন্যদিকে আমরা এটা ভেবে বসে থাকি যারা ভাল ছাত্র তারা মনে হয় ভালো ব্রেন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। এটা আমাদের মনে একটা ভ্রান্ত ধারণা। আসুন নিচের অংশে জেনে নেই কিভাবে আমরা সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করবঃ

প্রথমতঃ আমাদের সময়ানুবর্তী এবং অধ্যবসায়ী হতে হবে। আমাদের সময়ের কাজ সময়ে করে ফেলতে হবে তাহলে আমাদের আর কোন কাজ জমা হবে না। অন্যদিকে যদি কোন কাজ আমরা একবার না পারি সেটা বারবার আমাদের করত হবে। তারপরও যদি আমরা ব্যর্থ হয়ে যাই তবুও হাল ছাড়া যাবে না। চেষ্টা আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। আর এভাবেই আমরা পরীক্ষায় একটা ভালো ফলাফল করতে পারবো।

দ্বিতীয়তঃ  আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সকল কাজকর্ম নিয়ে একটা সুন্দর রুটিন তৈরি করতে হবে। যার ফলে আমরা সময়ের কাজগুলো সেই সঠিক সময়ে করে ফেলতে পারবে।

তৃতীয়তঃ আমাদের যে সিলেবাস প্রদান করা হয়ে থাকে। সেই সিলেবাস অনুযায়ী আমরা আমাদের পাঠ্যসূচি ভাগ করে নেব এবং পরীক্ষার আগে আমরা আমাদের সিলেবাস শেষ করে ফেলবো। পরবর্তীতে যেন আমরা ভুলে না যাই সেই জন্য সেই পাঠ্য বইটি রিভিশন দেবো। আর এভাবে আমরা ভালো একটা ফলাফল করতে পারব।

চতুর্থতঃআমাদের প্রতিনিয়ত ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে। স্যারের লেকচার মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে এবং সেগুলো খাতায় নোট করে রাখতে হবে ।যেন ভুলে গেলে আমরা সেই নোটবুক থেকে পরবর্তীতে পড়ে নিতে পারি।

পঞ্চমতঃ গ্রুপ স্টাডি করতে হবে। কেননা গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে আমরা একে অপরের মতামত জানতে পারি। যার ফলে কারো যদি কোন বিষয়ে জানার থাকে তাহলে গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে সে সেটা জেনে যায়।

ষষ্ঠতঃ আমাদের মানসিকতা ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন বিকেলবেলা মাঠে খেলাধুলার করার জন্য যেতে হবে যার ফলে আমাদের মানসিকতার বিকাশ ঘটবে। রাতে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারবো।

সর্বশেষঃ আমাদের পাঠ্যসূচির বাইরেও জ্ঞান অর্জনের জন্য বিভিন্ন ধরনের গল্পের বই এবং বিভিন্ন জ্ঞানমূলক বই পড়তে হবে। কেননা যদি বাস্তব জ্ঞান না থাকে তাহলে সৃজনশীলতা তৈরি হবে না। তাই পাঠ্যসূচির বাইরেও আমাদের জ্ঞান অর্জনের জন্য জ্ঞানমূলক এবং গল্পের বই পড়তে হবে।

লেখকের শেষকথা

টপার রা কিভাবে পড়াশোনা করে জানলাম। আরো জানলাম পড়াশুনা করারা সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।  পড়াশোনা করার জন্য আমাদের একটা সঠিক  সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে এবং প্রতিদিন সেই সময়ে পড়াশোনা করতে হবে। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। 

এরকম আরো সুন্দর সুন্দর আর্টিকেল পেতে প্রতিনিয়ত এই ওয়েবসাইটটি ফলো করবেন। ভালো থাকবেন দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url